বসিরহাট, 22 অক্টোবর : শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট উপ-সংশোধনাগার থেকে পালিয়ে গেল তিন বিচারাধীন বন্দি। পলাতক তিন বন্দির নাম সাদ্দাম মোল্লা, মীর আরিফুল ও বাপি শেখ বলে জানা গিয়েছে।
জেল সূত্রে খবর, এই তিন বন্দি বাথরুমের জানালা ভেঙে সংশোধনাগারের পাঁচিল টপকে পালিয়ে যায়। গুনতির সময় তাদের বেপাত্তা থাকা ও হিসেব না মেলায় ঘটনাটি জানা যায়। এরপরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সংশোধনাগার চত্বরে । ঘটনা ঘিরে কার্যত হুলস্থুল পড়ে যায় পুলিশ এবং প্রশাসনিক মহলে। সংশোধনাগারের নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে কীভাবে ওই তিন বিচারাধীন বন্দি পালিয়ে গেলেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তাহলে কি সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে ? উত্তর খুঁজতে তদন্তে নেমেছে বসিরহাট থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন : Firhad Hakim: বাড়ছে না বেসরকারি বাসের ভাড়া, জানিয়ে দিলেন পরিবহন মন্ত্রী
জেল সূত্রে জানা গিয়েছে,আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক রাখার অভিযোগে কয়েকদিন আগেই সাদ্দাম মোল্লা ও মীর আরিফুলকে গ্রেফতার করেছিল হাড়োয়া থানার পুলিশ। অন্যদিকে চুরি ও পাচারের অভিযোগে সম্প্রতি বাদুড়িয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বাপি শেখকে। ধৃত তিন জনেরই জেল হেফাজত হওয়ায় তাদের পাঠানো হয়েছিল বসিরহাট উপ-সংশোধনাগারে। তবে, করোনা আবহে বিচারাধীন তিন বন্দিকেই রাখা হয়েছিল জেলের আইসোলেশন ওয়ার্ডে। প্রাথমিকভাবে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের অনুমান, সম্ভবত ভোরের দিকে জেল চত্বর শুনশান থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে চম্পট দিয়েছে ওই তিন বন্দি। পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় ডিআইজি পদমর্যাদার এক পুলিশ আধিকারিক গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখবেন। কারও কর্তব্যে গাফিলতি থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷