খড়দা, 25 ডিসেম্বর: তোলা না পেয়ে দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ীকে প্রথমে মারধর ! পরে গুলি করে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আইএনটিটিইউসি নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধে । রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে খড়দার রহড়ার কল্যাণনগর এলাকায় । মারধর ও দোকানে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর ঘটনা ইতিমধ্যে সিসি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে । আক্রান্ত ব্যবসায়ী দীপু সাহার অভিযোগ, ‘‘তোলা চেয়ে দোকানে চড়াও হন তৃণমূলের টোটো ইউনিয়নের নেতা গোপাল সাহার দুই অনুগামী । না দেওয়ায় চলে মারধর । দেওয়া হয় প্রাণনাশের হুমকিও ।’’
ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে দিন কাটছে ওই ব্যবসায়ীর । হামলার ঘটনায় রহড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে । হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ডাম্পার (সায়ন মজুমদার), পিকু মণ্ডল ও সন্তু নামে স্থানীয় তিন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে । যদিও এনিয়ে এখনও অবধি কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি আইএনটিটিইউসি নেতা গোপাল সাহার ।
উত্তর 24 পরগনার রহড়ার মেইন রোডে স্টেশনারি দোকান রয়েছে ব্যবসায়ী দীপু সাহার । অভিযোগ, সেখানেই রবিবার রাতে দলবল নিয়ে আচমকা হামলা চালায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা গোপাল সাহার অনুগামী সায়ন মজুমদার ওরফে ডাম্পার । সেই সময় দোকানে ছিলেন দীপুর দাদা । তাঁর কাছে পাঁচ হাজার টাকা তোলা চান ওই তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ ডাম্পার । তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন । এরপরই দোকান বন্ধ করতে ব্যবসায়ীর দাদাকে হুমকি ও গালিগালাজ দিতে শুরু করে হামলাকারী ।
তারই মধ্যে সেখানে চলে আসেন ব্যবসায়ী দীপু সাহা । অভিযোগ, তাতে যাবতীয় আক্রোশ গিয়ে পড়ে তাঁর ওপর । শুরু হয় মারধর । এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় । প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলাকারীর রোষের মুখে পড়েন দোকানের এক কর্মচারীও । তাঁকেও চড়, থাপ্পড় দেওয়া হয় । বেশ কিছুক্ষণ ধরে দোকানের ভিতর তাণ্ডব চালিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান ওই তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠরা । হামলা ও তাণ্ডব চালানোর গোটা ঘটনা দোকানে সিসি ক্যামেরায় বন্দি হয়েছে । সেখানেই পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে কিভাবে হামলাকারীরা দোকানের ভিতরে ঢুকে ব্যবসায়ীকে মারধর, হুমকি দিচ্ছে । আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে খড়দা অঞ্চলে । এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর !
ঘটনার জেরে রীতিমতো আতঙ্কিত আক্রান্ত ব্যবসায়ী দীপু সাহা । তিনি বলেন,"খড়দার বুকে এই ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি । কী কারণে হামলা হল, দোকানে ঢুকে তাণ্ডব চালাল, মারধর করল, সেটাই বুঝতে পারছি না । এসেই কোনও কারণ ছাড়াই পাঁচ হাজার টাকা তোলা চায় ৷ সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় প্রথমে দাদাকে নিগ্রহ করা হয় । পরে, মারধর করা হয় আমাকেও । শুধু একটাই কথা বলছিল, আমাকে চিনিস ! আমি তোদের বাপ । এক্ষুনি দোকান বন্ধ কর ! নইলে দানা দিয়ে দেব । ওদের কাছে মদের বোতল । এমনকি কোমরে পিস্তলও গোঁজা ছিল । পুলিশ এসে দোকানে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে । আমরা চাই, দোষীদের যেন কড়া শাস্তি হোক ৷"
আরও পড়ুন: