বনগাঁ, 27 অগস্ট: দত্তপুকুর বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে সাত জনের। আশপাশের একাধিক বাড়ি ভেঙে এলাকা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। কিন্তু দুপুর সাড়ে 12টা পর্যন্ত সে খবর জানেনই না রাজ্যের কৃষি এবং পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। রবিবার বনগাঁয় এক অনুষ্ঠানে এসে মন্ত্রী জানান, তিনি এই বিস্ফোরণের বিষয়ে কিছুই জানেন না ৷ সুতরাং এ বিষয়ে কোনও মন্তব্যও তিনি করবেন না ৷
পশ্চিমবঙ্গ পৌর কর্মচারী ফেডারেশনের 26 তম দ্বি-বার্ষিকী রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় উত্তর 24 পরগনার বনগাঁয় অন্নপূর্ণা লজ প্রাঙ্গণে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব। অনুষ্ঠানে সাড়ে 12টা নাগাদ প্রবেশ করেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তখন তাঁকে দত্তপুকুরের বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি সাংবাদিকদের পালটা প্রশ্ন করেন, কখন ঘটনা ঘটেছে। এরপর মন্ত্রী জানান, বিষয়টি তাঁর অজানা। ফলে, না জেনে কোনও মন্তব্য তিনি করবেন না। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, বিস্ফোরণের জেরে এতগুলো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেই খবর কী করে অজানা থাকে রাজ্যের একজন মন্ত্রীর কাছে?
আরও পড়ুন: দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, এদিক ওদিক ছিটকে দেহাংশ! মৃতের সংখ্যা ঘিরে সংশয়
তবে বিরোধীরা গোটা ঘটনায় যেভাবে পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সেই প্রসঙ্গে শোভনদেব বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছেন রাজ্যের সমস্ত বাজি কারখানাগুলিকে একজায়গায় নিয়ে এসে ভালো করে তদারকি করা হবে। ক্লাস্টার তৈরির কথাও ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবৈধ বাজি কারখানা সবই বন্ধ হয়ে যাবে।" এর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর বাজি কারখানাগুলির উপর নজরদারি চালানোর জন্য ক্লাস্টার গঠনের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। এরপর দত্তপুকুরের এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ফের উঠছে প্রশ্ন।