বারাসত, 27 এপ্রিল : শ্বাসকষ্টে একই এলাকার 2 বৃদ্ধের মৃত্যু হয় । ঘটনায় কোরোনার আতঙ্কে এলাকার বিভিন্ন গলি বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে সিল করল স্থানীয় বাসিন্দারা । ঘটনাটি বারাসতের শালবাগান এলাকার । বাসিন্দাদের সন্দেহ, কোরোনায় আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই দুই বৃদ্ধের । তবে তাঁদের মৃত্যু কোরোনাতে কিনা তা নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এলে জানা যাবে । সূত্রের খবর, তারপরই পরিবারকে দেহ দেওয়া হবে কিনা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।
সূত্রের খবর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে একই এলাকার দুই বৃদ্ধ হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন । আজ দু'জনেরই মৃত্যু হয় । 65 বছর বয়সি এক বৃদ্ধ আজ সকালে ব্যারাকপুরের বেসরকারি কোরোনা হাসপাতালে মারা যান । অন্যদিকে, 70 বছর বয়সি আর এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে । দু'জনই গতকাল বিকেলে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভরতি হয়েছিলেন । আজ সকালে তাঁদের মৃত্যুর পরই কোরোনা আতঙ্ক ছড়ায় শালবাগান এলাকায় । বিভিন্ন গলি বাঁশ দিয়ে সিল করে দেয় স্থানীয়রা । তাঁদের সন্দেহ, কোরোনায় আক্রান্ত হয়েই ওই দু'জনের মৃত্যু হয়েছে । যদিও, তাঁদের মৃত্যু কোরোনার কারণেই হয়েছে কিনা, তা নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পরই জানা যাবে ।
বারাসত পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের শালবাগান এলাকার বাসিন্দা ওই দুই বৃদ্ধ কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন । এরপর,গতকাল বিকেলে হঠাৎ প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয় । যেহেতু তাঁরা জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন সেই জন্য মৃতদেহ এখনও তুলে দেওয়া হয়নি পরিবারের হাতে । হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃত ওই দু'জনের সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে । রিপোর্ট এলেই পরিষ্কার হবে, ওই দুই বৃদ্ধ কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কিনা । তারপরই দেহ দেওয়া যাবে কিনা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।
এ বিষয়ে এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, "কোরোনা নিয়ে এমনিতেই মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছে । তার উপর একই এলাকার দু'জনের মৃত্যু মানুষের মধ্যে আরও আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে । সেই জন্যই বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে এলাকার গলি সিল করে দেওয়া হয়েছে ।" অন্যদিকে, এবিষয়ে প্রশাসনিক স্তরে কেউ মুখ না খুললেও বারাসত পৌরসভার পৌরপ্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, "মানুষকে বলব অযথা আতঙ্কিত হবেন না । অন্য কাউকেও আতঙ্কিত করবেন না । সরকার ও প্রশাসন কোরোনা মোকাবিলায় সবরকমের চেষ্টা করছে । আপনারাও সচেতন ও সতর্ক হোন । সরকারের নির্দেশিত পথে চলুন । তাহলেই আর ব্যারিকেড দেওয়ার প্রয়োজন হবেনা ।"