রায়গঞ্জ, 11 জুন: বিদেশি বহুমূল্যবান আম ফলিয়ে সাফল্যের শিখরে রায়গঞ্জের এক আমচাষি । তার নার্সারি ঘিরে কৌতূহল বাড়ছে আমজনতার মনে । বাড়িতে এই সমস্ত বিদেশি আম ফলাতে অনেকেই চারা গাছ কিনছেন দয়াল সরকারের কাছ থেকে ৷ আর যারা কিনছেন না তাঁরা উঁকি-ঝুঁকি মেরেই চোখ জুড়োচ্ছেন । আর যারা পাশেই থাকেন তাঁরা বিদেশি আমের ঘ্রাণে মন ভরাচ্ছেন ৷ ঘ্রাণের অর্ধেক ভোজন বোধহয় একেই বলে ৷
আম বললেই মনে আসে মালদার বিখ্যাত সব আমের কথা ৷ কিন্তু রাজকীয় এই ফলের চাষে পিছিয়ে নেই উত্তর দিনাজপুর ৷ এতদিন পর্যন্ত রাজ্যে ল্যাংড়া, হিমসাগর, ফজলি, গোপালভোগ-সহ একাধিক আম দেখা যেত ৷ তবে এখন বিদেশি আমেরও চাষ হচ্ছে রায়গঞ্জে ৷ শুনতে অবাক লাগলেও এই অসম্ভব সত্যিকেই বাস্তবায়িত করেছেন দয়াল সরকার ৷ তাঁর বাগানেই দেখা যাচ্ছে এই সমস্ত বিদেশি আম ৷ তাঁর নার্সারিতেই ফলছে থাইল্যান্ডের পালমার, দক্ষিণ ফ্লোরিডার নামডকমাই, জাপানিজ মিয়াজাকি, কাটিমন ম্যাঙ্গো, ব্যানানা ম্যাঙ্গোর মত বিদেশী আমের গাছ। শুধু গাছ নয় ফলও বেশ ভালোই হয়েছে। দয়াল বাবু জানান, বছর তিনেক হল বিদেশি আম ফলিয়ে সফলতা অর্জন করেছেন দয়াল বাবু । শুনলে অবাক হবেন এই আমগুলির আকাশ ছোঁয়া মূল্য।
এই আম চাষ প্রসঙ্গেই দয়াল সরকার বলেন, "বিদেশি এই আমগুলির দামও প্রচুর ৷ নামডকমাই আম কেজি একুশ'শো টাকা ৷ পালমার আমের দাম প্রতি কেজি 4হাজার 500 টাকা এবং জাপানের মিয়াজকি আম প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় ৷ এছাড়াও কাটিমন ও ব্যানানা ম্যঙ্গোর দামও চোখ কপালে তোলার মত।"
আরও পড়ুন: বাংলার মাটিতে এবার গরমে জাপানি আমের চাষ, বিদেশে প্রতি কিলোর দাম লক্ষাধিক
এই সমস্ত আম বিদেশি হলেও, চাষ হয় জৈবিক পদ্ধতিতে ৷ ব্যবহার করা হয় জৈব সার ৷ তারপর নিপুণ হাতে পরিচর্যা করে আমের ফলন ফলান দয়ালবাবু ৷ তাঁর এই নার্সারি থেকে অনেকেই বিদেশি আম গাছের চারাও নিয়ে গিয়েছেন ফলনের জন্য ৷