রায়গঞ্জ, 17 এপ্রিল: সোমবার সকাল 6টা থেকে শুরু হয়েছে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ডাকা 12 ঘণ্টার বনধ ৷ বনধের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে সেখানে । অন্য বনধে সরকারি বাস চলাচল করলেও, আদিবাসীদের এদিনের ডাকা বনধে চাকা তেমন ঘোরেনি সরকারি বাসের । ঘোরেনি বেসরকারি বাসের চাকাও । কেবল রাস্তায় দেখা মিলছে দুই একটি লোকের ৷ ছোট গাড়িও বন্ধ রয়েছে । দোকানপাট, হাট বাজার সেভাবে না খুললেও বেলা আরও বাড়লে বোঝা যাবে বনধের আসল প্রভাব ৷ বনধের সমর্থনে আদিবাসীদের চিরাচরিত অস্ত্র দা, তির ধনুক নিয়ে রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি ও কসবা মোড় এলাকার 34 নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন ।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের তিন আদিবাসী মহিলাকে বিজেপি যোগ দেওয়ার শাস্তি হিসেবে তাদের রাস্তায় দণ্ডি কাটিয়ে তৃণমূল কার্যালয়ে যেতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ । এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে ব্যাপক আলোড়ন পড়েছে । বিজেপির পক্ষ থেকে আদিবাসী মহিলা কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে দলের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ তবে তাঁর বিরুদ্ধে আইনত কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি । আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ তা করার সত্বেও পুলিশ এখনও অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে গ্রেফতার করেনি ।
অভিযুক্তকে গ্রেফতার এবং আদিবাসীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে সোমবার রাজ্য জুড়ে 12 ঘণ্টা বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান নামে এই সংগঠন । বনধের অংশ হিসাবে রায়গঞ্জের কসবা ও শিলিগুড়ি মোড় এলাকার 34 নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখায় দূরপাল্লার লড়ি ও বাস আটকে পরে সেখানে । এই গরমে নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে । বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের দাবি আদায়ে বনধের ডাক দেয় ৷ তবে সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বনধ ব্যর্থ করতে বিভিন্ন সরকারি নির্দেশ জারি করা হয় । আদিবাসীদের ডাকা বাংলা বনধ না করার জন্য সরকারিভাবে কোনও নির্দেশ নেই ৷ ফলে রাজ্য সরকার বিরোধিতা না করায় বনধ সর্বাত্মক আকার নিয়েছে । এই বনধের পরও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা না হলে আগামীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান ।
আরও পড়ুন: দণ্ডিকাণ্ডের প্রতিবাদ! সোমবার বাংলা বনধের ডাক আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের