ব্যারাকপুর, 17 ডিসেম্বর : দলবদলের আগে দলের ঋণ শোধ করতে উদ্যোগী ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত । চিকিৎসার জন্য দলের নেতাদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা বৃহস্পতিবার থেকে তিনি ফেরত দেওয়া শুরু করেন।
2019 সালে জানুয়ারি মাসে শীলভদ্রের লিভার প্রতিস্থাপন হয় । চিকিৎসার জন্য তখন তাঁর বিপুল টাকা খরচ হয় । সময় তিনি দলের নেতাদের কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন । কেউ কেউ তখন নিজে থেকেই টাকা দিয়েছিলেন । চিকিৎসায় তাঁর যে টাকা ধার হয়েছিল, তার মধ্যে এদিন ব্যারাকপুরের চেয়ারম্যান উত্তম দাসের কাছে দু'লাখ টাকা ফেরত দেন। বাকিদেরও টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ফোন করছেন। অসুস্থতা থেকে সুস্থ হওয়ার জন্য শীলভদ্র দত্তকে সেই সময় বহু টাকা ধার করতে হয়েছিল। তার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের কাছ থেকে প্রায় 12 থেকে 14 লাখ টাকা তাঁকে ধার করতে হয়।
তাঁর চিকিৎসার খরচ নিয়ে দলের কেউ কেউ খোটা দেওয়া শুরু করেন। তারপরই তিনি টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এদিন ব্যারাকপুরের চেয়ারম্যানের কাছে প্রথমে দু'লাখ টাকার চেক পাঠালে তিনি ফেরত দিয়ে বলেন, নগদ টাকা নিতে চান। পরে বিধায়ক নিজে নগদ টাকা তুলে উত্তম দাসের কাছে পাঠিয়ে দেন। বাকি পাওনাদারদের মধ্যে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ভৌমিক ও নারায়ণ গোস্বামীরা রয়েছেন। এদিন শীলভদ্র তাঁদের সবাইকে ফোন করে চিকিৎসার টাকা ফেরত দেবেন বলে জানিয়েছেন। যদিও নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক টাকা ফেরত নেবেন না বলে শীলভদ্রকে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : "বন্ধু দেখা হবে", গেরুয়া রঙে শীলভদ্রর ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট
শীলভদ্র বলেন, “আমার চিকিৎসার সময় অনেকেই টাকা ধার দিয়েছেন । দলের নেতারা তো ছিলেনই । অন্য দলের নেতারাও রয়েছেন । যেমন মুকুল রায়, অর্জুন সিং ও আরও অনেকে । আমি আজ ব্যারাকপুরের প্রশাসক উত্তম দাসের টাকা ফেরত দিয়েছি । বাকিদেরও ফোনে জানিয়েছি, তাঁদের টাকা ফেরত দেব।”