রায়গঞ্জ, 16 মার্চ: যানজট রুখতে রায়গঞ্জে শুরু হয়েছে নতুন চার লেনের বাইপাস তৈরির কাজ ৷ আর এতেই কাজ হারানোর আশঙ্কা করছে 34 নং জাতীয় সড়কের ধারে থাকা ছোট বড় গ্যারেজের মালিক থেকে শুরু করে কর্মীরা (Garage workers are facing loss in Raiganj)৷ তাঁদের আশঙ্কা, বাইপাস তৈরি হলে দূরপাল্লার বাস এদিকে ঢুকবে না ৷ যার ফলে কাজও তেমন হাতে আসবে না ৷
রায়গঞ্জ ব্লকের বারোদুয়ারি থেকে শুরু করে রূপাহার পর্যন্ত এই বাইপাস তৈরির কাজ শুরু হয়েছে (Raiganj News)। এখনও তা পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু হয়নি । এই বাইপাস চালু হলে দূরপাল্লার চালক ও যাত্রীরা উপকৃত হবেন নিঃসন্দেহে । তবে এই বাইপাস চালুর কথা ভেবে আশঙ্কার কালো মেঘ দেখছে রায়গঞ্জ শহরের গ্যারেজগুলি । বর্তমানে দক্ষিণ থেকে উত্তরবঙ্গগামী বিভিন্ন যানবাহনগুলিকে সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে রায়গঞ্জ শহরের উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয় । সেই অনুযায়ী রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোড় বরাবর 34 নং জাতীয় সড়কের ধারে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য গ্যারেজ ।
এই গ্যারেজগুলির মালিক ও কর্মীদের রুটিরুজি নির্ভর করে দূরপাল্লার গাড়িগুলির উপরেই । মালদা পার করে আসার পর রায়গঞ্জ শহরের গ্যারেজগুলিতে চলে গাড়ি সারাইয়ের কাজ । কিন্তু আগামীতে বাইপাস চালু হলে সমস্ত দূরপাল্লার যাত্রীবাহী কিংবা মালবাহী গাড়িগুলি রূপাহার থেকে ফোরলেন ধরে ঘুরে যাবে । শহরের ভিতরে তা আর ঢুকবে না ৷ যার জেরে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে গ্যারেজ মালিক ও কর্মীদের ।
তখন কেবল স্থানীয় যানবাহনের উপরেই ভরসা করতে হবে তাঁদের । তাতে যা আয় হবে তা দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব হবে না বলেই জানিয়েছেন মালিক ও কর্মী উভয়পক্ষই । তাঁদের দাবি, বাইপাসে কোনও যানবাহন বিকল হলে তাদের অনেকটা দুর ছুটতে হবে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে । এতে একইসঙ্গে বিপাকে পড়তে হবে গ্যারেজ কর্মী ও যানবাহন চালকদেরও ।
অন্যদিকে রায়গঞ্জ মোটর পার্টস ও গ্যারেজ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ রায় জানান, দূরপাল্লার বাসগুলিই এখানকার গ্যারেজের আয়ের মূল উৎস ৷ বাইপাস চালু হলে এই দূরপাল্লার বাসগুলি আর ভিতরে ঢুকবে না ৷ ফলে কোনও সমস্য়া হলে কর্মীদের যাতায়াতে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হবে । তার মধ্যে টোটোতে চেপে জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় । এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে গ্যারেজ ব্যবসা ।
আরও পড়ুন : আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপির প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান