রায়গঞ্জ, 10 অগস্ট: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত এলাকা । এবার তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর উপর হামলার অভিযোগ পার্শ্ববর্তী এলাকার দলীয় কিছু যুবকদের বিরুদ্ধে । রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের বন্দর এলাকার 17 নং ওয়ার্ডে । ঘটনায় আহত তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী তথা ওই ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর চৈতালি ঘোষ সাহা । তাঁকে রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।
এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী প্রসেনজিৎ সাহা ও ছোটন সাহা-সহ বেশ কিছু যুবকদের বিরুদ্ধে । তাঁরা রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণকল্যাণীর অনুগামী বলেই পরিচিত এলাকায় । গোটা ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । আহত তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী চৈতালি ঘোষ সাহার অভিযোগ, তিনি বাড়িতে থাকাকালীন পরিকল্পনামাফিক ইচ্ছাকৃতভাবে তার বাড়ির সামনে এসে গন্ডগোল বাধায় কিছু যুবক । তা থামাতে গেলে তাঁর উপরেই চড়াও হয় তারা । মারধরের পাশাপাশি তার বাড়ি ভাঙচুরও করা হয় বলে অভিযোগ চৈতালি দেবীর ।
তিনি আরও জানান, যারা তাঁর উপরে হামলা চালিয়েছে তারা সদ্য তৃণমূলে যোগদান করেছে । যদিও এই আক্রমণের কারণ জানেন না তিনি ৷ পুরো ঘটনার বিষয়ে পুলিশে জানিয়েছেন ৷ এই বিষয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী প্রসেনজিৎ সাহা তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন । তিনি বলেন, "আমি একজন তৃণমূল কর্মী । স্থানীয় এলাকায় মনসা পুজোতে নেওয়া তার পদক্ষেপকে পছন্দ করছেন না চৈতালি দেবী ও তাঁর অনুগামীরা । ওই ওয়ার্ডে বাড়ি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়া এবং বিভিন্ন জমি সংক্রান্ত দুর্নীতি করেছেন চৈতালি দেবী । ওই এলাকায় মানুষ তাঁকে পছন্দ করে না ৷"
তাঁর দাবি, তিনি ওই এলাকার সাধারণ মানুষের কাজ করছেন এবং তৃণমূলের বিভিন্ন নেতানেত্রীরা তাঁর কাজে সন্তুষ্ট বলে চৈতালি দেবী ইচ্ছা করে তাঁকে বদনাম করার চেষ্টা চালিয়েছেন ৷ তাঁকে ও তাঁর অনুগামীদের মারধর করা হয়েছে ৷ যদিও এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল ফোনে বলেন,"গোটা ঘটনার খবর শুনেছি । দোষীরা যেই হোক না কেন পুলিশকে তাদের অবিলম্বে গ্রেফতারের কথা বলেছি ।" যদিও গোটা ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও একবার প্রকাশ্যে এলো বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।
আরও পড়ুন : তৃণমূলের জয়ের পর পোড়ানো হল প্রাক্তন বিধায়কের কুশপুতুল
