ETV Bharat / state

আজও পুজোতে মন্দিরে ঢোকে না রায়গঞ্জের সেনবাড়ির মহিলারা - Jelar jagajanani

পুজোর চারদিন মন্দিরের বাইরে চাতালে দাঁড়িয়ে মায়ের দর্শন করতে হয় সেনবাড়ির মহিলাদের ৷ এই নিয়মই চলে আসছে তিনশো বছরেরও বেশি সময় ধরে ৷ বর্তমান প্রজন্মের মহিলাদের মনে আক্ষেপ থাকলেও পরিবারের মঙ্গল কামনায় সকলেই হাসিমুখে এই নিয়ম মেনে নিয়েছেন ৷

সেন বাড়ি
author img

By

Published : Sep 30, 2019, 11:08 PM IST

রায়গঞ্জ, 30 সেপ্টেম্বর: পুজোর চারদিন মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ৷ পুজোর সব কাজ করেন বাড়ির পুরুষরা । রায়গঞ্জের সেনবাড়ির দুর্গাপুজোর এরকমই নিয়ম ৷ পুজোর চারদিন মন্দিরের বাইরে চাতালে দাঁড়িয়ে মায়ের দর্শন করতে হয় সেনবাড়ির মহিলাদের ৷ এই নিয়মই চলে আসছে তিনশো বছরেরও বেশি সময় ধরে ৷ বর্তমান প্রজন্মের মহিলাদের মনে আক্ষেপ থাকলেও পরিবারের মঙ্গল কামনায় সকলেই হাসিমুখে এই নিয়ম মেনে নিয়েছেন ৷

উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রাচীন পুজোর মধ্যে রায়গঞ্জ শহরের সুদর্শনপুরের সেন বাড়ির দুর্গাপুজো অন্যতম । ওপার বাংলার যশোরের বরুণার জমিদার ছিল সেনরা ৷ প্রায় 600 বছর আগে চতুর্দশ শতাব্দীতে সেনবাড়িতে দুর্গাপুজোর প্রচলন করেছিলেন ৷ এরপর তাঁদের বংশধররা বাংলাদেশেই পুজো করতেন ৷

দেশভাগের সময় সেন পরিবার চলে আশে এপার বাংলার অধুনা উত্তর দিনাজপুরে ৷ 1952 সালে সেই সময়ের সেন পরিবারের কর্তা শৈলেন সেন ওপার বাংলার বাড়ি থেকে দুর্গামণ্ডপের মাটি নিয়ে আসেন রায়গঞ্জে ৷ তারপর সেই মাটি দিয়েই রায়গঞ্জের সুদর্শনপুরে দুর্গামন্দির স্থাপন করে পুজো শুরু করেন ।

দেখুন প্রতিবেদন

কথিত আছে, প্রায় তিনশো বছর আগে পুজোর সময় ঋতুমতী অবস্থায় বাড়ির কোনও মহিলা মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন ৷ এরপরই বড় ধরনের অঘটন ঘটে সেন পরিবারে । সেই থেকে পুজোর সময় মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় ৷ সেই থেকে দুর্গাপুজোর সময় যাবতীয় কাজ বাড়ির পুরুষরাই করে আসছেন । এই নিয়ম নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও বাড়ির মহিলারা পরিবারের মঙ্গলের কথা ভেবে পুজোর সময় এই নিয়ম মেনেই চলেন ৷

এছাড়াও সেনবাড়ির দুর্গাপুজোয় সপ্তমী থেকে নবমী প্রতিদিন নিয়ম করে পাঁঠাবলি দেওয়া হয় । সেন বাড়ির পুজো দেখতে বহু মানুষ আসে ৷ সেনবাড়ির মাদুর্গা বেশ জাগ্রত বলে মানুষের বিশ্বাস ৷ তাই দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ মানত করতে আসে ৷ আবার মনস্কামনা পূরণ হলে ফের পুজো দিতে আসে সেনবাড়িতে ।

একান্নবর্তী পরিবারের অনেকেই ভিনরাজ্যে এমন কী বিদেশেও থাকেন ৷ কিন্তু পুজো শুরু হতেই পরিবারের সকলে এসে জড়ো হন রায়গঞ্জের সুদর্শনপুরের বাড়িতে ৷ পুজোর দিনগুলোতে হই হুল্লোড় করে কাটানোর পর সবাই আবার ফিরে যান ৷ সব আনন্দের মাঝেও বাড়ির মহিলাদের কোথায় যেন একটা অপূর্ণতা থেকেই যায় ৷ পুজোর কটা দিন যে মায়ের মন্দিরে তাঁরা যেতে পারেন না ৷ করতে পারেন না কোনও আচার ৷

রায়গঞ্জ, 30 সেপ্টেম্বর: পুজোর চারদিন মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ৷ পুজোর সব কাজ করেন বাড়ির পুরুষরা । রায়গঞ্জের সেনবাড়ির দুর্গাপুজোর এরকমই নিয়ম ৷ পুজোর চারদিন মন্দিরের বাইরে চাতালে দাঁড়িয়ে মায়ের দর্শন করতে হয় সেনবাড়ির মহিলাদের ৷ এই নিয়মই চলে আসছে তিনশো বছরেরও বেশি সময় ধরে ৷ বর্তমান প্রজন্মের মহিলাদের মনে আক্ষেপ থাকলেও পরিবারের মঙ্গল কামনায় সকলেই হাসিমুখে এই নিয়ম মেনে নিয়েছেন ৷

উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রাচীন পুজোর মধ্যে রায়গঞ্জ শহরের সুদর্শনপুরের সেন বাড়ির দুর্গাপুজো অন্যতম । ওপার বাংলার যশোরের বরুণার জমিদার ছিল সেনরা ৷ প্রায় 600 বছর আগে চতুর্দশ শতাব্দীতে সেনবাড়িতে দুর্গাপুজোর প্রচলন করেছিলেন ৷ এরপর তাঁদের বংশধররা বাংলাদেশেই পুজো করতেন ৷

দেশভাগের সময় সেন পরিবার চলে আশে এপার বাংলার অধুনা উত্তর দিনাজপুরে ৷ 1952 সালে সেই সময়ের সেন পরিবারের কর্তা শৈলেন সেন ওপার বাংলার বাড়ি থেকে দুর্গামণ্ডপের মাটি নিয়ে আসেন রায়গঞ্জে ৷ তারপর সেই মাটি দিয়েই রায়গঞ্জের সুদর্শনপুরে দুর্গামন্দির স্থাপন করে পুজো শুরু করেন ।

দেখুন প্রতিবেদন

কথিত আছে, প্রায় তিনশো বছর আগে পুজোর সময় ঋতুমতী অবস্থায় বাড়ির কোনও মহিলা মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন ৷ এরপরই বড় ধরনের অঘটন ঘটে সেন পরিবারে । সেই থেকে পুজোর সময় মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় ৷ সেই থেকে দুর্গাপুজোর সময় যাবতীয় কাজ বাড়ির পুরুষরাই করে আসছেন । এই নিয়ম নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও বাড়ির মহিলারা পরিবারের মঙ্গলের কথা ভেবে পুজোর সময় এই নিয়ম মেনেই চলেন ৷

এছাড়াও সেনবাড়ির দুর্গাপুজোয় সপ্তমী থেকে নবমী প্রতিদিন নিয়ম করে পাঁঠাবলি দেওয়া হয় । সেন বাড়ির পুজো দেখতে বহু মানুষ আসে ৷ সেনবাড়ির মাদুর্গা বেশ জাগ্রত বলে মানুষের বিশ্বাস ৷ তাই দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ মানত করতে আসে ৷ আবার মনস্কামনা পূরণ হলে ফের পুজো দিতে আসে সেনবাড়িতে ।

একান্নবর্তী পরিবারের অনেকেই ভিনরাজ্যে এমন কী বিদেশেও থাকেন ৷ কিন্তু পুজো শুরু হতেই পরিবারের সকলে এসে জড়ো হন রায়গঞ্জের সুদর্শনপুরের বাড়িতে ৷ পুজোর দিনগুলোতে হই হুল্লোড় করে কাটানোর পর সবাই আবার ফিরে যান ৷ সব আনন্দের মাঝেও বাড়ির মহিলাদের কোথায় যেন একটা অপূর্ণতা থেকেই যায় ৷ পুজোর কটা দিন যে মায়ের মন্দিরে তাঁরা যেতে পারেন না ৷ করতে পারেন না কোনও আচার ৷

Intro:রায়গঞ্জ, ৩০ সেপ্টেম্বর, প্রসুন মৈত্র: পুজোর কটাদিন মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, পুজোর সব কাজ করেন বাড়ির পুরুষেরা। হ্যা, অবাক করার মতো হলেও এটাই রায়গঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বনেদী পুজো সেন বাড়ির দূর্গাপুজো বিধান। মন্দিরের বাইরে চাতালে দাঁড়িয়ে মায়ের দর্শন করতে হয় সেন বাড়ির মা- বোনেদের, এবং সেই নিয়মই চলে আসছে তিনশো বছর ধরে। বাড়ির বর্তমান প্রজন্মের মহিলাদের মনে আক্ষেপ থাকলেও এই নিয়মটাকে মেনে নিতেই হয়েছে যাতে কোনও অঘটন না ঘটে।

উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রাচীন বনেদী বাড়ির পুজোর মধ্যে রায়গঞ্জ শহরের সুদর্শনপুরের সেন বাড়ির দূর্গাপুজো অন্যতম। ওপার বাংলার যশোরের বরুনার জমিদার তারিনী মোহন সেনের পূর্বপুরুষেরা দূর্গাপুজোর প্রচলন করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর তাদের বংশধর সুরেন্দ্রনাথ সেনও পূজো করেন বাংলাদেশেই। ১৯৫২ সালে শৈলেন সেন ওপার বাংলা থেকে সেখানকার দূর্গাস্থানের মাটি নিয়ে এসে এপারে রায়গঞ্জে  সুদর্শনপুরে দূর্গামন্দির স্থাপন করে পুজো শুরু করেন। কথিত আছে ওপার বাংলাতেই পুজোর সময় ওশূচী অবস্থায় বাড়ির কোনও মহিলা মন্দিরে প্রবেশ করায় বড় ধরনের অঘটন ঘটে সেন পরিবারে। সেই থেকে মন্দিরেই প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় মহিলাদের। সেই থেকে দূর্গাপুজোর মন্দিরের যাবতীয় কাজ বাড়ির পুরুষেরাই করে আসছেন। তবে এনিয়ে ক্ষোভ থাকলেও বাড়ির মহিলারা সেই ক্ষোভকে নিজের অন্তরেই রেখে দেন পরিবারের মঙ্গলের কথা ভেবেই। এছাড়াও সেন বাড়ির দূর্গাপুজোয় সপ্তমী থেকে নবমী প্রতিদিন নিয়ম করে পাঠাবলি দেওয়া হয়। জাগ্রত বলে খ্যাত সেন বাড়ির দূর্গামায়ের কাছে বহু মানুষ মানত করতে আসেন, আবার মানষা পূরন হলে তা দিতেও আসেন সেন বাড়িতে। একান্নবর্তী পরিবারের অনেকেই ভিনরাজ্যে এমনকি বিদেশেও থাকেন, কিন্তু পূজো শুরু হতেই পরিবারের সকলে এসে জড়ো হন রায়গঞ্জের সুদর্শনপুরের বাড়ির দূর্গোৎসবে। পূজোর চার-পাঁচটা দিন হৈ হুল্লোর কাটানো একে অপরের সাথে মিলন সবই হয়, কিন্তু বাড়ির বৌ মেয়েদের কোথায় যেন একটা অপূর্ণতা থেকেই যায় পুজোয় মায়ের মন্দিরে প্রবেশ যে তারা করতে পারেননা!

বাইট : ভজন সেনBody:AbcdConclusion:Abcd
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.