গাইঘাটা, 10 নভেম্বর: "তৃণমূল কংগ্রেসের যে রোগ, পুলিশও মনে হয় সেই একই রোগে সংক্রামিত হয়েছে ! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতেন, 'আমি দেখে বলে দিতে পারি, কে মাওবাদী আর কে মাওবাদী নয় !' এখন বাচাল ঘোষ (কুণাল) বলেন, 'কোন দলে কী মিটিং, মিছিল হচ্ছে, আমি বের করে দিতে পারি !' এইসব গুণ যে পশুর মধ্যে আছে, সেই পশুর প্রবৃত্তি এখন পুলিশের মধ্যেও প্রবেশ করেছে !" বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীকে পুলিশের কামড় প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি-এর রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ৷ বৃহস্পতিবার উত্তর 24 পরগনার গাইঘাটার ঠাকুরনগরে একটি কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করে বিজেপি ৷ সেই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য়ের পুলিশ (এক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশ) এবং শাসকদলকে এভাবেই কার্যত কুকুরের সঙ্গে তুলনা করেন সুকান্ত ৷
অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা লাগাতার আন্দোলন করে চলেছেন ৷ বুধবারও কলকাতার বিভিন্ন অংশে ও বিধাননগরে আন্দোলন চলছিল ৷ এসবের মধ্যেই এক মহিলা আন্দোলনকারীকে কামড়ে দেন কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) একজন মহিলা কনস্টেবল ! আচমকা এমন 'আক্রমণে' কার্যত হতভম্ব হয়ে যান আক্রান্ত চাকরিপ্রার্থী ৷ এই ঘটনা সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় রেকর্ড হয় এবং লাগাতার সম্প্রচার করা হয় ৷ লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার পরও পুলিশের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া বা অভিযুক্ত কনস্টেবলের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৷ উলটে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়া হয় ! অন্যদিকে, জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয় আক্রান্ত চাকরিপ্রার্থীকে ৷
আরও পড়ুন: মহিলা চাকরি প্রার্থীকে কামড়ে দিল পুলিশ ! টেট-বিক্ষোভে নজিরবিহীন ঘটনা
এই ঘটনা নিয়ে সারা রাজ্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে ৷ প্রশ্ন উঠছে সংশ্লিষ্ট মহিলা কনস্টেবলের মানসিক সুস্থতা এবং প্রশিক্ষণ নিয়েও ৷ অধিকাংশ মানুষই একজন পুলিশকর্মীর এমন আচরণ দেখে হতবাক ৷ তারপরও সরকার ও প্রশাসনের তরফে এই ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে নানা মহলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে ৷ এই প্রেক্ষাপটে কলকাতা পুলিশ ও রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে কুকুরের সঙ্গে তুলনা করলেন সুকান্ত ৷ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলনা করলেন স্বৈরাচারী জার্মান শাসক হিটলারের সঙ্গে !