ETV Bharat / state

মা পাশে নেই, দুই ছেলেকে নিয়ে ভোটের প্রচারে ভিক্টর - রায়গঞ্জ

একাধারে আব্বা ও আম্মি হিসেবে নিজের সন্তানদের প্রতি দায়িত্ব সেইসঙ্গে বিধায়ক হিসেবে দলের প্রতি দায়িত্ব, দুটোই সমান্তরালভাবে সামলাচ্ছেন ভিক্টর। আজ চাকুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম গোচরায় কর্মিসভা করতে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল দুই ছেলে। দলীয় প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের হয়ে প্রচারের পাশাপাশি নজর রেখেছিলেন ছেলেদের উপর।

চাকুলিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক আলি ইমরান রমজ(ভিক্টর)
author img

By

Published : Apr 8, 2019, 11:37 PM IST

Updated : Apr 9, 2019, 12:19 AM IST

রায়গঞ্জ, 8 এপ্রিল : রায়গঞ্জের বামফ্রন্ট প্রার্থী CPI(M)-এর মহম্মদ সেলিমের সমর্থনে দুই ছেলে আহান আলি (5) ও ভিহান আলি (3) -কে সঙ্গে নিয়ে প্রচারের ময়দানে চাকুলিয়ার ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক আলি ইমরান রমজ (ভিক্টর)।

একাধারে আব্বা ও আম্মি হিসেবে নিজের সন্তানদের প্রতি দায়িত্ব সেইসঙ্গে বিধায়ক হিসেবে দলের প্রতি দায়িত্ব, দুটোই সমান্তরালভাবে সামলাচ্ছেন ভিক্টর। আজ চাকুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম গোচরায় কর্মিসভা করতে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল দুই ছেলে। দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারের পাশাপাশি নজর রেখেছিলেন ছেলেদের উপর। বড় ছেলে আহান কিছুটা শান্ত হলেও ছোট ছেলে ভিহান বেশ দুষ্টু। আহান আব্বার পাশে বসে থাকলেও ভিহান এলাকার গৃহপালিত পশুদের নিয়ে খেলা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কখনও ছাগলছানাকে নিয়ে সে আপন মনে ঘুরে বেড়িয়েছে, কখনও বা সেই ছাগলছানার পিঠেই চড়ে বসছে। বকাঝকা করেও বিশেষ কিছু লাভ হচ্ছে না। তাদের দু'জনকে সামলানোর পাশাপাশি দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারও চালাচ্ছেন ভিক্টর। নির্বাচনের আগে এখন সকাল থেকে রাত এভাবেই কাটছে তাঁর। তবে ছেলেদের চোখের আড়াল করতে তিনি অবশ্য রাজি নন। কারণ তিনি নিজে এর আগে বহুবার রাজনৈতিক হামলার শিকার হয়েছেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচন ও বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর উপর হামলা হয়েছিল। তখন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছিলেন। তাঁর বাবা প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক রমজান আলিকে কলকাতার MLA হস্টেলে খুন করা হয়েছিল। তাই তিনি চান না তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারের প্রভাব ছেলেদের উপর পড়ুক। স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে এক মুহূর্তের জন্যও ছেলেদের একা ছেড়ে রেখে প্রচারে যেতে চান না তিনি।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

এই বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "এটা আমার কাছে নতুন অভিজ্ঞতা। আমার স্ত্রীর পরীক্ষা রয়েছে। তাই তাঁকে বেঙ্গালুরু যেতে হয়েছে। আর ওখানে পরীক্ষা চলাকালীন মায়ের কাছে বাচ্চাদের রেখে আসা সম্ভব নয়। সামনেই নির্বাচন। এখন তাই বাচ্চাদের নিয়েই প্রচার করছি। মা ও বাবা দু'জনের দায়িত্ব এখন পালন করতে হচ্ছে। এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে দলের হয়ে প্রচারও করতে হচ্ছে।"

এই বয়সেই প্রচারের ময়দানে বাচ্চাদের নিয়ে এসে কি তাদের এখন থেকেই রাজনৈতিক তালিম দিচ্ছেন তিনি? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি মজা করেই বলেন, "ছেলেরা নেহাতই ছোট। তাই রাজনৈতিক তালিম বিষয়টা সেরকম নয়। কিন্তু ফরওয়ার্ড ব্লক পরিবারের সদস্য হওয়ায় এখন থেকেই ফরওয়ার্ড ব্লকের ঝাণ্ডা হাতে তুলে নিয়েছে তারা।"

রায়গঞ্জ, 8 এপ্রিল : রায়গঞ্জের বামফ্রন্ট প্রার্থী CPI(M)-এর মহম্মদ সেলিমের সমর্থনে দুই ছেলে আহান আলি (5) ও ভিহান আলি (3) -কে সঙ্গে নিয়ে প্রচারের ময়দানে চাকুলিয়ার ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক আলি ইমরান রমজ (ভিক্টর)।

একাধারে আব্বা ও আম্মি হিসেবে নিজের সন্তানদের প্রতি দায়িত্ব সেইসঙ্গে বিধায়ক হিসেবে দলের প্রতি দায়িত্ব, দুটোই সমান্তরালভাবে সামলাচ্ছেন ভিক্টর। আজ চাকুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম গোচরায় কর্মিসভা করতে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল দুই ছেলে। দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারের পাশাপাশি নজর রেখেছিলেন ছেলেদের উপর। বড় ছেলে আহান কিছুটা শান্ত হলেও ছোট ছেলে ভিহান বেশ দুষ্টু। আহান আব্বার পাশে বসে থাকলেও ভিহান এলাকার গৃহপালিত পশুদের নিয়ে খেলা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কখনও ছাগলছানাকে নিয়ে সে আপন মনে ঘুরে বেড়িয়েছে, কখনও বা সেই ছাগলছানার পিঠেই চড়ে বসছে। বকাঝকা করেও বিশেষ কিছু লাভ হচ্ছে না। তাদের দু'জনকে সামলানোর পাশাপাশি দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারও চালাচ্ছেন ভিক্টর। নির্বাচনের আগে এখন সকাল থেকে রাত এভাবেই কাটছে তাঁর। তবে ছেলেদের চোখের আড়াল করতে তিনি অবশ্য রাজি নন। কারণ তিনি নিজে এর আগে বহুবার রাজনৈতিক হামলার শিকার হয়েছেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচন ও বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর উপর হামলা হয়েছিল। তখন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছিলেন। তাঁর বাবা প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক রমজান আলিকে কলকাতার MLA হস্টেলে খুন করা হয়েছিল। তাই তিনি চান না তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারের প্রভাব ছেলেদের উপর পড়ুক। স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে এক মুহূর্তের জন্যও ছেলেদের একা ছেড়ে রেখে প্রচারে যেতে চান না তিনি।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

এই বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "এটা আমার কাছে নতুন অভিজ্ঞতা। আমার স্ত্রীর পরীক্ষা রয়েছে। তাই তাঁকে বেঙ্গালুরু যেতে হয়েছে। আর ওখানে পরীক্ষা চলাকালীন মায়ের কাছে বাচ্চাদের রেখে আসা সম্ভব নয়। সামনেই নির্বাচন। এখন তাই বাচ্চাদের নিয়েই প্রচার করছি। মা ও বাবা দু'জনের দায়িত্ব এখন পালন করতে হচ্ছে। এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে দলের হয়ে প্রচারও করতে হচ্ছে।"

এই বয়সেই প্রচারের ময়দানে বাচ্চাদের নিয়ে এসে কি তাদের এখন থেকেই রাজনৈতিক তালিম দিচ্ছেন তিনি? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি মজা করেই বলেন, "ছেলেরা নেহাতই ছোট। তাই রাজনৈতিক তালিম বিষয়টা সেরকম নয়। কিন্তু ফরওয়ার্ড ব্লক পরিবারের সদস্য হওয়ায় এখন থেকেই ফরওয়ার্ড ব্লকের ঝাণ্ডা হাতে তুলে নিয়েছে তারা।"

Intro:রায়গঞ্জ,০৮ এপ্রিল:- নিজেও বহুবার হামলার শিকার হয়েছেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচন বা বিধানসভা নির্বাচনে তার ওপর হওয়া ভিন্ন ভিন্ন হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন তিনি। বাবা প্রয়াত ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক রমজান আলী কলকাতার এমএলএ হোস্টেল খুন হয়েছিলেন। তাই স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে একা পড়ে যাওয়া তার পাঁচ ও তিন বছরের ছেলেকে বাড়িতে একা রেখে কোনভাবেই প্রচারে যাওয়ার পক্ষ নয় চাকুলিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক আলি ইমরান রমজ(ভিক্টর)। কিন্তু নির্বাচনের সময় হাত গুটিয়ে বসে থাকাও বরাবরের রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যের একদমই মানানসই নয়। অগত্যা দুই ছেলে আহান আলী ও ভিহান আলীকে সঙ্গে নিয়েই প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে শহুরে এলাকায় বামফ্রন্ট প্রার্থী মহ: সেলিম এর সমর্থনে প্রচার সারছেন ভিক্টর বাবু। প্রচারে মাঝেই একাধারে মা ও বাবার দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। একদিকে দলীয় প্রার্থীর প্রচার অন্যদিকে দুই ছেলের স্নান খাওয়া দাওয়া দুদিকেই সমান নজর রাখছেন তিনি।

লোকসভা নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। দিন যত এগিয়ে আসছে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের প্রচার এর তীব্রতা বাড়ছে। বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন। বাদ নেই তৃণমূল স্তরের নেতা নেত্রী থেকে কেন্দ্রীয় হেভিওয়েট নেতারা। উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ও প্রায় একই চিত্র। এসবের মাঝেই হঠাৎ নজর কাটছে এক বিধায়ক বাবার দলের ও নিজের সন্তানদের প্রতি সমান্তরাল দায়িত্ববোধ। এদিন চাকুলিয়া বিধানসভার প্রত্যন্ত গ্রাম গোচরা এলাকায় কর্মীসভা করছিলেন ভিক্টর বাবু। পাশাপাশি নজর রেখে চলেছেন দুই ছেলের ওপর। বড় ছেলে আহান কিছুটা শান্ত হয়ে বাবার পাশে বসে থাকলেও দুষ্টু ভিহান এলাকার গৃহপালিত পশুদের নিয়ে খেলতে ব্যস্ত। বকাঝকা করে ও খুব একটা লাভের লাভ কিছু হচ্ছে না তাকে। দড়ি দিয়ে বাঁধা একটি ছাগল ছানা কে নিয়ে সে আপন মনে ঘুরে বেড়াচ্ছে এদিক ওদিক। কখনো তার পিঠে চড়ে ঘোড়সাওয়ার দের মত চড়ে বেড়াচ্ছে। আবার কখনো দড়ি ধরে টেনে বাবার গাড়িতে বেঁধে রাখছে। কোন ভাবেই তার হাত থেকে ছাগলছানা কে ছাড়াতে পারছে না দলীয় কর্মীরা। যা দেখে এলাকার প্রবীণ বাসিন্দারা হেসে কুটিপাটি। দল সূত্রে খবর শুধুমাত্র এদিনই নয় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এ কিভাবে দিন কাটছে ভিক্টর বাবুর। কখনো কখনো ছেলেরা ঘুমিয়ে পড়লে তাদের গাড়িতেই শুয়ে দিচ্ছেন তিনি। খাওয়া-দাওয়া চলছে প্রচার এর মাঝেই। তবে এক মুহূর্ত নিজের থেকে দূরে রাখতে চান না ছেলেদের।

নির্বাচনের সময় হঠাৎই স্ত্রীর পরীক্ষার দিন ঘোষণা হয়ে যায় । তাই স্ত্রীকে ব্যাঙ্গালোরে রেখে আসতে বাধ্য হন ভিক্টরবাবু। পরীক্ষার সময় স্ত্রীর কাছে ছেলেদের রাখা কোনভাবেই সম্ভব না । তাই ছেলেদের দেখাশুনার দায়িত্ব পড়ে তার কাঁধে ।অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে পরিচিত চাকুলিয়া বিধানসভার বাম বিধায়কের এর আগেও পঞ্চায়েত এবং পৌরসভা নির্বাচনের সময় নিরাপত্তা নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে তার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তার ওপর অন্যান্য দলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে ছিলেন বলেও অভিযোগ করেন ভিক্টর বাবু। তাই কোনভাবেই যেন তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের প্রভাব তার ছেলেদের উপর না পরে এ কারণেই তাদের সঙ্গে নিয়েই প্রচারে বের হন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে ভিক্টর বাবু বলেন এটা আমার কাছে নতুন একটি অভিজ্ঞতা। স্ত্রী পরীক্ষা দিতে বাইরে যাওয়ার কারণেই এই দুই ছেলেকে নিয়ে প্রচারে বের হতে হচ্ছে। রাজনৈতিক তালিম হচ্ছে কি? প্রশ্নের জবাবে তার ছাপ উত্তর রাজনৈতিক পরিবারের ছেলে তাদের আলাদা কি করে তা লিমে কিছু নেই এখন তারা খেলার ছলেই দলীয় পতাকা ধরেছে।

তারক চক্রবর্তী রায়গঞ্জ।


Body:হাস


Conclusion:হস্যঃ
Last Updated : Apr 9, 2019, 12:19 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.