ETV Bharat / state

26 মাস পর চিকিৎসকের উপর থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহার - চিকিৎসক অরুণাচল দত্তচৌধুরি

ওই চিকিৎসকের অবসরের আর চারমাস বাকি ৷ তার আগে সাসপেনশন ওঠে যাওয়ায় তিনি খুশি । তবে, নিয়োগ নিয়ে কোনও নির্দেশিকা না আসায় কিছুটা হলেও চিন্তায় রয়েছেন ৷

সাসপেনশন প্রত্যাহার
সাসপেনশন প্রত্যাহার
author img

By

Published : Feb 1, 2020, 9:34 AM IST

বারাসত, 1 ফেব্রুয়ারি : ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে সাসপেন্ড হয়েছিলেন চিকিৎসক অরুণাচল দত্তচৌধুরি । 26 মাস পর তাঁর সাসপেনশন প্রত্যাহার করল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর । স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে পাঠানো চিঠি গতকাল পৌঁছেছে এই চিকিৎসকের কাছে । তবে, চিঠিতে কোথায় তিনি জয়েন করবেন, সেবিষয়ে কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে ৷ যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন ওই চিকিৎসক ।

এবিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপন সাহা বলেন, "ওই চিকিৎসকের সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে । স্বাস্থ্য দপ্তরের পাঠানো চিঠিও তিনি হাতে পেয়ে গেছেন । তিনি কোথায় জয়েন করবেন, সেটা স্বাস্থ্য দপ্তরের পরবর্তী নির্দেশিকায় জানা যাবে । আমরা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে এব্যাপারে কথা বলে নেব ৷"

2017 সালে উত্তর 24 পরগনা জেলায় ডেঙ্গি মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল । হাবরা, অশোকনগর, দেগঙ্গা, বারাসত সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল । অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছিল । বারাসত জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর চাপ দিনদিন বাড়ছিল । সেই সময় ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন অরুণাচল দত্তচৌধুরি । ডেঙ্গি প্রাদুর্ভাব নিয়ে একদিকে রোগীদের চাপ, অন্যদিকে হাসপাতালের পরিকাঠামোর অভাবের কথা তিনি ফেসবুকে তুলে ধরেছিলেন । যা নিয়ে ওই চিকিৎসককে কোপে পড়তে হয় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের । ওই বছরের 1 অক্টোবর সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে । স্বাস্থ্য দপ্তরের এই পদক্ষেপে সেই সময় ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাজ্যের চিকিৎসকরা । বারাসত সহ রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল হয় । স্বাস্থ্য দপ্তর ঘেরাওয়ের ডাকও দেওয়া হয় চিকিৎসক সংগঠনের তরফে । সেই আন্দোলন ঠেকাতে পুলিশকে 144 ধারা জারি পর্যন্ত করতে হয় । এরপরও তার সাসপেনশন তুলে নেয়নি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ।

অবশেষে 26 মাস পর প্রত্যাহার হল ওই চিকিৎসকের সাসপেনশন । এনিয়ে চিকিৎসক অরুণাচল দত্তচৌধুরির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,"আমার অবসরের আর মাত্র 4 মাস সময় রয়েছে । তার আগে সাসপেনশন প্রত্যাহার হওয়ায় খুব ভালো লাগছে । দ্রুত আমি কাজে ফিরতে চাই । তবে,সাসপেনশনের চিঠিতে কোথায় আমি জয়েন করব, তা নিয়ে কোনও গাইড লাইন দেওয়া হয়নি । এনিয়ে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে সোমবার দেখা করে কথা বলব ৷"

বারাসত, 1 ফেব্রুয়ারি : ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে সাসপেন্ড হয়েছিলেন চিকিৎসক অরুণাচল দত্তচৌধুরি । 26 মাস পর তাঁর সাসপেনশন প্রত্যাহার করল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর । স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে পাঠানো চিঠি গতকাল পৌঁছেছে এই চিকিৎসকের কাছে । তবে, চিঠিতে কোথায় তিনি জয়েন করবেন, সেবিষয়ে কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে ৷ যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন ওই চিকিৎসক ।

এবিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপন সাহা বলেন, "ওই চিকিৎসকের সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে । স্বাস্থ্য দপ্তরের পাঠানো চিঠিও তিনি হাতে পেয়ে গেছেন । তিনি কোথায় জয়েন করবেন, সেটা স্বাস্থ্য দপ্তরের পরবর্তী নির্দেশিকায় জানা যাবে । আমরা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে এব্যাপারে কথা বলে নেব ৷"

2017 সালে উত্তর 24 পরগনা জেলায় ডেঙ্গি মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল । হাবরা, অশোকনগর, দেগঙ্গা, বারাসত সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল । অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছিল । বারাসত জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর চাপ দিনদিন বাড়ছিল । সেই সময় ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন অরুণাচল দত্তচৌধুরি । ডেঙ্গি প্রাদুর্ভাব নিয়ে একদিকে রোগীদের চাপ, অন্যদিকে হাসপাতালের পরিকাঠামোর অভাবের কথা তিনি ফেসবুকে তুলে ধরেছিলেন । যা নিয়ে ওই চিকিৎসককে কোপে পড়তে হয় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের । ওই বছরের 1 অক্টোবর সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে । স্বাস্থ্য দপ্তরের এই পদক্ষেপে সেই সময় ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাজ্যের চিকিৎসকরা । বারাসত সহ রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল হয় । স্বাস্থ্য দপ্তর ঘেরাওয়ের ডাকও দেওয়া হয় চিকিৎসক সংগঠনের তরফে । সেই আন্দোলন ঠেকাতে পুলিশকে 144 ধারা জারি পর্যন্ত করতে হয় । এরপরও তার সাসপেনশন তুলে নেয়নি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ।

অবশেষে 26 মাস পর প্রত্যাহার হল ওই চিকিৎসকের সাসপেনশন । এনিয়ে চিকিৎসক অরুণাচল দত্তচৌধুরির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,"আমার অবসরের আর মাত্র 4 মাস সময় রয়েছে । তার আগে সাসপেনশন প্রত্যাহার হওয়ায় খুব ভালো লাগছে । দ্রুত আমি কাজে ফিরতে চাই । তবে,সাসপেনশনের চিঠিতে কোথায় আমি জয়েন করব, তা নিয়ে কোনও গাইড লাইন দেওয়া হয়নি । এনিয়ে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে সোমবার দেখা করে কথা বলব ৷"

Intro:ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ে ফেসবুকে অসহায়তার কথা তুলে ধরে সাসপেন্ড হয়েছিলেন বারাসাত জেলা হাসপাতালে বিশিষ্ট চিকিৎসক অরুণাচল দত্ত চৌধুরী।অবশেষে ২৬ মাস পর তার সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে পাঠানো চিঠি আজই পৌঁছে গিয়েছে চিকিৎসক অরুনাচলের কাছে।তবে,চিঠিতে কোথায় তিনি জয়েন করবেন,সেবিষয়ে কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি বলেই খবর।যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন ওই চিকিৎসক। Body:বারাসতঃ- ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব নিয়ে ফেসবুকে অসহয়তার কথা তুলে ধরে সাসপেন্ড হয়েছিলেন বারাসত জেলা হাসপাতালের বিশিষ্ট চিকিৎসক অরুনাচল দত্ত চৌধুরী।অবশেষে ২৬ মাস পর তার সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।স্বাস্থ্য দপ্তরের পাঠানো চিঠি আজই পৌঁছে গিয়েছে চিকিৎসক অরুনাচলের কাছে।তবে,কোথায় তাকে নিয়োগ করা হয়েছে,সেবিষয়ে চিঠিতে কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি বলেই বলেই খবর।যার ফলে মহা ফাঁপরে পড়েছেন ওই চিকিৎসক।এবিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপন সাহা বলেন,"ওই চিকিৎসকের সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।স্বাস্থ্য দপ্তরের পাঠানো চিঠিও তিনি হাতে পেয়ে গেছেন।তিনি কোথায় জয়েন করবেন,সেটা স্বাস্থ্য দপ্তরের পরবর্তী নির্দেশিকায় জানা যাবে।আমরা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে এব্যাপারে কথা বলে নেব"।চিকিৎসক অরুনাচল দত্ত চৌধুরীর অবসরের আর মাত্র ৪ মাস বাকি আছে।তার আগে এই সাসপেনশন ওঠে যাওয়ায় তিনি খুশি।তবে,নিয়োগ নিয়ে কোনও নির্দেশিকা না আসায় কিছুটা হলেও চিন্তায় রয়েছেন ওই চিকিৎসক।

জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে,২০১৭ সালে উত্তর 24 পরগনা জেলায় ডেঙ্গি মারাত্মক আকার ধারন করেছিল।হাবরা,অশোকনগর,দেগঙ্গা,বারাসত সহ বিস্তীর্ন এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল।বহু মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছিল।বারাসত জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর চাপ দিনদিন বাড়ছিল।সেই সময় ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন অরুনাচল দত্ত চৌধুরী।ডেঙ্গি প্রাদুর্ভাব নিয়ে একদিকে রোগীদের চাপ,অন্যদিকে হাসপাতালের পরিকাঠামোর অভাবের কথা তিনি ফেসবুকে তুলে ধরেছিলেন।যা নিয়ে ওই চিকিৎসককে কোপে পড়তে হয় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের।ওই বছরের ১ অক্টোবর সাসপেন্ড করা হয় তাকে।স্বাস্থ্য দপ্তরের এই পদক্ষেপে সেই সময় ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাজ্যের চিকিৎসকরা।বারাসত সহ রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত হয়।স্বাস্থ্য দপ্তর ঘেরাওয়ের ডাকও দেওয়া হয় চিকিৎসক সংগঠনের তরফে।সেই আন্দোলন ঠেকাতে পুলিশকে ১৪৪ ধারা জারি পর্যন্ত করতে হয়।এরপরেও তার সাসপেনশন তুলে নেয়নি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।অবশেষে ২৬ মাস পর প্রত্যাহার হল ওই চিকিৎসকের সাসপেনশন।

এনিয়ে চিকিৎসক অরুনাচল দত্ত চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,"আমার অবসরের আর মাত্র ৪ মাস সময় রয়েছে।তার আগে সাসপেনশন প্রত্যাহার হওয়ায় খুব ভালো লাগছে।দ্রুত আমি কাজে ফিরতে চাই।তবে,সাসপেনশনের চিঠিতে কোথায় আমি জয়েন করব,তা নিয়ে কোনও গাইড লাইন দেওয়া হয়নি।এনিয়ে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে সোমবার দেখা করে কথা বলব"।

Conclusion:এনিয়ে চিকিৎসক অরুনাচল দত্ত চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,"আমার অবসরের আর মাত্র ৪ মাস সময় রয়েছে।তার আগে সাসপেনশন প্রত্যাহার হওয়ায় ভালো লাগছে।তবে,চিঠিতে আমার জয়েন নিয়ে কোনও গাইড লাইন না থাকায় একটু চিন্তায় রয়েছি।এনিয়ে সোমরার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে কথা বলব"।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.