বনগাঁ, 3 মার্চ : বন দফতরের অনুমতি ছাড়া পঞ্চায়েত প্রধান ও তৃণমূলের ব্লক সভাপতির উপস্থিতিতে ব্যক্তি মালিকানায় থাকা 8টি প্রাচীন গাছ কাটার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে । রবিবার বাগদা থানার হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের 1 নম্বর কলোনি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে (Illegal Tree Cutting at Bagdah) । জমির মালিক বিজয় রায় বাগদা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন । পাল্টা বিজয়ের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল করে রাখার অভিযোগ এনেছেন বাসিন্দারা ।
বিজয় রায় বলেন, "হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চায়না বিশ্বাস এবং বাগদা পশ্চিম ব্লক তৃণমূল সভাপতি অঘোর চন্দ্র হালদারের উপস্থিতিতে স্থানীয়রা বেআইনিভাবে জোর করে আমার জমির মধ্যে থাকা গাছ কেটে নিয়েছে ।" পাল্টা স্থানীয়দের বক্তব্য়, হেলেঞ্চা পঞ্চায়েতের 1 নম্বর কলোনি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জল নিকাশির সমস্যা রয়েছে । হেলেঞ্চা বাজার, স্কুল-কলেজ এলাকার জমা জল বের করার কোনও নিকাশি নালা না থাকায় বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে এলাকা । নর্দমার জল জমে থাকায় বিভিন্ন মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয় বাসিন্দারা । এলাকার মানুষের দাবি মেনে কয়েক মাস আগে বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে 1 কোটি 20 লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওই এলাকায় নিকাশি নালার কাজ শুরু হয় ।
আরও পড়ুন: নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু, অভিযোগের তির মা ও সৎ বাবার দিকে
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নিকাশি নালা তৈরির কাজ অনেকটা এগিয়ে গেলেও হেলেঞ্চা প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন বিজয় রায়ের বাড়ি কাছের কয়েকটি গাছ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল । স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত রায় বলেন, "বিজয় রায়ের জোর করে দখল করে রাখা জমির মধ্যে 8টি সেগুন গাছ রয়েছে । সেগুলি কেটে নিকাশি নালা করার জন্য আমরা প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে দরবার করেও কোনও সুরাহা মেলেনি । এদিন সকালে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা উন্নয়নের স্বার্থে গাছগুলি কেটে ফেলে ।" তাঁদের উপস্থিতিতে গাছ কাটার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চায়না বিশ্বাস ও বাগদা পশ্চিম ব্লক তৃণমূল সভাপতি অঘোর চন্দ্র হালদার । চায়না দেবী বলেন, "গাছগুলি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ ছিল । জনগণ গাছ কেটে ফেলেছে ৷ কারা কেটেছে তা আমাদের জানা নেই । বন দফতরের অনুমতির বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই ।" অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷