বনগাঁ, 13 মার্চ: ক্লাস টেনের এক ছাত্রকে মারধরের ঘটনার পাঁচ দিন পর গ্রেপ্তার অভিযুক্ত শিক্ষক৷ শুক্রবার বনগাঁর মতিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় পুলিশ।
ধৃত শিক্ষকের নাম পঙ্কজকুমার ব্যাপারী। তিনি বনগাঁর গাড়াপোঁতা হাইস্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক। অভিযুক্তকে শুক্রবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে হাজির করে পুলিশ। বিচারক অভিযুক্তকে জামিনের নির্দেশ দেন।
গত শনিবার ঘটনাটি ঘটে বনগাঁর গাড়াপোঁতা উচ্চ বিদ্যালয়ে। ক্লাস টেনের ছাত্র দুর্জয় পাইক ক্লাসের বেঞ্চে বসেই একটি ভাঙা পেন খানিক দূরে থাকা ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলতে যায়। ওই সময় ক্লাসঘরে ঢুকছিলেন ইতিহাসের স্কুলের শিক্ষক পঙ্কজকুমার ব্যাপারী। ঘটনাচক্রে দুর্জয়ের ছোড়া পেনটি তাঁর গায়ে গিয়ে লাগে। তাতেই তিনি রেগে যান এবং দুর্জয়কে মারধর করেন। অভিযোগ, ওই ছাত্রের বুকে, মুখে ও মাথায় কিল-চড়-ঘুষি মারেন পঙ্কজবাবু। শিক্ষকের মারে ক্লাসের মধ্যেই জ্ঞান হারায় দুর্জয়। খবর পেয়ে দুর্জয়ের বাবা দেবাশিস পাইক স্কুলে আসেন। এরপর আহত ছাত্রকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
শনিবার রাতে দুর্জয় পাইকের বাবা শিক্ষক পঙ্কজকুমার ব্যাপারীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অন্যদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক। এরপর আজ বনগাঁর মতিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।