নিউ ব্যারাকপুর, 1 সেপ্টেম্বর: নিউ ব্যারাকপুর থানার বোদাই নারকেল বেড়িয়া এলাকায় গেঞ্জি কারখানায় ভয়াবহ আগুন। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ'টা নাগাদ প্রথমে আগুন লাগে একটি গেঞ্জি কারখানায়। দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে লাগোয়া আরও তিনটি কারখানাতেও। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে চারটি গেঞ্জি কারখানাই। আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। আসে নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিশও। দমকল কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় হাত লাগায় আগুন নেভানোর কাজে। তবে আগুনের লেলিহান শিখার কাছে বেগ পেতে হয় তাদেরও। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফলে দমকলের ইঞ্জিনের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ তবে ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিলকান্দা এক নম্বর পঞ্চায়েতের বোদাই নারকেল বেড়িয়া এলাকায় পরপর গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি কারখানা। এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ। আশপাশে রয়েছে বসতবাড়িও। ফলে, আগুনের ভয়াবহতায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। অনেকেই বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। সূত্রের খবর, গেঞ্জি কারখানায় প্রচুর দাহ্য পদার্থ এবং রাসায়নিক মজুত ছিল। আর সেই কারণে আগুনের তীব্রতাও ছিল যথেষ্ট। এর আগেও এখানে আগুন লেগেছিল বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে আবারও একই জায়গায় আগুন লাগার ঘটনায় কারখানার সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যথারীতি প্রশ্ন উঠেছে।
এই বিষয়ে আলাউদ্দিন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "কারখানায় নিয়মিত রান্নার কাজ হয়। এদিনও কোনও এক কর্মী গ্যাস জ্বালিয়ে চা তৈরি করছিলেন। তখনই গ্যাসের সিলিন্ডারের পাইপ লিক করে আগুন লেগে যায়। দ্রুত সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের আরও তিনটি কারখানাতে। প্রথমে কারখানার কর্মীরাই চেষ্টা করেন আগুন নেভাতে। কিন্তু আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তা আর সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি। পরবর্তীতে খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা এসে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায়। এভাবে পরপর আগুন লাগায় আতঙ্ক হওয়াটাই স্বাভাবিক ৷"
আরও পড়ুন: ফের হাওয়া বদল! দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে বৃষ্টি
এদিকে, দমকল বাহিনীর বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে দেরিতে আসার অভিযোগ উঠেছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা দ্রুত সেখানে আসলে আগুনের ভয়াবহতা এতটা হত না বলেই মনে করছেন স্থানীয় লোকজন। যদিও এনিয়ে এখনও অবধি মুখ খোলেনি দমকল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, ভয়াবহ এই আগুনে চারটি গেঞ্জি কারখানায় সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।