বনগাঁ, 30 অগস্ট: আবারও শহরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্র ৷ কলসেন্টার খুলে প্রতারণার অভিযোগে দু‘জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ ৷ ধৃতদের নাম অভিজিৎ সাহা ও মৌমিতা দাস ৷ মঙ্গলবার মধ্যমগ্রাম থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে উত্তর 24 পরগরনার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ ৷ আজ অভিযুক্তদের বনগাঁ আদালেত তোলা হয়েছে ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রামে একটি কল সেন্টার খুলে সেখান থেকে বিভিন্ন লোককে ফোন করা হত । ফোনে তাদের মোটা অংকের লোন দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হত । কেউ লোন নিতে রাজি হলে তারা শুরু করে দিত প্রতারণার কাজ । প্রসেসিং ফি-র নাম করে টাকার দাবি করা হত । যা ছিল প্রতারণার প্রথম ধাপ ৷ প্রসেসিং ফি-র নাম করে ধাপে ধাপে টাকার দাবি করা হত প্রতারকরদের কাছে । তাঁদের ফাদে পা দিয়ে কেউ প্রসেসিং ফি দিলে বেপাত্তা হয়ে যেত তাঁর অ্যাকাউন্টের টাকা ।
সম্প্রতি এমনই এক ফাঁদে পড়েছেন বনগাঁ প্রতাপগড়ের ব্যবসায়ী দিলিপ বণিক । অভিযোগ, জুন মাসের 6 তারিখ তার কাছে একটি ফোন কল আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে তাঁকে মোটা অংকের টাকা লোন দেওয়ার টোপ দেওয়া হয় ৷ সেই ফাঁদে পা দেন ওই ব্যবসায়ী ৷ 28 হাজার টাকা দেন প্রতারকদের । টাকা দেওয়ার পর বেপাত্ত হয়ে যায় সংস্থার লোকজন । একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয় না ৷ প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে চলতি মাসের 5 তারিখ বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ ৷ মধ্যমগ্রাম থেকে অভিজিৎ ও এক টেলি কলার মৌমিতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে 20 থেকে 25 লক্ষ টাকা প্রতারণার হদিশ পেয়েছে পুলিশ ৷ এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের কোনও যোগসাজশ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: স্বামীকে পুলিশে ধরেছে, শুনেই প্রতারককে সব গয়না তুলে দিলেন গৃহবধূ