ETV Bharat / state

পানীয় জলের কলে পোকা, আয়রন; সমাধানের আশ্বাস গোবরডাঙা পৌর প্রশাসকের

পানীয় জলের কল থেকে জলের সঙ্গে পড়ে পোকা, আয়রন ৷ তাই কলে কাপড়ের টুকরো বেঁধেই নেওয়া হয় পানীয় জল ৷ জলের পাইপ, ট্যাঙ্ক তৈরি হয়েছিল 1984 সালে ৷ তারপর থেকে এই পাইপেই আসে জল ৷ অ্যাসবেস্টরের পাইপ নষ্ট হয়েছে ৷ আর তাই এই সমস্যা ৷ স্বীকার করার পাশাপাশি সমাধানেরও আশ্বাস দিয়েছেন পৌর প্রশাসক সুভাষ দত্ত ৷

পানীয় জলের কলে পোকা, আয়রন
পানীয় জলের কলে পোকা, আয়রন
author img

By

Published : Jun 30, 2020, 3:47 PM IST

Updated : Aug 4, 2020, 3:00 PM IST

গোবরডাঙা, 30 জুন : সারাদিনে তিনবার পানীয় জল আসে ৷সে সময়ই যে যার বাড়ির জন্য জল ভরে রাখেন ৷ কিন্তু, কলতলায় গেলেই নজরে আসে এক অন্য ছবি ৷বালতি, কলসি, বোতলের সঙ্গে প্রত্যেকের হাতেই একটাকরে ছোটো কাপড়ের টুকরো ৷ যে যার জল ভরার সময় সেই কাপড়ের টুকরো কলের মুখে বেঁধেদেন ৷ কেন হঠাৎ এভাবে জল ভরেন গোবরডাঙা পৌরসভার বাসিন্দারা ? তাঁদের অভিযোগ, পানীয় জলের কল থেকে পোকা, কেঁচো ও আয়রন পড়ে ৷ তাই পরিষ্কারজলের জন্যই কলের মুখে কাপড় বেঁধে দেওয়া হয় ৷

দেশেরঅন্যতম প্রাচীন পৌরসভাগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তর 24 পরগনার গোবরডাঙা পৌরসভা ৷ 1870 সালে এই পৌরসভা গঠিত হয় ৷ প্রথমপৌরপ্রধান ছিলেন বিদ্যাসাগরের ছাত্র শ্রীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ৷ তাঁর নাম অনুসারেপৌরভবনের নাম রাখা হয় শ্রীশচন্দ্র ভবন ৷ দেড়শো বছরের পুরানো এই পৌরসভায় মোট 17টি ওয়ার্ড ৷ জনসংখ্যা 50 হাজার মতো ৷ শহরের বাসিন্দাদের পানীয়জল সরবরাহের জন্য দু'টিট্যাঙ্ক রয়েছে ৷ একটি ট্যাঙ্ক রয়েছে চার নম্বর ওয়ার্ডের কুমারপল্লিতে ৷ অন্যটিহায়দরপুরে ৷

কুমারপল্লিরট্যাঙ্ক থেকে শহরের এক থেকে আট পর্যন্ত মোট আটটি ওয়ার্ডে পানীয় জল সরবরাহ করা হয় ৷অন্যদিকে, হায়দরপুরেরট্যাঙ্কের জল পৌঁছায় নয় থেকে 15 পর্যন্ত মোট সাতটি ওয়ার্ডে ৷ এই ট্যাঙ্ক দু'টির জল সারাদিনে তিনবার পায়বাসিন্দারা ৷ কিন্তু, কল থেকেযে জল বের হয়, তা পানকরার যোগ্য নয় ৷ জলের সঙ্গে বের হয় কেঁচো, পোকা ও অন্যান্য দূষিত পদার্থ ৷ তাইঅনেকেই জল কিনে খান ৷ কিন্তু, যাঁদের কাছে এই উপায়টা নেই তাঁরা একপ্রকার নিরুপায় হয়েই কলেরজল খেতে বাধ্য হন ৷ একটু পরিষ্কার জল পেতে তাই নিজেরাই বাড়ি থেকে নিয়ে আসেনপরিষ্কার কাপড়ের টুকরো ৷ জল নেওয়ার আগে তা ভালো করে বেঁধে দেন কলের মুখে ৷ জলনেওয়ার পর তা আবার খুলে বাড়ি নিয়ে যান বাসিন্দারা ৷

পানীয় জলের কলে পোকা, আয়রন

চারনম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৌসুমি সাহা ও কাকলি মণ্ডল বলেন,"কল থেকেজলের সঙ্গে পোকা বের হয় ৷ জলে প্রচুর আয়রনও আছে ৷ তাই কলের মুখে কাপড় বেঁধে জলনিতে হয় ৷ পৌরসভাকে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি ৷ দীর্ঘদিন ধরে এই জলই আসছে ৷"কুমারপল্লির জলের ট্যাঙ্ক চত্বরে গিয়ে দেখা গেল গোটা ট্যাঙ্ক চত্বর জঙ্গলে ভরেগিয়েছে ৷ সেখানে কর্মী সংখ্যা নয় ৷ তাঁরাও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যেই কাজ করতেবাধ্য হচ্ছেন ৷

জলের এই সমস্যার কথা স্বীকারকরে নেন গোবরডাঙা পৌর প্রশাসক সুভাষ দত্ত ৷ বলেন, "1984 সালে ট্যাঙ্ক দু'টো তৈরি হয়েছে ৷ তখন অ্যাসবেস্টর পাইপ ব্যবহার করা হত৷ সেগুলো মাটির নিচে অনেক জায়গায় ফেটে গিয়েছে ৷ মেরামত করা হয়নি ৷ তাই জলপরিচ্ছন্ন নেই ৷" তবে আশ্বাসও দেন তিনি ৷ বলেন, "শহরে গঙ্গার পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হবে ৷ পাইপলাইনের কাজটুকু বাকি রয়েছে ৷ টাকা এসে গিয়েছে ৷ ওই কাজটুকু হয়ে গেলে গোবরডাঙায় আরপানীয় জলের কোনও সমস্যা থাকবে না ৷"

গোবরডাঙা, 30 জুন : সারাদিনে তিনবার পানীয় জল আসে ৷সে সময়ই যে যার বাড়ির জন্য জল ভরে রাখেন ৷ কিন্তু, কলতলায় গেলেই নজরে আসে এক অন্য ছবি ৷বালতি, কলসি, বোতলের সঙ্গে প্রত্যেকের হাতেই একটাকরে ছোটো কাপড়ের টুকরো ৷ যে যার জল ভরার সময় সেই কাপড়ের টুকরো কলের মুখে বেঁধেদেন ৷ কেন হঠাৎ এভাবে জল ভরেন গোবরডাঙা পৌরসভার বাসিন্দারা ? তাঁদের অভিযোগ, পানীয় জলের কল থেকে পোকা, কেঁচো ও আয়রন পড়ে ৷ তাই পরিষ্কারজলের জন্যই কলের মুখে কাপড় বেঁধে দেওয়া হয় ৷

দেশেরঅন্যতম প্রাচীন পৌরসভাগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তর 24 পরগনার গোবরডাঙা পৌরসভা ৷ 1870 সালে এই পৌরসভা গঠিত হয় ৷ প্রথমপৌরপ্রধান ছিলেন বিদ্যাসাগরের ছাত্র শ্রীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ৷ তাঁর নাম অনুসারেপৌরভবনের নাম রাখা হয় শ্রীশচন্দ্র ভবন ৷ দেড়শো বছরের পুরানো এই পৌরসভায় মোট 17টি ওয়ার্ড ৷ জনসংখ্যা 50 হাজার মতো ৷ শহরের বাসিন্দাদের পানীয়জল সরবরাহের জন্য দু'টিট্যাঙ্ক রয়েছে ৷ একটি ট্যাঙ্ক রয়েছে চার নম্বর ওয়ার্ডের কুমারপল্লিতে ৷ অন্যটিহায়দরপুরে ৷

কুমারপল্লিরট্যাঙ্ক থেকে শহরের এক থেকে আট পর্যন্ত মোট আটটি ওয়ার্ডে পানীয় জল সরবরাহ করা হয় ৷অন্যদিকে, হায়দরপুরেরট্যাঙ্কের জল পৌঁছায় নয় থেকে 15 পর্যন্ত মোট সাতটি ওয়ার্ডে ৷ এই ট্যাঙ্ক দু'টির জল সারাদিনে তিনবার পায়বাসিন্দারা ৷ কিন্তু, কল থেকেযে জল বের হয়, তা পানকরার যোগ্য নয় ৷ জলের সঙ্গে বের হয় কেঁচো, পোকা ও অন্যান্য দূষিত পদার্থ ৷ তাইঅনেকেই জল কিনে খান ৷ কিন্তু, যাঁদের কাছে এই উপায়টা নেই তাঁরা একপ্রকার নিরুপায় হয়েই কলেরজল খেতে বাধ্য হন ৷ একটু পরিষ্কার জল পেতে তাই নিজেরাই বাড়ি থেকে নিয়ে আসেনপরিষ্কার কাপড়ের টুকরো ৷ জল নেওয়ার আগে তা ভালো করে বেঁধে দেন কলের মুখে ৷ জলনেওয়ার পর তা আবার খুলে বাড়ি নিয়ে যান বাসিন্দারা ৷

পানীয় জলের কলে পোকা, আয়রন

চারনম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৌসুমি সাহা ও কাকলি মণ্ডল বলেন,"কল থেকেজলের সঙ্গে পোকা বের হয় ৷ জলে প্রচুর আয়রনও আছে ৷ তাই কলের মুখে কাপড় বেঁধে জলনিতে হয় ৷ পৌরসভাকে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি ৷ দীর্ঘদিন ধরে এই জলই আসছে ৷"কুমারপল্লির জলের ট্যাঙ্ক চত্বরে গিয়ে দেখা গেল গোটা ট্যাঙ্ক চত্বর জঙ্গলে ভরেগিয়েছে ৷ সেখানে কর্মী সংখ্যা নয় ৷ তাঁরাও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যেই কাজ করতেবাধ্য হচ্ছেন ৷

জলের এই সমস্যার কথা স্বীকারকরে নেন গোবরডাঙা পৌর প্রশাসক সুভাষ দত্ত ৷ বলেন, "1984 সালে ট্যাঙ্ক দু'টো তৈরি হয়েছে ৷ তখন অ্যাসবেস্টর পাইপ ব্যবহার করা হত৷ সেগুলো মাটির নিচে অনেক জায়গায় ফেটে গিয়েছে ৷ মেরামত করা হয়নি ৷ তাই জলপরিচ্ছন্ন নেই ৷" তবে আশ্বাসও দেন তিনি ৷ বলেন, "শহরে গঙ্গার পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হবে ৷ পাইপলাইনের কাজটুকু বাকি রয়েছে ৷ টাকা এসে গিয়েছে ৷ ওই কাজটুকু হয়ে গেলে গোবরডাঙায় আরপানীয় জলের কোনও সমস্যা থাকবে না ৷"

Last Updated : Aug 4, 2020, 3:00 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.