রায়গঞ্জ, 4 অক্টোবর: চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগকে ঘিরে ব্যপক উত্তেজনা হাসপাতাল চত্বরে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। খবর পেয়ে হাসপাতালে যায় ইসলামপুর থানার পুলিশ। পরে পুলিশি তৎপরতায় এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার অন্তর্গত শীতলাগাঁও এলাকার বাসিন্দা আবু তালিব নামে এক ব্যক্তি জ্বর নিয়ে গত 2 অক্টোবর ইসলামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন । তাঁর পরিবারের অভিযোগ, ভর্তির পর থেকে ডাক্তার ও নার্সেরা ঠিকমতো চিকিৎসা করেননি ওই রোগীর । অভিযোগ, বিষয়টি চিকিৎসকদের জানাতে গেলে, রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয় ৷ মঙ্গলবার রাতে ওই রোগীর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বিষয়টি নার্সদের জানানো হয় ৷ এরপর নার্স এসে তাঁকে একটি ইঞ্জেকশন দিয়ে যায় ৷ রোগীর পরিবারের অভিযোগ, ওই ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয় ৷
এই ঘটনার জেরে এদিন ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় হাসপাতাল চত্বরে । রোগীর আত্মীয়-পরিজনরা চিকিৎসক এবং নার্সদের গাফিলতির অভিযোগ এনে চড়াও হয় তাদের ওপর । ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে যায় ইসলামপুর থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করে । কয়েকজনকে আটক করেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
আরও পড়ুন: চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি, মালদা মেডিক্যাল চত্বরের অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
এই বিষয়ে মৃতের দাদা সফিকুল ইসলাম বলেছেন, "আমার ভাই গত পরশুদিন জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় । কিন্তু ডাক্তার ও নার্সরা ঠিকমতো চিকিৎসা করেনি। তাদের বলতে গেলে তারা দুর্ব্যবহার করে । রোগীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাঁকে একটি ইঞ্জেকশন দিয়ে যায় এবং সেই ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই মৃত্যু হয় ভাইয়ের।" অপর এক রোগী রসিমউদ্দিন জানিয়েছেন, ডাক্তার এবং নার্সরা ঠিকমতো চিকিৎসা করেননি । পায়ের উপর পা তুলে ডাক্তার বসে ছিলেন । কিছু বলতে গেলে দূর-দূর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় । ওই রোগীকে একটি ইনজেকশন দেওয়ার পরই সে মারা যায় ।" যদিও এই ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি ।