রায়গঞ্জ , 11 এপ্রিল : রাজ্যে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হল 30 এপ্রিল পর্যন্ত । ঘরে রোজগারের যা টাকা পয়সা ছিল তা সব শেষ । কাল থেকে পেটের ভাত কীভাবে জোগাড় হবে তা কেউ জানেন না ৷ দুর্বিসহ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে রায়গঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন ঝুপড়ির ভ্যানচালকেরা ।
একেই তাঁরা বিহারের বাসিন্দা, রোজগারের জন্য রায়গঞ্জ শহরে বসবাস করেন । এখানকার রেশন কার্ড না থাকায় রেশনের খাদ্যসামগ্রীও মিলছে না । লকডাউনের জেরে বিহারেও ফিরতে পারছেন না । ফলে একপ্রকার অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন রায়গঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন ঝুপড়ির ভ্যানচালকেরা । দিনভর স্টেশনের মালপত্র ভ্যানে চাপিয়ে বহন করা , মোহনবাটি বাজারে দোকানের মালপত্র আনা নেওয়া করেই তাঁরা রোজগার করে ৷ আর রাতে রায়গঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন ঝুপড়ি ঘরে তাঁরা কোনওরকমে রাত কাটান । এভাবেই দিন চলত রায়গঞ্জ শহরের বেশ কিছু ভ্যানচালকদের । তাঁদের কারও বাড়ি বিহারের সোনালি , কারও ছাপড়া আবার কারুর বিহারের কাটিহার মনিহারি এলাকায় । বিহারেই তাঁদের পরিবারের লোকজন থাকে ৷ এখানে থেকে রোজগার করে বাড়িতে টাকা পাঠানোর পাশাপাশি নিজেরাও তিন চার মাস অন্তর বিহারে পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েও আসত ।
কিন্তু আচমকা কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে লক ডাউন । লকডাউনের কারণে একদিকে যেমন তাঁরা কাজ হারিয়েছেন , তেমনি অন্যদিকে ট্রেন বা বাস সহ সব ধরনের যানবাহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রায়গঞ্জে আটকেও পড়েছেন । যা অর্থ সঞ্চয় ছিল তা একদিনেই শেষ হয়ে গিয়েছে । ফলে দুরবস্থার মধ্যে দিন কাটছে ৷
অভিযোগ, সরকারি বা বেসরকারি কোনও সংস্থাই তাঁদের কোনও খোঁজখবর নেয় না । লকডাউন না খুললে যেমন কাজও হবে না , তেমনি বিহারে নিজেদের বাড়িতেও ফিরতে পারবেন না তাঁরা । তাঁদের মতে , লকডাউন যেন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷