নিউটাউন, 9 অক্টোবর: কামদুনি ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ তিনি সোমবার বলেন, "গতকালই আমি বলেছিলাম রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শীর্ষ আদালতে এসএলপি করা উচিত । আজকে মুখ্যমন্ত্রী তা করেছেন । মুখ্যমন্ত্রীর সৎ বুদ্ধি হয়েছে ৷ তিনি আমাদের কথা শুনেছেন ৷ ভালো লেগেছে । আমরা ধরে নেব তিনি সৎ উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ করেছেন ।"
তবে এ দিন সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সরকারে আক্রমণ শানাতেও পিছপা হননি ৷ সিআইডির বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেন ৷ তাঁর কথায়, সিআইডি কামদুনি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ঠিকমতো তথ্যপ্রমাণ তুলে দেয়নি ৷ সিআইডির আধিকারিকেরা রাতে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে হেনস্থা করার চেষ্টা করছে ৷ তিনি বলেন, "এতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে হাতির খাওয়ার দাঁত একরকম আর দেখানোর দাঁত একরকম ৷"
প্রসঙ্গত, গত 6 অক্টোবর কামদুনি ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সেই রায়ে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ 2013 সালের এই মামলার তিন অপরাধীর ফাঁসির সাজা মকুব করে দেন এবং তাঁদের মধ্যে দু'জনকে তার পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন । পাশাপাশি আর এক দোষীকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয় । এই রায়ের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার ।
আরও পড়ুন: কামদুনি মামলায় হাইকোর্টের রায় স্থগিতের আর্জি রাজ্যের, এখনই তা মানতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট
সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে স্পেশাল লিভ পিটিশন বা এসএলপি দাখিল করে হাইকোর্টের রায়ে অবিলম্বে স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি জানানো হয় । পাশাপাশি দ্রুত এই মামলার শুনানির আর্জি জানায় রাজ্য । যদিও এখনই কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশে দেয়নি শীর্ষ আদালত । সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বিষয়টি বিবেচনার প্রয়োজন এবং অভিযোগগুলি গুরুতর হলেও একবার কেউ বেকসুর খালাস হয়ে গেলে তাঁকে আর একদিনের জন্যও হেফাজতে রাখা যাবে না । শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ সব পক্ষকে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে । এক সপ্তাহের মধ্যে সেই নোটিশের জবাব দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে ।