ETV Bharat / state

নিউটাউনে জাল নথি তৈরির চক্রের হদিশ, গ্রেপ্তার ২

জাল ভোটার কার্ড, আধার কার্ড ও প্যান কার্ড তৈরির চক্রের সঙ্গে জড়িত দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে নিউটাউন থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম বিজয় বিশ্বাস ও অভিষেক গাইন। গতকাল তাদের বারাসত আদালতে তোলা হলে ধৃতদের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

ধৃত বিজয় বিশ্বাস ও অভিষেক গাইন
author img

By

Published : Mar 11, 2019, 4:48 AM IST

বারাসত, ১১ মার্চ : নিউটাউনে জাল ভোটার কার্ড, আধার কার্ড ও প্যান কার্ড তৈরির চক্রের হদিশ পেল পুলিশ। ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত দু'জনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম বিজয় বিশ্বাস ও অভিষেক গাইন। গতকাল তাদের বারাসত আদালতে তোলা হলে ধৃতদের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

নিউটাউনের স্বামীজি নগরের বাসিন্দা বিজয় ও অভিষেক। এক বছর আগে নিউটাউনেরই শান্তিময় নগরে মোবাইলের দোকান করার নামে ঘর ভাড়া নয় দু'জন। প্রথমে মোবাইলের দোকান করলেও পরে তা তুলে দিয়ে ফোটোকপির দোকান খোলে। এর আড়ালেই জাল নথি তৈরির ব্যবসা শুরু করে। শনিবার দুপুরে গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে ওই দোকানে হানা দেয় পুলিশ। বিজয় ও অভিষেককে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। পরে, তাদের গ্রেপ্তার করে নিউটাউন থানার পুলিশ।

বিজয় ও অভিষেকের দোকান থেকে প্রচুর জাল ভোটার কার্ড,আধার কার্ড ও প্যান কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দোকানের কম্পিউটারসহ বেশ কিছু ডিভাইস।

বারাসত, ১১ মার্চ : নিউটাউনে জাল ভোটার কার্ড, আধার কার্ড ও প্যান কার্ড তৈরির চক্রের হদিশ পেল পুলিশ। ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত দু'জনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম বিজয় বিশ্বাস ও অভিষেক গাইন। গতকাল তাদের বারাসত আদালতে তোলা হলে ধৃতদের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

নিউটাউনের স্বামীজি নগরের বাসিন্দা বিজয় ও অভিষেক। এক বছর আগে নিউটাউনেরই শান্তিময় নগরে মোবাইলের দোকান করার নামে ঘর ভাড়া নয় দু'জন। প্রথমে মোবাইলের দোকান করলেও পরে তা তুলে দিয়ে ফোটোকপির দোকান খোলে। এর আড়ালেই জাল নথি তৈরির ব্যবসা শুরু করে। শনিবার দুপুরে গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে ওই দোকানে হানা দেয় পুলিশ। বিজয় ও অভিষেককে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। পরে, তাদের গ্রেপ্তার করে নিউটাউন থানার পুলিশ।

বিজয় ও অভিষেকের দোকান থেকে প্রচুর জাল ভোটার কার্ড,আধার কার্ড ও প্যান কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দোকানের কম্পিউটারসহ বেশ কিছু ডিভাইস।

wb_kol_8001_10march_cnmc_death_7203421 রোগী মৃত্যুর দায় সরকারি হাসপাতালের উপর চাপানোর অভিযোগ কলকাতা, ১০ মার্চ: এক রোগীর মৃত্যুর দায় সরকারি হাসপাতালের উপর চাপানোর অভিযোগ উঠল বেসরকারি একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। রবিবারের এই ঘটনা কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের। এই ঘটনায় উত্তর কলকাতার একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে জানিয়েছেন এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে মৃত রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল (MSVP)-এর গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়ার জন্য এই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বেলগাছিয়ার বাসিন্দা বছর ১৩-র গুর্নিজার খাতুনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এদিন এমন অভিযোগ তুলেছেন সরকারি এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রের খবর, উত্তর কলকাতার একটি নার্সিংহোমে এই কিশোরীর চিকিৎসা চলছিল। সেখান থেকে এই কিশোরীকে রবিবার বিকালে আনা হয় এই হাসপাতালে। রোগীর সঙ্গে ওই নার্সিংহোমের দুজন কর্মীও ছিলেন। ওই দুজন কর্মী সেখানকার ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের বলে জানতে পেরেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। সেপটিসেমিয়া আক্রান্ত ছিল। শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। রক্তচাপ খুব কম ছিল। রক্তে শর্করার মাত্রাও অনেক কম ছিল। এদিন বিকেলে ওই নার্সিংহোম থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এই রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রোগীর শারীরিক অবস্থা সামাল দেওয়ার জন্য আম্বু ব্যাগ-এর সাহায্য নেওয়া হচ্ছিল ওই অ্যাম্বুলেন্সে। আম্বু ব্যাগ-এর মাধ্যমে রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ইমারজেন্সিতে এসে পরিজনরা বলেন রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে গিয়ে দেখে আসতে হবে। চিকিৎসকরা ইমারজেন্সিতে নিয়ে আসতে বলেন রোগীকে। কিন্তু রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় হাসপাতালে ভর্তির কথা বলেন তাঁরা। এরপর ইমারজেন্সি থেকে হাসপাতালে রামমোহন ব্লকের চারতলায় লিফটে করে যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই সময় রোগীর মৃত্যু হয়। পরিজনরা এর পর রোগীর দেহ নিয়ে ইমারজেন্সিতে আসেন। চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তোলেন পরিজনরা।চিকিৎসকরা এরপরে মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে পোস্ট মর্টেমের কথা বলেন। মৃতদেহ নিয়ে তখন পরিজনরা চলে যান। চলে যাওয়ার সময়, মৃত রোগীর বাবা এবং অন্য এক আত্মীয় হাসপাতালের MSVP-র গাড়ির আছে মাথা ঠুকতে থাকেন। এর ফলে কাচ ভেঙে যায়। এদিকে এই ঘটনায় হাসপাতালে রোগীর ক্ষুব্ধ পরিজনরা উপস্থিত হন। সংখ্যায় ১০০ জনের মতো ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। স্বাভাবিক কারণেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয় হাসপাতালে। মৃত রোগীর তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে, MSVP-র গাড়ির কাচ অর্থাৎ, সরকারি সম্পত্তি ভাঙার অভিযোগ পরিজনদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে MSVP সন্দীপ ঘোষের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "রোগীর অবস্থা খুব খারাপ ছিল। চিকিৎসকরা চেষ্টা করেছেন। তবে, তেমন সময় পাননি চিকিৎসকরা। সরকারি সম্পত্তি ভাংঙচুরের অভিযোগ করা হয়েছে পরিজনদের নামে।" হাসপাতাল সূত্রের খবর, কর্তৃপক্ষ মনে করছেন এই ঘটনার পিছনে ওই নার্সিংহোমের ওই দুই জন কর্মীর মদত রয়েছে। ওই নার্সিংহোমে রোগী মৃত্যুর দায় সরকারি হাসপাতালে উপর চাপাতে এদিন এমন কাণ্ড ঘটানো হয়েছে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। ওই নার্সিংহোমের কাছেই রয়েছে আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা এই রোগীকে কেন ওই হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হল, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে কর্তৃপক্ষের। সূত্রের খবর, ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশকে বলেছেন এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। _________
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.