বারাসত, 9 জানুয়ারি: 6 লক্ষ স্কুলছুট পড়ুয়া ও পথশিশুদের হাম এবং রুবেলার বিশেষ টিকাকরণ অভিযান (Special Measles and Rubella Vaccination Drive for Street Child) চালাবে উত্তর 24 পরগনা জেলা প্রশাসন ৷ যাতে পরবর্তী সময়ে মারণ এই ভাইরাসে আক্রান্ত না হয় তারা ৷ সোমবার উত্তর 24 পরগনার বারাসতে বিশেষ এই টিকাকরণ কর্মসূচিতে এসে এমনটাই মন্তব্য করেছেন জেলার স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নোডাল অফিসার সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
ওই স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘জেলায় মোট 17 লক্ষ শিশুকে বিশেষ এই টিকাকরণের আওতায় আনতে প্রশাসন যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছে ৷ এর মধ্যে 11 লক্ষ স্কুল পড়ুয়া শিশুকে তাঁদের নিজস্ব স্কুল থেকেই এই রোগের প্রতিষেধক দেওয়া হবে ৷ বাকি 6 লক্ষ স্কুল ছুট পড়ুয়া এবং পথশিশুদের টিকা দেওয়া হবে কমিউনিটি ক্যাম্পের মাধ্যমে ৷’’ টিকাকরণ কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক শরৎ কুমার দ্বিবেদী ৷
হাম এবং রুবেলার মতো মারণ ভাইরাস থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের তরফে একমাস ব্যাপী বিশেষ টিকাকরণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে ৷ তারই অংশ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে আজ থেকে শুরু হয়েছে বিশেষ এই টিকাকরণ কর্মসূচি ৷ মূলত 9 মাস থেকে 15 বছর বয়সের শিশুদের এই টিকা দেওয়া হবে ৷ মূলত, হাম ও রুবেলার সংক্রমণ বিশ্বজুড়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে ৷ এমনকি ভারতেও এনিয়ে একটা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৷ এনিয়ে ‘হু’ এর পরামর্শ অনুযায়ী, সবক’টি রাজ্যে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন এর আওতায় হাম ও রুবেলার টিকাকরণ শুরু হয়েছে ৷
এদিন সদর বারাসতে টিকাকরণের সূচনার পর পুরো ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলাশাসক শরৎ কুমার দ্বিবেদী ৷ তাঁর কথায়, ‘‘টিকাকরণ নিয়ে কোনও সমস্যা নেই এখনও পর্যন্ত ৷ টিকা নেওয়ার পর যদি কোথাও কোনও সমস্যা তৈরি হয়, তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে জেলা প্রশাসন ৷’’
আরও পড়ুন: হাম ও রুবেলার টিকাকরণ অভিযান হাওড়া জেলা প্রশাসন
জেলা প্রশাসনের তরফে এই কর্মসূচির দায়িত্বপ্রাপ্ত নোডাল অফিসার চিকিৎসক সঙ্গীতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই প্রতিষেধক পরীক্ষিত এবং যথেষ্ট নিরাপদ ৷ তারপরও যদি কোনও শিশুর টিকা নেওয়ার পর সমস্যা কিংবা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি আমরা ৷ খবর পেলেই র্যাপিড রেসপন্স টিমের গাড়ি পৌঁছে যাবে ঘটনাস্থলে ৷ সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স করে শিশুকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে নিকটবর্তী কোনও হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৷ 24 ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের জন্য লোক রাখা হবে প্রতিষেধক নেওয়া শিশুদের ৷’’