বারাসত, 19 এপ্রিল : কোরোনা এড়াতে সর্বত্র চলছে লকডাউন । পুলিশ প্রশাসনের তোয়াক্কা না করেই আমজনতা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের প্রয়োজনে ভিড় করছে বাজারগুলিতে । মানছে না সামাজিক দূরত্ব । মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, বিভিন্ন বাজার এলাকা ও মুদিখানায় জমায়েত নিষেধ । তাই সবশেষে লকডাউনে জমায়েত রুখতে ও কড়া নজরদারি চালাতে রবিবার সকালে ময়দানে নামল পুলিশের বিশেষ দলসহ বারাসত থানার IC দীপঙ্কর ভট্টাচার্য । প্রশাসনের এই তৎপরতা ও উদ্যোগে আপাতত খুশি ক্রেতা থেকে বিক্রেতা সকলেই ।
রবিবার সাধারণত ছুটির দিন । বিক্রেতারা হরেক সবজি-মাছ পসরা সাজিয়ে বসে বারাসতে স্টেশন সংলগ্ন কাছারি এলাকার বাজারে । ভিড় এড়াতে সবজি বাজারকে কাছারি মাঠে আলাদা করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । মাছের বাজার আগে যেখানে ছিল সেখানেই রয়েছে । কাছারি মাঠে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশের বিশেষ দল । রবিবারের সকাল থেকেই মাঠে প্রবেশদ্বারে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ । মাঠে একজন করে প্রবেশ করে বাজার করবে, তারপর তিনি বেরিয়ে এলে অপরজন প্রবেশ করবে মাঠে । এমন কী, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে টায়ার দিয়ে গোল করে স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে ।
উলটো দিকে রয়েছে মাছ ও মাংসের বাজার ৷ সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়রের দল । পাশাপাশি বারাসতের বড় বাজার, হাউজিং বাজার, হাটখোলা বাজারসহ বেশ কিছু বাজারে ঘুরে ঘুরে । শুধু বাজারে নয় অবাঞ্ছিত গাড়ি আটকাতে বারাসতের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে রীতিমত গার্ডওয়াল দিয়ে নজরদারি চালাচ্ছে । চলছে নাকা চেকিং-ও। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানোর পরই মিলছে যাওয়ার ছাড়পত্র।
পুলিশের এই মনোভাবে খুশি বারাসতের আমজনতা।তাঁদের মতে,"প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেকেই বারবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সামগ্রী কেনাবেচার কথা বলছে। কিন্তু,কিছু মানুষ তাঁদের কথা কানেই তুলছে না। যার ফলে সমস্যায় পড়ছেন অন্যরাও।মানুষকে নিজ থেকেই সচেতন হতে হবে। কেন,পুলিশকে বারবার বলতে হবে সচেতনার কথা ? "
অন্যদিকে, এ বিষয়ে বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সামাজিক দূরত্ব বজায় আছে কিনা, তা দেখতে আমরা বিভিন্ন বাজারে নজরদারি চালাচ্ছি । ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেই মাস্ক পড়েছেন কিনা, সেটাও দেখা হচ্ছে । লকডাউনের যা নিয়মবিধি আছে, তা সকলকেই মেনে চলতে হবে ।"