নৈহাটি, 10 জানুয়ারি : ফেসবুকে বিদায়বার্তা (Facebook Post) জানিয়ে আত্মঘাতী তৃণমূল যুবনেতা (TMC Youth Leader Suicide) ৷ মৃতের নাম সৌম্যকান্তি বিশ্বাস ৷ বয়স 28 বছর ৷ তিনি যে আত্মহত্যাই করেছেন, এই বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত তাঁর নিকটজনেরা ৷ যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট-সহ অন্য়ান্য তথ্যপ্রমাণ হাতে না আসা পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে নারাজ পুলিশ প্রশাসন ৷ পরিবারের সদস্য থেকে নেতা, বিধায়ক, এমন ঘটনায় সকলেই হতবাক ৷
আরও পড়ুন : Suicide in FB Live : প্রতারণার অভিযোগে মেয়েকে হেনস্থা, ফেসবুক লাইভে এসে আত্মঘাতী একই পরিবারের তিনজন
উত্তর 24 পরগনার নৈহাটি পৌর এলাকার 18 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন সৌম্যকান্তি ৷ ভাটপাড়া পৌরসভার জল সরবরাহ প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থার হয়ে কাজ করতেন তিনি ৷ করোনা আবহে বহু মানুষের মধ্যেই মানসিক চাপ বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ কিন্তু, সৌম্যকান্তির মধ্যে সেসবের কিছুই ছিল না বলে দাবি পরিবার, পরিজন ও বন্ধুদের ৷ এমনকী, রবিবার তিনি বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিকও করেন ৷ আর ওই রাতেই ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় !
সূত্রের খবর, রবিবার পিকনিক থেকে ফেরার পর একটি পোস্ট করেন সৌম্যকান্তি ৷ বিষাদ আর হতাশায় ভরা সেই পোস্টে ছিল বিদায়বার্তা ৷ যা দেখে ঘাবড়ে যান তাঁর বন্ধুরা ৷ তখনই সৌম্যকান্তির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন তাঁরা ৷ সাড়া না পেয়ে সোজা বিশ্বাসদের বাড়িতে চলে আসেন সৌম্যকান্তির বন্ধুরা ৷ ঘরের দরজার ভেঙে ওই যুবককে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন তাঁরা ৷ নৈহাটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷
আরও পড়ুন : Youth Suicide In Malda: স্ত্রীকে দায়ী করে আত্মঘাতী যুবক, চাঞ্চল্য চাঁচলে
সকলেরই অনুমান, সৌম্যকান্তি আত্মঘাতী হয়েছেন ৷ কিন্তু, ঠিক কী কারণে এমন চরম একটা পদক্ষেপ করতে হল তাঁকে, কেউই তা বুঝে উঠতে পারছেন না ৷ তবে এর পিছনে রাজনীতি রয়েছে, এমনটা মানতে নারাজ মৃতের পরিবারের সদস্যরা ৷ স্থানীয় বিধায়ক পার্থ ভৌমিকেরও একই মত ৷ তবে তাঁরা চান, সৌম্যকান্তির মৃত্য়ুর প্রকৃত কারণ সামনে আসুক ৷ পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷ সৌম্যকান্তির কাকা জানিয়েছেন, তিনি তাঁর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন ৷ তাঁর বাবা দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ৷ সৌম্যকান্তিই পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন ৷ তাঁর অকাল প্রয়াণে ওই বৃদ্ধ দম্পতির কী হবে, আপাতত তারই উত্তর খুঁজছেন সকলে ৷