ETV Bharat / state

কোরোনা মোকাবিলায় উত্তর 24 পরগনায় 3টি নতুন হাসপাতাল

কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে ৷ তাই তড়িঘড়ি উত্তর 24 পরগনার বারাসত, বসিরহাট ও ব্যারাকপুর তিন মহকুমায় স্বতন্ত্র তিনটি কোরোনা হাসপাতাল চালু করার সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দপ্তর ।

কোরোনা মোকাবিলায় উত্তর 24 পরগনায় 3 নতুন হাসপাতাল
কোরোনা মোকাবিলায় উত্তর 24 পরগনায় 3 নতুন হাসপাতাল
author img

By

Published : Apr 2, 2020, 10:25 PM IST

বারাসত, 2 এপ্রিল : কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, রাজ্যের সব জেলায় একটি করে কোরোনা হাসপাতাল করা হবে । কিন্তু, কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে ৷ তাই তড়িঘড়ি উত্তর 24 পরগনার বারাসত, বসিরহাট ও ব্যারাকপুর তিন মহকুমায় স্বতন্ত্র তিনটি কোরোনা হাসপাতাল চালু করার সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দপ্তর । জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী বলেন, "আমরা জেলায় মোট তিনটি কোরোনা হাসপাতাল চালু করছি । প্রথমে কদম্বগাছির হাসপাতালটি চালু করা হয়েছে । পরে বসিরহাট ও ব্যারাকপুরেও আরও দু'টো কোরোনা হাসপাতাল চালু করব ।"

সোমবার রাজ্যের 22টি জেলার জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী । কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ে সার্বিক আলোচনা হয় । প্রত্যেক জেলায় দ্রুত কোরোনা হাসপাতাল চালু করার নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী । উত্তর 24 পরগনার আয়তন ও জনসংখ্যার কথা বিবেচনা করে প্রথমে দু'টো কোরোনা হাসপাতাল করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল । কিন্তু, জেলায় কোরোনা উদ্বেগ বাড়তে থাকায় দ্রুত প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে ঠিক হয়েছে, বারাসত, বসিরহাট ও ব্যারাকপুরে তিনটি কোরোনা হাসপাতাল হবে ।

আজ বারাসত সদর শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে কদম্বগাছির একটি বেসরকারি হাসপাতালকে কোরোনা হাসপাতাল হিসেবে চালু করা হয়েছে । দ্রুত ব্যারাকপুর ও বসিরহাটে আরও দু'টি কোরোনা হাসপাতাল চালু করা হবে । ব্যারাকপুরের টেকনো গ্লোবাল নার্সিংহোম ও বসিরহাটের মাটিয়া বাজারের কাছে আরও একটি কোরোনা হাসপাতাল চালু করা হচ্ছে । বিশেষজ্ঞদের মতে, এতদিন পর্যাপ্ত কিট না থাকায় সার্বিকভাবে কোরোনা পরীক্ষা করা যায়নি । কিট আসতে শুরু করলে লাগাতার পরীক্ষা করলে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা অপ্রত্যাশিতভাবে বাড়তে পারে । সেক্ষেত্রে রোগীর চিকিৎসা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কোয়ারান্টাইনে রেখে কলকাতার হাসপাতালে গিয়ে নজরদারি করা সম্ভব হবে না । তাই, জেলাতেই কোরোনা মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে । মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল, ভিড় এড়িয়ে অপেক্ষাকৃত ফাঁকা জায়গায় কোরোনা হাসপাতাল চালু করতে হবে ।

বারাসত শহর থেকে দূরে কদম্বগাছি ও বসিরহাট শহর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে মাটিয়ায় ও ব্যারাকপুরেও ফাঁকা জায়গায় কোরোনা হাসপাতাল করা হয়েছে । রাজারহাট তো ছিলই । পাশাপাশি জেলায় 31টি কোয়ারান্টাইন সেন্টার ইতিমধ্যে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে । হাবড়া-সহ আরও কয়েকটি শহরে নতুন কোয়ারান্টাইন সেন্টার করা হচ্ছে । তবে তিনটি কোরোনা হাসপাতালই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চালু করা হচ্ছে । স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়, সরকারি হাসপাতালগুলোয় ভিড় থাকে । ভিড় এড়াতেই গ্রামীণ এলাকার বেসরকারি হাসপাতালকে কোরোনা হাসপাতাল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে ।

বারাসত, 2 এপ্রিল : কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, রাজ্যের সব জেলায় একটি করে কোরোনা হাসপাতাল করা হবে । কিন্তু, কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে ৷ তাই তড়িঘড়ি উত্তর 24 পরগনার বারাসত, বসিরহাট ও ব্যারাকপুর তিন মহকুমায় স্বতন্ত্র তিনটি কোরোনা হাসপাতাল চালু করার সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দপ্তর । জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী বলেন, "আমরা জেলায় মোট তিনটি কোরোনা হাসপাতাল চালু করছি । প্রথমে কদম্বগাছির হাসপাতালটি চালু করা হয়েছে । পরে বসিরহাট ও ব্যারাকপুরেও আরও দু'টো কোরোনা হাসপাতাল চালু করব ।"

সোমবার রাজ্যের 22টি জেলার জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী । কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ে সার্বিক আলোচনা হয় । প্রত্যেক জেলায় দ্রুত কোরোনা হাসপাতাল চালু করার নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী । উত্তর 24 পরগনার আয়তন ও জনসংখ্যার কথা বিবেচনা করে প্রথমে দু'টো কোরোনা হাসপাতাল করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল । কিন্তু, জেলায় কোরোনা উদ্বেগ বাড়তে থাকায় দ্রুত প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে ঠিক হয়েছে, বারাসত, বসিরহাট ও ব্যারাকপুরে তিনটি কোরোনা হাসপাতাল হবে ।

আজ বারাসত সদর শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে কদম্বগাছির একটি বেসরকারি হাসপাতালকে কোরোনা হাসপাতাল হিসেবে চালু করা হয়েছে । দ্রুত ব্যারাকপুর ও বসিরহাটে আরও দু'টি কোরোনা হাসপাতাল চালু করা হবে । ব্যারাকপুরের টেকনো গ্লোবাল নার্সিংহোম ও বসিরহাটের মাটিয়া বাজারের কাছে আরও একটি কোরোনা হাসপাতাল চালু করা হচ্ছে । বিশেষজ্ঞদের মতে, এতদিন পর্যাপ্ত কিট না থাকায় সার্বিকভাবে কোরোনা পরীক্ষা করা যায়নি । কিট আসতে শুরু করলে লাগাতার পরীক্ষা করলে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা অপ্রত্যাশিতভাবে বাড়তে পারে । সেক্ষেত্রে রোগীর চিকিৎসা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কোয়ারান্টাইনে রেখে কলকাতার হাসপাতালে গিয়ে নজরদারি করা সম্ভব হবে না । তাই, জেলাতেই কোরোনা মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে । মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল, ভিড় এড়িয়ে অপেক্ষাকৃত ফাঁকা জায়গায় কোরোনা হাসপাতাল চালু করতে হবে ।

বারাসত শহর থেকে দূরে কদম্বগাছি ও বসিরহাট শহর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে মাটিয়ায় ও ব্যারাকপুরেও ফাঁকা জায়গায় কোরোনা হাসপাতাল করা হয়েছে । রাজারহাট তো ছিলই । পাশাপাশি জেলায় 31টি কোয়ারান্টাইন সেন্টার ইতিমধ্যে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে । হাবড়া-সহ আরও কয়েকটি শহরে নতুন কোয়ারান্টাইন সেন্টার করা হচ্ছে । তবে তিনটি কোরোনা হাসপাতালই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চালু করা হচ্ছে । স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়, সরকারি হাসপাতালগুলোয় ভিড় থাকে । ভিড় এড়াতেই গ্রামীণ এলাকার বেসরকারি হাসপাতালকে কোরোনা হাসপাতাল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.