রায়গঞ্জ, 2 জানুয়ারি: নয়া উদ্যোমে নতুন বছর শুরু করেছেন প্রত্যেকে । আগামী কয়েকদিনও বর্ষবরণের রেশ থাকবে । পুরোদমে বছর শুরু করার আগে যেন চেটেপুটে আনন্দ উপভোগ করছেন প্রত্যেকে । কিন্তু তার মধ্যেও যেন দুঃখ ছেয়েছে উত্তর দিনাজপুরের কুলিক ফরেস্টকে (Famous Picnic Spot in Uttar Dinajpur Kulik Forest) ।
উত্তর দিনাজপুর জেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় পিকনিক স্পট ছিল কুলিক ফরেস্ট (Kulik Forest) । গত কয়েক বছর ধরেই এই ফরেস্টের সংরক্ষিত এলাকায় পিকনিকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বনদফতরের পক্ষ থেকে । এখন কুলিক বনাঞ্চলের বাইরে আব্দুলঘাটা এলাকার পিকনিক করার ক্ষেত্রে অনুমতি রয়েছে দফতরের পক্ষ থেকে । তবে সেসব জায়গায় পরিকাঠামোগত কোনও রকম ব্যবস্থা না-থাকায় শীতের মরশুমে পিকনিক ডেস্টিনেশন হিসেবে কুলিকের নাম আর আসে না সাধারণ মানুষের মনে (Famous Picnic Spot Kulik Forest) ।
অথচ কয়েক বছর আগেই কুলিক ফরেস্টের মণিপাড়া এলাকায় পিকনিক স্পটের জন্য পৃথক একটি এলাকায় পরিকাঠামোর উন্নতি করা হয়েছিল বনদফতরের পক্ষ থেকে । যা দীর্ঘ অব্যবহারের ফলে নষ্ট হতে বসেছে । সেখানে বসার জন্য চাতাল তৈরি থেকে খাওয়ার জলের জন্য টিউবয়েল বসানো, সমস্ত কাজই করা হয়েছিল ।
অন্যদিকে, পিকনিকের মরশুমে জোগাড়ের কাজ কিংবা ছোটো দোকান দিয়ে সামান্য রোজগার করতেন স্থানীয়রা । এখন আর পিকনিক পার্টি না-আসায় তাঁরা যে সামান্য আয়ের মুখ দেখতেন তাও আজ বন্ধ । স্থানীয় বাসিন্দা শশীকলা মণ্ডল-দুর্গা মণ্ডল-লাভলি প্রধানরা বললেন, দূর-দুরান্ত থেকে বহু মানুষ আগে এখানে পিকনিক করতে আসত । সে কারণে সাইকেল স্ট্যান্ড, ছোটখাটো দোকান ছাড়াও পিকনিক পার্টিকে নানা রকম সাহায্য করে দু'পয়সা আয় করতে পারতেন এলাকার মানুষজনেরা । এখন তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বনদফতরের এই চরম সিদ্ধান্তে ।
আরও পড়ুন: বর্ষশুরুর পিকনিকে জমজমাট ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল
এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মনু মণ্ডল বলেন, "বনকমিটি তৈরি করে এখানে পিকনিকের আয়োজন করা হত । স্থানীয় মানুষদের শীতের সময় দু-মাসের জন্য কিছু আয়েরও ব্যবস্থা হত । আমরা চাই আবার পিকনিক চালু করা হোক এখানে ।"
যদিও এ বিষয়ে বিভাগীয় বনাধিকারিক দাওয়া সাংমু শেরপা বলেন, "ফরেস্টের সংরক্ষিত এলাকায় পিকনিক করা পুরোপুরি বন্ধ । এটা সরকারি নিয়ম । বনাঞ্চলকে আলাদা রেখে বাইরে কোনও এলাকাকে চিহ্নিত করে পিকনিক স্পট গড়ে তোলা যায় কি না তা দেখা হচ্ছে । কুলিকে পিকনিক করার ব্যাপারে যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে তা গত কয়েক বছরে মানুষ জেনে গিয়েছে ।"