বিধাননগর, 14 ডিসেম্বর: জাল প্যান ও আধার কার্ড তৈরি করে বিভিন্ন সংস্থা থেকে লোন নেওয়ার অভিযোগ ৷ পুলিশের জালে দুই মূল পাণ্ডা । দমদম এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ । জাল প্যান এবং আধার কার্ড তৈরি করে লোন প্রতারণা মামলায় অতনু হালদার-সহ একজনকে আগে গ্রেফতার করেছিল বিধাননগর সাইবার পুলিশ । অতনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই পুলিশ ধৃত এই দু'জনের নাম জানতে পারে । এরপর বিধাননগর সাইবার পুলিশের আধিকারিকরা দমদম অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে ভাস্কর মণ্ডল ও সৌরভ গোস্বামীকে গ্রেফতার করে ।
জানা গিয়েছে, ধৃত দু'জনেই দমদম এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন ৷ ধৃতদের কাছ থেকে চারটে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, একটি কিপ্যাড মোবাইল, 17টি ডেবিট কার্ড, একটি ওয়াইফাই রাউটার, দুটি সিম পাউচ ও একটি আধার কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, এ বছরের 19 জুলাই অর্ণব মণ্ডল নামে ফাইন্যান্স কোম্পানিতে চাকরিরত যুবক থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেন ৷ তিনি জানান, অতনু হালদার তাঁর কোম্পানিতে ওটিপি ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ডিজিটাল ফ্লেক্সি লোনের আবেদন করেছিল অনলাইনে । যেখানে 5 লক্ষ 14 হাজার 983 টাকার লোনের আবেদন করে ওই ব্যক্তি ৷ এই লোনের জন্য তিনি কিছু নথি সাবমিট করেছিল ৷ সেগুলি হল, একটি প্যান কার্ড এবং আধার কার্ড । যখন ভেরিফিকেশন করা হয় দেখা যায় পিতার নাম এবং জন্মতারিখ মিলে গিয়েছে ৷ বেতনের পরিমাণ মাসে মাসে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে ৷ 14 জুলাই 2023 তারিখে 5 লক্ষ 14 হাজার 983 টাকা অণবের কোম্পানির অ্যাকাউন্ট থেকে অতনুর অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয় ।
18 জুলাই ওই কোম্পানি জানতে পারে, অতনু হালদার আরেকটি ফাইন্যান্স সেক্টর থেকে 10 লক্ষ টাকা লোন নিয়েছে । এরপরেই তারা তার নথিগুলি পুনরায় যাচাই করে ৷ তখন জানা যায়, অতনু অন্যের নথিতে হেরফের করে জাল প্যান এবং আধার কার্ড জমা দিয়েছে এবং অন্য ব্যক্তির পরিচয় চুরি করে লোন নিয়েছে । এই তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এই দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । আজ তাঁদের বিধাননগর আদালতে তোলা হয় । নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই দু'জন জাল প্যান ও আধার কার্ডের প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে । জিজ্ঞাসাবাদে সেই বিষয়ে ও জানার চেষ্টা করা হবে ।
আরও পড়ুন: