ETV Bharat / state

রাজ্যে লকডাউনের সময়সীমা বেড়ে বিপদে রায়গঞ্জের ভ্যানচালকরা - রায়গঞ্জের ভ্যানচালকদের উপর লকডাউনের প্রভাব

লকডাউনের সময়সীমা বেড়েছে ৷ ইতিমধ্যেই রোজগারের টাকা সব শেষ ৷ খাওয়ার কোনও সংস্থান নেই ৷ সরকারি কোনও সাহায্য পাচ্ছে না বলে অভিযোগ ৷ খাওয়া ছাড়া তাদের এতদিন কীভাবে কাটবে ? সেই আশঙ্কায় রয়েছে রায়গঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন ঝুপড়ির ভ্যানচালকেরা ৷

Raiganj
রায়গঞ্জ
author img

By

Published : Apr 12, 2020, 12:18 AM IST

রায়গঞ্জ , 11 এপ্রিল : রাজ্যে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হল 30 এপ্রিল পর্যন্ত । ঘরে রোজগারের যা টাকা পয়সা ছিল তা সব শেষ । কাল থেকে পেটের ভাত কীভাবে জোগাড় হবে তা কেউ জানেন না ৷ দুর্বিসহ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে রায়গঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন ঝুপড়ির ভ্যানচালকেরা ।

একেই তাঁরা বিহারের বাসিন্দা, রোজগারের জন্য রায়গঞ্জ শহরে বসবাস করেন । এখানকার রেশন কার্ড না থাকায় রেশনের খাদ্যসামগ্রীও মিলছে না । লকডাউনের জেরে বিহারেও ফিরতে পারছেন না । ফলে একপ্রকার অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন রায়গঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন ঝুপড়ির ভ্যানচালকেরা । দিনভর স্টেশনের মালপত্র ভ্যানে চাপিয়ে বহন করা , মোহনবাটি বাজারে দোকানের মালপত্র আনা নেওয়া করেই তাঁরা রোজগার করে ৷ আর রাতে রায়গঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন ঝুপড়ি ঘরে তাঁরা কোনওরকমে রাত কাটান । এভাবেই দিন চলত রায়গঞ্জ শহরের বেশ কিছু ভ্যানচালকদের । তাঁদের কারও বাড়ি বিহারের সোনালি , কারও ছাপড়া আবার কারুর বিহারের কাটিহার মনিহারি এলাকায় । বিহারেই তাঁদের পরিবারের লোকজন থাকে ৷ এখানে থেকে রোজগার করে বাড়িতে টাকা পাঠানোর পাশাপাশি নিজেরাও তিন চার মাস অন্তর বিহারে পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েও আসত ।

কিন্তু আচমকা কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে লক ডাউন । লকডাউনের কারণে একদিকে যেমন তাঁরা কাজ হারিয়েছেন , তেমনি অন্যদিকে ট্রেন বা বাস সহ সব ধরনের যানবাহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রায়গঞ্জে আটকেও পড়েছেন । যা অর্থ সঞ্চয় ছিল তা একদিনেই শেষ হয়ে গিয়েছে । ফলে দুরবস্থার মধ্যে দিন কাটছে ৷

অভিযোগ, সরকারি বা বেসরকারি কোনও সংস্থাই তাঁদের কোনও খোঁজখবর নেয় না । লকডাউন না খুললে যেমন কাজও হবে না , তেমনি বিহারে নিজেদের বাড়িতেও ফিরতে পারবেন না তাঁরা । তাঁদের মতে , লকডাউন যেন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷

রায়গঞ্জ , 11 এপ্রিল : রাজ্যে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হল 30 এপ্রিল পর্যন্ত । ঘরে রোজগারের যা টাকা পয়সা ছিল তা সব শেষ । কাল থেকে পেটের ভাত কীভাবে জোগাড় হবে তা কেউ জানেন না ৷ দুর্বিসহ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে রায়গঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন ঝুপড়ির ভ্যানচালকেরা ।

একেই তাঁরা বিহারের বাসিন্দা, রোজগারের জন্য রায়গঞ্জ শহরে বসবাস করেন । এখানকার রেশন কার্ড না থাকায় রেশনের খাদ্যসামগ্রীও মিলছে না । লকডাউনের জেরে বিহারেও ফিরতে পারছেন না । ফলে একপ্রকার অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন রায়গঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন ঝুপড়ির ভ্যানচালকেরা । দিনভর স্টেশনের মালপত্র ভ্যানে চাপিয়ে বহন করা , মোহনবাটি বাজারে দোকানের মালপত্র আনা নেওয়া করেই তাঁরা রোজগার করে ৷ আর রাতে রায়গঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন ঝুপড়ি ঘরে তাঁরা কোনওরকমে রাত কাটান । এভাবেই দিন চলত রায়গঞ্জ শহরের বেশ কিছু ভ্যানচালকদের । তাঁদের কারও বাড়ি বিহারের সোনালি , কারও ছাপড়া আবার কারুর বিহারের কাটিহার মনিহারি এলাকায় । বিহারেই তাঁদের পরিবারের লোকজন থাকে ৷ এখানে থেকে রোজগার করে বাড়িতে টাকা পাঠানোর পাশাপাশি নিজেরাও তিন চার মাস অন্তর বিহারে পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েও আসত ।

কিন্তু আচমকা কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে লক ডাউন । লকডাউনের কারণে একদিকে যেমন তাঁরা কাজ হারিয়েছেন , তেমনি অন্যদিকে ট্রেন বা বাস সহ সব ধরনের যানবাহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রায়গঞ্জে আটকেও পড়েছেন । যা অর্থ সঞ্চয় ছিল তা একদিনেই শেষ হয়ে গিয়েছে । ফলে দুরবস্থার মধ্যে দিন কাটছে ৷

অভিযোগ, সরকারি বা বেসরকারি কোনও সংস্থাই তাঁদের কোনও খোঁজখবর নেয় না । লকডাউন না খুললে যেমন কাজও হবে না , তেমনি বিহারে নিজেদের বাড়িতেও ফিরতে পারবেন না তাঁরা । তাঁদের মতে , লকডাউন যেন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.