রায়গঞ্জ, 22 মার্চ : দুর্গাপুজো, ভোটের মতো বিশেষ সময়গুলিতে রিনরিনিয়ে ওঠে তাঁর সুরেলা কণ্ঠ ৷ বেজে ওঠে দোতারা ৷ এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি ৷ ভোটের আবহে ফের বেজে উঠেছে লোকশিল্পী তরণীমোহন বিশ্বাসের যন্ত্র ৷ তৃণমূলের খেলা হবে স্লোগান নিয়ে গান বেঁধেছেন তিনি ৷
ভোটের বাজার মাতাচ্ছে বিভিন্ন দলের তৈরি গান, স্লোগান ৷ বিশেষ করে খেলা হবে স্লোগান বেশ সাড়া ফেলেছে ৷ ছোটো বড় নেতাদের মুখে আকছারই শোনা যাচ্ছে এই স্লোগান ৷ বাদ নেই তৃণমূল নেত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ৷ তাই উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ তথা উত্তরবঙ্গের লোকসংগীত শিল্পী তরণীমোহন বিশ্বাসও তাঁর গানের কথায় জুড়েছেন 'খেলা হবে' শব্দ দুটি ৷ তরণী সুরে ঠাঁই পেয়েছে টুম্পা, রামের মতো শব্দগুলিও ৷ তরণীবাবুর দোতারায় ফুটে উঠেছে বেকারত্বের জ্বালা ৷ গানের কথায় তিনি বলছেন, 'আমরা খেলা চাই না, চাকরি চাই' ৷
আরও পড়ুন : ভোট দিতে পথে টুম্পা, বামেদের নতুন প্যারোডি
এই গানের কলি গেয়ে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে পৌঁছে গিয়েছেন শিল্পী ৷ 'খেলা হবে' স্লোগানের বিরোধিতায় মুখর হয়েছেন ৷ গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র রাজ্যের জনগণ তথা ভোটারদের এই গানের মাধ্যমে সচেতন করেছেন তিনি । গানের মাধ্যমে তাঁর বার্তা, অনেক খেলা আমরা দেখেছি ৷ আর খেলা নয় ৷ বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও রাজ্যে শিল্প চাই ৷
রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন কাশিবাটী গ্রামের বাসিন্দা উত্তরবঙ্গের প্রথিতযশা লোকসংগীত শিল্পী তরণীমোহন বিশ্বাস ৷ তাঁর গলায় এখন 'খেলা হবে' স্লোগানের পালটা সুর ৷ উত্তরবঙ্গের এই স্বনামধন্য শিল্পী বলেছেন, "আমরা লোকসংগীত শিল্পীরা দু'চোখের সামনে যা দেখি তা গানের আকারে মানুষের কাছে তুলে ধরি । এবার ভোটের আগে শোনা গেল খেলা হবে গান । খেলা হবে গানের আসল মানে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতেই আমি গান বেঁধেছি ৷"
আরও পড়ুন : লাভলি-টুম্পা-পিসি- ভোটের বাজারে গানের লড়াই
তিনি আরও বলেন, "আমরা গ্রামের সাধারণ মানুষ ৷ আমরা খেলা চাই না ৷ চাই কর্মসংস্থান আর উন্নয়ন ।" তরণীবাবুর মতে, আসলে এই খেলা রাজনৈতিক নেতাদের দলবদলের খেলা ৷ এতে সাধারণ মানুষ আজ বিভ্রান্ত ৷ পাশাপাশি ভোট মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ৷ গানের মাধ্যমে রাজ্যবাসীকে ভেবেচিন্তে সেই অধিকার প্রয়োগের বার্তা দিচ্ছেন তরণীমোহন বিশ্বাস ৷