ETV Bharat / state

লকডাউন : বিকল্প বন্ধু পরিষেবায় খুশি রায়গঞ্জবাসী

author img

By

Published : Apr 14, 2020, 3:29 PM IST

লকডাউনের জেরে বন্ধ পরিবহন পরিষেবা । কেউ অসুস্থ হলে বা প্রয়োজনে কিছু আনতে যেতে হলে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ । এই পরিস্থতিতে রায়গঞ্জবাসীর সঙ্গী হয়ে উঠেছে বিকল্প বন্ধু পরিষেবা ।

বিকল্প বন্ধু পরিষেবা
বিকল্প বন্ধু পরিষেবা

রায়গঞ্জ, 14 এপ্রিল : লকডাউনে কার্যত ঘরবন্দী মানুষজন । নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোনো যাচ্ছে না । কয়েকটি এমন পরিবার রয়েছে যাদের ছেলেরা চাকরিসূত্রে অন্যত্র থাকেন । রোজকার বাজার-হাট, ওষুধপত্র থেকে শুরু করে হঠাৎ কারও শরীর খারাপ করলে বাইরে বেরিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে । এর অন্যতম কারণ পরিবহন পরিষেবা বন্ধ । এই পরিস্থিতিতে রায়গঞ্জবাসীর সঙ্গী হয়ে উঠেছে বিকল্প বন্ধু পরিষেবা ।

রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ এবং মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ প্রয়াসে চলা বিকল্প বন্ধু পরিষেবার সুবিধা নিচ্ছেন বহু মানুষ । এক্ষেত্রে প্রবীণ এবং বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য মোট পাঁচটি গাড়ির বন্দোবস্ত করা হয়েছে । কাউকে চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে যাওয়া, খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া, ওষুধ-পত্র দিয়ে আসা সবকিছুর জন্যই এই পরিষেবা দেওয়া হবে । যা একেবারেই বিনামূল্যে । পরিষেবা পেতে গেলে রায়গঞ্জ জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে গাড়ির জন্য আবেদন করতে হবে । আবেদন করা মাত্র উপযুক্ত কয়েকটি তথ্য সঠিকভাবে দিতে পারলেই রায়গঞ্জ জেলা পুলিশের তরফ থেকে পাঠানো হবে গাড়ি ।

করণদিঘির বাসিন্দা সুদীপ্ত দত্ত এই পরিষেবা সম্পর্কে সোশাল মিডিয়ায় জানতে পারেন । সুদীপ্তবাবুর বাবা সুজিত দত্ত কিডনি সমস্যায় ভুগছেন । তাঁকে নিয়মিত ডায়লিসিস করাতে হয় । তবে লকডাউনের সময় করণদিঘি থেকে রায়গঞ্জ হাসপাতালে যাওয়া অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং সমস্যার । পরিষেবাটি সম্পর্কে জানার পরই নির্দিষ্ট নম্বরে যোগাযোগ করেন সুদীপ্তবাবু । এরপরই আজ তাঁর বাবাকে রায়গঞ্জ হাসপাতালে পৌঁছে দেয় পুলিশ ।

এবিষয়ে সুদীপ্তবাবু বলেন, "লকডাউনে এমন পরিষেবা পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি । যাঁদের বাড়িতে কিডনি রোগীরা রয়েছেন তাঁরাই জানেন এই সময়ে কতটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে । তাই এই ধরনের পরিষেবা মানুষকে অনেকটা সাহায্য করবে । রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ এবং মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনকে আমি ধন্যবাদ জানাই ।"

যে গাড়িতে সুদীপ্ত দত্তরা রায়গঞ্জ হাসপাতালে পৌঁছান, তার চালক সঞ্জয় সরকার বলেন, "এখনও পর্যন্ত আমি 4-5টি কল পেয়েছি এবং সবক'টিতেই পরিষেবা দিয়েছি । আমাদের কাছে কন্ট্রোল রুম থেকে অর্ডার আসলেই আমরা চলে যাচ্ছি ।"

রায়গঞ্জ, 14 এপ্রিল : লকডাউনে কার্যত ঘরবন্দী মানুষজন । নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোনো যাচ্ছে না । কয়েকটি এমন পরিবার রয়েছে যাদের ছেলেরা চাকরিসূত্রে অন্যত্র থাকেন । রোজকার বাজার-হাট, ওষুধপত্র থেকে শুরু করে হঠাৎ কারও শরীর খারাপ করলে বাইরে বেরিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে । এর অন্যতম কারণ পরিবহন পরিষেবা বন্ধ । এই পরিস্থিতিতে রায়গঞ্জবাসীর সঙ্গী হয়ে উঠেছে বিকল্প বন্ধু পরিষেবা ।

রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ এবং মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ প্রয়াসে চলা বিকল্প বন্ধু পরিষেবার সুবিধা নিচ্ছেন বহু মানুষ । এক্ষেত্রে প্রবীণ এবং বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য মোট পাঁচটি গাড়ির বন্দোবস্ত করা হয়েছে । কাউকে চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে যাওয়া, খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া, ওষুধ-পত্র দিয়ে আসা সবকিছুর জন্যই এই পরিষেবা দেওয়া হবে । যা একেবারেই বিনামূল্যে । পরিষেবা পেতে গেলে রায়গঞ্জ জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে গাড়ির জন্য আবেদন করতে হবে । আবেদন করা মাত্র উপযুক্ত কয়েকটি তথ্য সঠিকভাবে দিতে পারলেই রায়গঞ্জ জেলা পুলিশের তরফ থেকে পাঠানো হবে গাড়ি ।

করণদিঘির বাসিন্দা সুদীপ্ত দত্ত এই পরিষেবা সম্পর্কে সোশাল মিডিয়ায় জানতে পারেন । সুদীপ্তবাবুর বাবা সুজিত দত্ত কিডনি সমস্যায় ভুগছেন । তাঁকে নিয়মিত ডায়লিসিস করাতে হয় । তবে লকডাউনের সময় করণদিঘি থেকে রায়গঞ্জ হাসপাতালে যাওয়া অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং সমস্যার । পরিষেবাটি সম্পর্কে জানার পরই নির্দিষ্ট নম্বরে যোগাযোগ করেন সুদীপ্তবাবু । এরপরই আজ তাঁর বাবাকে রায়গঞ্জ হাসপাতালে পৌঁছে দেয় পুলিশ ।

এবিষয়ে সুদীপ্তবাবু বলেন, "লকডাউনে এমন পরিষেবা পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি । যাঁদের বাড়িতে কিডনি রোগীরা রয়েছেন তাঁরাই জানেন এই সময়ে কতটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে । তাই এই ধরনের পরিষেবা মানুষকে অনেকটা সাহায্য করবে । রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ এবং মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনকে আমি ধন্যবাদ জানাই ।"

যে গাড়িতে সুদীপ্ত দত্তরা রায়গঞ্জ হাসপাতালে পৌঁছান, তার চালক সঞ্জয় সরকার বলেন, "এখনও পর্যন্ত আমি 4-5টি কল পেয়েছি এবং সবক'টিতেই পরিষেবা দিয়েছি । আমাদের কাছে কন্ট্রোল রুম থেকে অর্ডার আসলেই আমরা চলে যাচ্ছি ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.