ETV Bharat / state

TMC Inner Clash at Duttapukur : তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত দত্তপুকুর, ভাঙচুর-বিক্ষোভ সামাল দিতে পুলিশের লাঠিচার্জ

author img

By

Published : Apr 29, 2022, 1:55 PM IST

তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত কদম্বগাছির সরদারপাড়া এলাকা (TMC Inner Clash at Duttapukur) ৷ চলল ভাঙচুর-বিক্ষোভ ৷ অবস্থা সামাল দিতে পুলিশের লাঠিচার্জ ৷ আহত দু'পক্ষের বেশ কয়েকজন । উত্তেজনা যাতে না ছড়ায় সেজন্য় এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী ।

Duttapukur TMC Inner Clash
দত্তপুকুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ

দত্তপুকুর, 29 এপ্রিল : তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তর 24 পরগনার দত্তপুকুরের কদম্বগাছি এলাকা (TMC Inner Clash at Duttapukur) । একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, দোকান-বাইক ভাঙচুর, বিক্ষোভ কিছুই বাদ গেল না । সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দু'পক্ষের বেশ কয়েকজন । পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, পুলিশকে একসময় লাঠিচার্জ পর্যন্ত করতে হয় । ফের নতুন করে যাতে উত্তেজনা না ছড়াতে পারে তার জন্য এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী । ঘটনার পর থেকে থমথমে কদম্বগাছির সরদারপাড়া এলাকা ।

জানা গিয়েছে, মাংসের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত । তা নিয়েই প্রথমে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ এবং পরে তা সংঘর্ষের আকার নেয় । জানা গিয়েছে, বারাসত 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা আরসাদউদ জামানের কাছে পাওনা টাকা চান ফজলে আলি নামে এক তৃণমূল সমর্থক । যিনি আবার আরসাদউদ জামানের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা মাফুজার রহমানের অনুগামী হিসেবে পরিচিত এলাকায় । মাফুজার তৃণমূলের বারাসত সংসদীয় কিষাণ মজদুর সংগঠনের জেলা সভাপতি পদে রয়েছেন । দুই নেতার বিবাদ দীর্ঘদিনের । তা নিয়ে বারবার সংঘর্ষে জড়িয়েছেন এই দুই গোষ্ঠীর অনুগামীরা । পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেও সংঘর্ষে জড়ান তৃণমূলের আরসাদউদ জামান এবং মাফুজার রহমানের অনুগামীরা ৷

আরও পড়ুন : চুঁচুড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে যুবনেতাকে মারধরের অভিযোগ

অভিযোগ, পাওনা টাকা চাওয়ায় আরসাদউদ জামানের ঘনিষ্ঠ পঞ্চায়েত সদস্য মেহবুব হাসান নয়ন এবং তাঁর দলবল ফজলে আলিকে হেনস্থা ও মারধর করে । সেই ঘটনা চাউর হতেই মাফুজার রহমানের লোকজন পাল্টা হামলা চালায় মেহবুব হাসান নয়নের অনুগামীদের উপর । ফলে সংঘর্ষ বেঁধে যায় দু'পক্ষের মধ্যে । মুহুর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা । চলে একের পর এক দোকান, বাইক, সাইকেল ভাঙচুর ।

ভয়ে কদম্বগাছি বাজারের দোকানপাট নিমেষে বন্ধ হয়ে যায় । পরিস্থিতি সামাল দিতে বারাসতের এসডিপিও-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ছুটে আসে ঘটনাস্থলে । নামাতে হয় র‍্যাফও । এরপরই লাঠিচার্জ করে দু'পক্ষের লোকজনকে হঠিয়ে দেওয়া হয় সেখান থেকে । পরিস্থিতি আয়ত্তে রাখতে এলাকায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ পিকেটও । তবে এখনও এলাকার পরিস্থিতি যথেষ্ট থমথমে ৷

এই বিষয়ে তৃণমূলের বারাসত 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরসাদউদ জামান বলেন, "নামাজ পড়ে রাতে বাড়ির দিকে ফিরছিলাম । তখনই ফজলে আলি নামে একজন আমার কাছে এসে মাংসের পাওনা টাকা দাবি করে ৷ আমি কোনও তর্ক বিতর্ক না করে তাঁকে বলি বাড়ি চলে যেতে । এরপর শুনলাম গন্ডগোল হয়েছে । এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না । এখানে তৃণমূলের কোনও বিষয় নেই । ফজলে আলি তৃণমূল করে না । ও অনেক আগে থেকেই ভাইজানের দল আইএসএফ করে আসছে । তাই চক্রান্তের অভিযোগ সঠিক নয় ৷"

আরও পড়ুন : বালি মাফিয়াদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন তৃণমূলের নেতারা ? পুরশুড়ায় পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য

যদিও ফজলে আলিকে দলেরই কর্মী বলে মেনে নিয়ে নাম না করে পাল্টা আরসাদউদ জামানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা মাফুজার রহমান । তিনি বলেন, "ও নিজে কীভাবে এলাকায় সাধারণ মানুষ এবং কর্মীদের উপর অত‍্যাচার করছে তা খোঁজ নিলেই জানা যাবে । আমি ও আমার দলের কর্মীরা কখনই গন্ডগোলে জড়াই না । যারা বলছে তারা দলের বদনাম করার চেষ্টা করছে । গোটা ঘটনাটি দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি । তারাই বিষয়টি দেখছেন ৷"

দত্তপুকুর, 29 এপ্রিল : তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তর 24 পরগনার দত্তপুকুরের কদম্বগাছি এলাকা (TMC Inner Clash at Duttapukur) । একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, দোকান-বাইক ভাঙচুর, বিক্ষোভ কিছুই বাদ গেল না । সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দু'পক্ষের বেশ কয়েকজন । পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, পুলিশকে একসময় লাঠিচার্জ পর্যন্ত করতে হয় । ফের নতুন করে যাতে উত্তেজনা না ছড়াতে পারে তার জন্য এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী । ঘটনার পর থেকে থমথমে কদম্বগাছির সরদারপাড়া এলাকা ।

জানা গিয়েছে, মাংসের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত । তা নিয়েই প্রথমে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ এবং পরে তা সংঘর্ষের আকার নেয় । জানা গিয়েছে, বারাসত 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা আরসাদউদ জামানের কাছে পাওনা টাকা চান ফজলে আলি নামে এক তৃণমূল সমর্থক । যিনি আবার আরসাদউদ জামানের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা মাফুজার রহমানের অনুগামী হিসেবে পরিচিত এলাকায় । মাফুজার তৃণমূলের বারাসত সংসদীয় কিষাণ মজদুর সংগঠনের জেলা সভাপতি পদে রয়েছেন । দুই নেতার বিবাদ দীর্ঘদিনের । তা নিয়ে বারবার সংঘর্ষে জড়িয়েছেন এই দুই গোষ্ঠীর অনুগামীরা । পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেও সংঘর্ষে জড়ান তৃণমূলের আরসাদউদ জামান এবং মাফুজার রহমানের অনুগামীরা ৷

আরও পড়ুন : চুঁচুড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে যুবনেতাকে মারধরের অভিযোগ

অভিযোগ, পাওনা টাকা চাওয়ায় আরসাদউদ জামানের ঘনিষ্ঠ পঞ্চায়েত সদস্য মেহবুব হাসান নয়ন এবং তাঁর দলবল ফজলে আলিকে হেনস্থা ও মারধর করে । সেই ঘটনা চাউর হতেই মাফুজার রহমানের লোকজন পাল্টা হামলা চালায় মেহবুব হাসান নয়নের অনুগামীদের উপর । ফলে সংঘর্ষ বেঁধে যায় দু'পক্ষের মধ্যে । মুহুর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা । চলে একের পর এক দোকান, বাইক, সাইকেল ভাঙচুর ।

ভয়ে কদম্বগাছি বাজারের দোকানপাট নিমেষে বন্ধ হয়ে যায় । পরিস্থিতি সামাল দিতে বারাসতের এসডিপিও-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ছুটে আসে ঘটনাস্থলে । নামাতে হয় র‍্যাফও । এরপরই লাঠিচার্জ করে দু'পক্ষের লোকজনকে হঠিয়ে দেওয়া হয় সেখান থেকে । পরিস্থিতি আয়ত্তে রাখতে এলাকায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ পিকেটও । তবে এখনও এলাকার পরিস্থিতি যথেষ্ট থমথমে ৷

এই বিষয়ে তৃণমূলের বারাসত 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরসাদউদ জামান বলেন, "নামাজ পড়ে রাতে বাড়ির দিকে ফিরছিলাম । তখনই ফজলে আলি নামে একজন আমার কাছে এসে মাংসের পাওনা টাকা দাবি করে ৷ আমি কোনও তর্ক বিতর্ক না করে তাঁকে বলি বাড়ি চলে যেতে । এরপর শুনলাম গন্ডগোল হয়েছে । এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না । এখানে তৃণমূলের কোনও বিষয় নেই । ফজলে আলি তৃণমূল করে না । ও অনেক আগে থেকেই ভাইজানের দল আইএসএফ করে আসছে । তাই চক্রান্তের অভিযোগ সঠিক নয় ৷"

আরও পড়ুন : বালি মাফিয়াদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন তৃণমূলের নেতারা ? পুরশুড়ায় পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য

যদিও ফজলে আলিকে দলেরই কর্মী বলে মেনে নিয়ে নাম না করে পাল্টা আরসাদউদ জামানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা মাফুজার রহমান । তিনি বলেন, "ও নিজে কীভাবে এলাকায় সাধারণ মানুষ এবং কর্মীদের উপর অত‍্যাচার করছে তা খোঁজ নিলেই জানা যাবে । আমি ও আমার দলের কর্মীরা কখনই গন্ডগোলে জড়াই না । যারা বলছে তারা দলের বদনাম করার চেষ্টা করছে । গোটা ঘটনাটি দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি । তারাই বিষয়টি দেখছেন ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.