সন্দেশখালি, 27 জুন : তৃণমূল-BJP সংঘর্ষে উত্তপ্ত উত্তর 24 পরগনার সন্দেশখালির ন্যাজাট থানার হাটগাছি 10 নম্বর কানমারি গ্রাম । জানা গিয়েছে, গতকাল বিকেলে BJP কর্মীদের একাংশ আমফানের ক্ষতিপূরণের দাবিতে BDO-র কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় । তারপরই রাতে তৃণমূল সমর্থকরা তাদের বাড়িতে চড়াও হয়। মারধর ও ভাঙচুর চালায় বলেও অভিযোগ BJP-র । এই ঘটনায় দুই পক্ষের মোট 14 জন জখম হয়েছে ৷ যদিও তৃণমূলের পালটা অভিযোগ, BJP কর্মীরা তাদের উপরে হামলা চালিয়েছে । ইতিমধ্যেই দু'পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে । পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা বিলি নিয়ে কয়েকদিন ধরেই সন্দেশখালি-এক পঞ্চায়েত এলাকায় দু'পক্ষের মধ্যে চাপানউতোর চলছিল । শুক্রবার ওই গ্রামের BJP কর্মীরা সন্দেশখালি এক নম্বর ব্লকের BDO-র কাছে আমফানের প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় নাম নথিভুক্ত করার দাবি জানিয়েছিলেন। অভিযোগ, তারপরই রাতে এলাকার তৃণমূল কর্মীরা সেই সব আবেদনকারী BJP কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয়, মারধর করে, বাড়িতে ভাঙচুরও চালায়। BJP কর্মীরাও পালটা বাঁশ, লাঠি ও লোহার রড নিয়ে পালটা প্রতিরোধ করেন। এই সংঘর্ষে দুই পক্ষের মোট 14 জন আক্রান্ত হয়েছে ৷ সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় সন্দেশখালি থানার পুলিশ ।
এরপর আজ সকালে ফের দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে । BJP কর্মীদের বাড়িতে ফের চড়াও হয় তৃণমূল কর্মীরা । অভিযোগ, মহিলারা প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়। পরে BJP কর্মীরাও পালটা আক্রমণ করেন ।
এনিয়ে BJP নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, "আমফানে ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে তৃণমূল দলবাজি করছে । আমাদের দলের আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীরা BDO-র কাছে গিয়েছিলেন ক্ষতিপূরণের টাকার দাবি জানাতে । তৃণমূল বেছে বেছে সেই সব আবেদনকারীদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে । আর এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূলের কুখ্যাত নেতা শেখ শাহজাহান।" যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে এলকার তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাত ৷ তিনি বলেন, "আমফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে BJP এলাকায় অপপ্রচার করছে। গতকাল রাতে BJP আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের উপপ্রধান-সহ তৃণমূল কর্মীদের মারধর করে ৷ আমাদের পাঁচকর্মী জখম হয়েছেন।" এরপরই আজ এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।
ইতিমধ্যেই আজ পাঁচটা নাগাদ উত্তর 24 পরগনার বসিরহাট জেলা হাসপাতালে জখমদের দেখতে যান BJP-র যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ ৷ জখমদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি ৷