দমদম, 9 জুন : ফের একবার শাসক শিবিরের দিকে আঙুল তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar on anubrata mandals bodyguard saigal hossain in Cattle smuggling case)৷
অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের গ্রেফতারি নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, সিবিআই তার তদন্ত করছে। আমার তো ভেবেছিলাম অনুব্রত মণ্ডলও গ্রেফতার হবে। এখন দেখা যাচ্ছে তার দেহরক্ষীকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। হয়তো আগামীতে আরও বড় কিছু নাম ও বেরিয়ে আসবে ও তাঁরাও গ্রেফতার হবে।
বিজেপি নেতাদের দল ছাড়া প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু বলেন, "এরকম কোনও বিষয় নেই। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার বা সেইদল এসব প্রচার করার চেষ্টা করছে কারণ তার 'ল অ্যান্ড অর্ডার' সিচুয়েশন কন্ট্রোল করতে পারছে না। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে বসে রয়েছে কিছু দুষ্কৃতী ৷ যাদের ওপর সরকার, পুলিশের কোনও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা নেই। পাঁচ থেকে ছ'ঘণ্টা ধরে টায়ার জ্বালিয়ে দিয়ে রাস্তা অবরোধ থাকছে ৷ এই ধরনের বিশৃঙ্খলা কোনও রাজ্যে চলতে পারে না। সম্পূর্ণ রূপে অপদার্থ সরকার।
আরও পড়ুন : গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন
তৃণমূল পঞ্চায়েতের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে কিন্তু সেই ভাবে বিজেপিকে দেখা যাচ্ছে না এই প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু বলেন, "তৃণমূল ঝাঁপিয়ে পড়বে এটাই স্বাভাবিক কারণ ৷ পঞ্চায়েতই হল তাঁদের ইনকামের সোর্স সেটা যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে দলটাই উঠে যাবে সেই জন্যই তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়ছে ৷ বিজেপি পঞ্চায়েত থেকে ইনকাম করে না।"
রাসবিহারী বসুর ছবির আগে জেপি নাড্ডার ছবি বিতর্কে তিনি বলেন, "মানুষকে মিস লিড করা হচ্ছে ৷ দুটো আলাদা জায়গার ছবি ৷ রাসবিহারী বসুর ছবি অনেক আগে ছিল। পিছনে একটি দেওয়ালে নাড্ডাজির ছবি ছিল। যেহেতু সামনে থেকে ছবি তোলা হয়েছে তাই মনে হচ্ছে একসঙ্গে ছিল। দুটো আলাদা ছবি। দুটি ছবির দূরত্ব কয়েক মিটার বেশি।"
আরও পড়ুন : নূপুরদের তিহাড় জেলে পাঠানোর দাবি ক্ষুব্ধ মমতার
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেপি নাড্ডা কী বলে গেলেন সে বিষয়ে জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচন তো লোকাল নেতৃত্ব লড়বে ৷ তাঁর জীবন এবং বক্তব্য সমস্ত কিছু তাঁদের অনুপ্রাণিত করে ৷ সেই অনুপ্রেরণা নিয়ে আমাদের মণ্ডল সভাপতি থেকে সমস্ত স্তরের যারা কর্মী রয়েছেন তাঁরা পঞ্চায়েতে লড়বেন।