রায়গঞ্জ, 22 মে : শহরাঞ্চলের পর এবার গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও করোনার প্রকোপ বাড়ছে ৷ প্রথম দফায় তেমন প্রভাব পড়েনি গ্রামীণ এলাকাগুলিতে ৷ কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও দাপট দেখাচ্ছে ৷ গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৷ উত্তর দিনাজপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া হেমতাবাদ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে ক্রমেই উর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ ৷ ফলে চিন্তা বাড়ছে ব্লক প্রশাসনের ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে হেমতাবাদ ব্লক প্রশাসন ৷
হেমতাবাদে কোভিড সহায়তা কেন্দ্র খোলার পাশাপাশি জয়েন্ট বিডিও নাজমুল হক-সহ ব্লক অফিসের আধিকারিকদের মোবাইল নম্বর প্রচার করা হচ্ছে ৷ হেমতাবাদ ব্লকের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে ব্লক প্রশাসন। কখনও ফোনে, কখনও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে পৌঁছে তাঁদের খবরাখবর নিচ্ছেন আধিকারিকরা ৷ সেইসঙ্গে করোনা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে লাগাতার প্রচার কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে ব্লক প্রশাসন।
আরও পড়ুন : সোনারপুরে কোভিড যুদ্ধে সামিল পর্বতারোহীরা
হেমতাবাদের বিডিও লক্ষ্মীকান্ত রায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘করোনা নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে লাগাতার প্রচার চলছে ৷ এলাকার কেউ করোনায় আক্রান্ত হলেই ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে ৷ স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে ৷ পাশাপাশি রোগীদের সঙ্গে ফোনে নিয়মিত কথা বলছেন আধিকারিকরা ৷ হেমতাবাদে পাঁচটি আইসোলেশন সেন্টার চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে ৷ আগামী দিনে প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলি ব্যবহার করা হবে ৷’’