ETV Bharat / state

পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত স্বরূপনগর, আক্রান্ত OC সহ 4 পুলিশকর্মী - scuffle over road accident

স্বরূপনগরের দত্তপাড়া গ্রামের হাকিমপুর-ডাকবাংলো রাস্তায় মাসখানেক আগে দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছিল। আজ সকালেও পথ দুর্ঘটনায় একজন জখম হন । এরপর স্পিড ব্রেকার বসানোর দাবিতে সরব হয় বাসিন্দারা । পরে পুলিশ ও গ্রামবাসীর মধ্য়ে ঝামেলা শুরু হয় ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : May 20, 2020, 7:10 PM IST

স্বরূপনগর, 20 মে : পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর। উত্তেজিত জনতার ছোড়া ইট-পাথরে থানার OC সহ চার পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। পুলিশের তিনটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের লাঠিচার্জে জখম হয়েছেন সাত গ্রামবাসী । পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম ইয়াকুব আলি মোল্লা (71), স্বরূপনগর থানার OC তুষারকান্তি বিশ্বাস সহ মোট তিন পুলিশকর্মী বসিরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয়দের তরফে জানা গেছে,স্বরূপনগরের গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দত্তপাড়া গ্রামের ভিতর দিয়ে যাওয়া হাকিমপুর-ডাকবাংলো রাস্তায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। মাসখানেক আগে দত্তপাড়া চৌমাথা বাজারে বাইক দুর্ঘটনায় দয়ালচন্দ্র মণ্ডল (60) নামে একজনের মৃত্যু হয়। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তায় স্পিড ব্রেকার বসানোর দাবি জানান। পুলিশ দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে সেবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে । আজ সেই চৌমাথা বাজারের মুদি ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলি রাস্তা পার হচ্ছিলেন। সেই সময় হাকিমপুরের দিক থেকে আসা মারুতি গাড়ি ইয়াকুবকে ধাক্কা মারে । এরপরই ঘাতক গাড়িকে আটক করে, পথ অবরোধ শুরু করেন স্থানীয়রা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ । গাড়িটিকে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু স্থানীয়রা তাতে বাধা দেন।

পরে স্বরূপনগর থানার OC-র নেতৃত্বে ঘটনাস্থানে আরও পুলিশ কর্মী পৌঁছায়। অবরোধ তোলার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে । অভিযোগ, বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য রউফ গাজিকে পুলিশ মারধর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। তখনই বিক্ষোভ কারীরা আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইটবৃষ্টি শুরু হয়। ঘটনায় OC সহ চার পুলিশকর্মী জখম হন। এদিকে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ । এর জেরে সাত গ্রামবাসী জখম হন। তড়িঘড়ি প্রত্যককে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয় । জখম রউব গাজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, ইয়াকুবের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল । পুলিশকর্মীরাও সুস্থ রয়েছেন । আপাতত স্বরূপনগরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সুশান্ত মণ্ডল বলেন, "ওই জায়গায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। আজ দুর্ঘটনার পর স্পিড ব্রেকার বসানোর দাবিতে বিক্ষোভ চলছিল। পুলিশ জোর করে তা তুলে দিতে চায়। পুলিশ প্রথমে লাঠি চালায় । তার জেরে উত্তেজিত বাসিন্দারা পালটা পাথর ছোড়ে। পরে অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।"

স্বরূপনগর, 20 মে : পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর। উত্তেজিত জনতার ছোড়া ইট-পাথরে থানার OC সহ চার পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। পুলিশের তিনটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের লাঠিচার্জে জখম হয়েছেন সাত গ্রামবাসী । পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম ইয়াকুব আলি মোল্লা (71), স্বরূপনগর থানার OC তুষারকান্তি বিশ্বাস সহ মোট তিন পুলিশকর্মী বসিরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয়দের তরফে জানা গেছে,স্বরূপনগরের গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দত্তপাড়া গ্রামের ভিতর দিয়ে যাওয়া হাকিমপুর-ডাকবাংলো রাস্তায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। মাসখানেক আগে দত্তপাড়া চৌমাথা বাজারে বাইক দুর্ঘটনায় দয়ালচন্দ্র মণ্ডল (60) নামে একজনের মৃত্যু হয়। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তায় স্পিড ব্রেকার বসানোর দাবি জানান। পুলিশ দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে সেবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে । আজ সেই চৌমাথা বাজারের মুদি ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলি রাস্তা পার হচ্ছিলেন। সেই সময় হাকিমপুরের দিক থেকে আসা মারুতি গাড়ি ইয়াকুবকে ধাক্কা মারে । এরপরই ঘাতক গাড়িকে আটক করে, পথ অবরোধ শুরু করেন স্থানীয়রা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ । গাড়িটিকে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু স্থানীয়রা তাতে বাধা দেন।

পরে স্বরূপনগর থানার OC-র নেতৃত্বে ঘটনাস্থানে আরও পুলিশ কর্মী পৌঁছায়। অবরোধ তোলার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে । অভিযোগ, বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য রউফ গাজিকে পুলিশ মারধর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। তখনই বিক্ষোভ কারীরা আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইটবৃষ্টি শুরু হয়। ঘটনায় OC সহ চার পুলিশকর্মী জখম হন। এদিকে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ । এর জেরে সাত গ্রামবাসী জখম হন। তড়িঘড়ি প্রত্যককে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয় । জখম রউব গাজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, ইয়াকুবের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল । পুলিশকর্মীরাও সুস্থ রয়েছেন । আপাতত স্বরূপনগরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সুশান্ত মণ্ডল বলেন, "ওই জায়গায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। আজ দুর্ঘটনার পর স্পিড ব্রেকার বসানোর দাবিতে বিক্ষোভ চলছিল। পুলিশ জোর করে তা তুলে দিতে চায়। পুলিশ প্রথমে লাঠি চালায় । তার জেরে উত্তেজিত বাসিন্দারা পালটা পাথর ছোড়ে। পরে অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.