দত্তপুকুর, 30 জুলাই: মোবাইল ছিনতাইয়ে বাধা পেয়ে চলন্ত বাইক থেকে দুই কলেজ ছাত্রকে গুলি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর 24 পরগনার দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছি এলাকায়। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সোনা নাথ ঘোষ ও শুভজিৎ ঘোষ (রিকি) নামে ওই দুই কলেজ ছাত্র। সোনা নাথের বুকের পাঁজরে গুলি লেগেছে। অপরজনের গলা ভেদ করে বেরিয়ে গিয়েছে গুলি। গুলিবিদ্ধ দু'জনকেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত মেডিক্যাল কলেজে।
পরে, গুলিবিদ্ধ সোনা নাথের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে সেখান থেকে উত্তর কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ৷ তবে, শুভজিতের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। ফলে তাঁর চিকিৎসা চলছে বারাসত হাসপাতালেই। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ কদম্বগাছির লক্ষ্মীপুরে পথচলতি সাইকেল আরোহীর মোবাইল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে দুই দুষ্কৃতী। বাধা পেয়ে তিনি যখন চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে তখন তাঁকে লক্ষ্য করে চলন্ত বাইক থেকে গুলি চালায় দুষ্কৃতীদের একজন।
আরও পড়ুন: রেল শহরে শুট আউট! ঘটনায় অস্ত্রসহ গ্রেফতার অভিযুক্ত
গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বরাতজোরে প্রাণে বাঁচেন ওই সাইকেল আরোহী। যদিও সেই গুলি গিয়ে লাগে কলেজ ছাত্র সোনা নাথের বুকের পাঁজরে। ঘটনাস্থলে আরও কয়েকজনের সঙ্গে মোবাইল গেমে ব্যস্ত ছিলেন সোনা। গুলি চালিয়ে কিছুদূর যেতে না-যেতেই আরও এক কলেজ ছাত্রের মোবাইল ছিনতাই করার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। সেখানেও বাধা পেয়ে চলন্ত বাইক থেকে শুভজিৎ ঘোষ নামে ওই কলেজ ছাত্রকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। তাতেই গুলিবিদ্ধ হন শুভজিৎ। পৃথক দু'টি জায়গায় পরপর দুই ছাত্রের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় স্বভাবতই এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এনিয়ে হাসপাতালের সামনেও সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ থাকায় পরিস্থিতি নাগালের বাইরে যায়নি। এই বিষয়ে গুলিবিদ্ধ সোনা নাথের দাদা অসিত ঘোষ বলেন, "আগেও এই এলাকায় মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ তার কোনও সুরাহা করতে পারেনি। আমরা চাই দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হোক ৷" এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শঙ্খ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়েই সম্ভবত এই ঘটনা ঘটিয়েছে দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে ওই এলাকায় পুলিশ পিকেটের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হবে।"
আরও পড়ুন: শুটআউটের পর আজ থমথমে ব্যারাকপুর, নিহতের বাড়ি গেলেন সাংসদ অর্জুন