রায়গঞ্জ, 8 এপ্রিল : রায়গঞ্জের বামফ্রন্ট প্রার্থী CPI(M)-এর মহম্মদ সেলিমের সমর্থনে দুই ছেলে আহান আলি (5) ও ভিহান আলি (3) -কে সঙ্গে নিয়ে প্রচারের ময়দানে চাকুলিয়ার ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক আলি ইমরান রমজ (ভিক্টর)।
একাধারে আব্বা ও আম্মি হিসেবে নিজের সন্তানদের প্রতি দায়িত্ব সেইসঙ্গে বিধায়ক হিসেবে দলের প্রতি দায়িত্ব, দুটোই সমান্তরালভাবে সামলাচ্ছেন ভিক্টর। আজ চাকুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম গোচরায় কর্মিসভা করতে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল দুই ছেলে। দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারের পাশাপাশি নজর রেখেছিলেন ছেলেদের উপর। বড় ছেলে আহান কিছুটা শান্ত হলেও ছোট ছেলে ভিহান বেশ দুষ্টু। আহান আব্বার পাশে বসে থাকলেও ভিহান এলাকার গৃহপালিত পশুদের নিয়ে খেলা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কখনও ছাগলছানাকে নিয়ে সে আপন মনে ঘুরে বেড়িয়েছে, কখনও বা সেই ছাগলছানার পিঠেই চড়ে বসছে। বকাঝকা করেও বিশেষ কিছু লাভ হচ্ছে না। তাদের দু'জনকে সামলানোর পাশাপাশি দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারও চালাচ্ছেন ভিক্টর। নির্বাচনের আগে এখন সকাল থেকে রাত এভাবেই কাটছে তাঁর। তবে ছেলেদের চোখের আড়াল করতে তিনি অবশ্য রাজি নন। কারণ তিনি নিজে এর আগে বহুবার রাজনৈতিক হামলার শিকার হয়েছেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচন ও বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর উপর হামলা হয়েছিল। তখন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছিলেন। তাঁর বাবা প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক রমজান আলিকে কলকাতার MLA হস্টেলে খুন করা হয়েছিল। তাই তিনি চান না তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারের প্রভাব ছেলেদের উপর পড়ুক। স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে এক মুহূর্তের জন্যও ছেলেদের একা ছেড়ে রেখে প্রচারে যেতে চান না তিনি।
এই বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "এটা আমার কাছে নতুন অভিজ্ঞতা। আমার স্ত্রীর পরীক্ষা রয়েছে। তাই তাঁকে বেঙ্গালুরু যেতে হয়েছে। আর ওখানে পরীক্ষা চলাকালীন মায়ের কাছে বাচ্চাদের রেখে আসা সম্ভব নয়। সামনেই নির্বাচন। এখন তাই বাচ্চাদের নিয়েই প্রচার করছি। মা ও বাবা দু'জনের দায়িত্ব এখন পালন করতে হচ্ছে। এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে দলের হয়ে প্রচারও করতে হচ্ছে।"
এই বয়সেই প্রচারের ময়দানে বাচ্চাদের নিয়ে এসে কি তাদের এখন থেকেই রাজনৈতিক তালিম দিচ্ছেন তিনি? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি মজা করেই বলেন, "ছেলেরা নেহাতই ছোট। তাই রাজনৈতিক তালিম বিষয়টা সেরকম নয়। কিন্তু ফরওয়ার্ড ব্লক পরিবারের সদস্য হওয়ায় এখন থেকেই ফরওয়ার্ড ব্লকের ঝাণ্ডা হাতে তুলে নিয়েছে তারা।"