ETV Bharat / state

Covid Cases at Barasat School: স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা করোনায় আক্রান্ত তাও চলছে পঠন-পাঠন, অভিযোগ অভিভাবকদের - বারাসতের নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের একের পর এক শিক্ষক শিক্ষিকা করোনায় আক্রান্ত

বারাসতের নামী বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের একের পর এক শিক্ষিক-শিক্ষিকা করোনায় আক্রান্ত। তারপরও স্কুল বন্ধের পথে না-হেঁটে পুরোদস্তুর ওই বেসরকারি স্কুলে পঠন-পাঠন চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ (School Teachers are Corona Affected)। যার জেরে সংক্রমণের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন কাণ্ডে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তর 24 পরগনা জেলার সদর শহর বারাসতে‌।

Covid Cases at Barasat
বারাসতের নামী বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের একের পর এক শিক্ষিক-শিক্ষিকা করোনায় আক্রান্ত
author img

By

Published : Jul 5, 2022, 7:22 PM IST

বারাসত, 5 জুলাই: বারাসতের নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের একের পর এক শিক্ষক-শিক্ষিকা করোনায় আক্রান্ত (School Teachers are Corona Affected)। তারপরও স্কুল বন্ধ না-রেখে দিব্যি চলছে পঠন-পাঠন। বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা।

তবে, এই নিয়ে বেসরকারি ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া না মিললেও অভিভাবকদের একাংশ কিন্তু শঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। তাঁরা চাইছেন, সংক্রমণ ঠেকাতে করোনার যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে। তাতে পড়ুয়ারা আরও বেশি সুরক্ষিত থাকবে।

ইতিমধ্যে করোনা ফের মাথা দিচ্ছে ৷ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত 24 ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন 1 হাজার 132 জন। বরাবরের মতো এবারও সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা লাগোয়া উত্তর 24 পরগনা জেলা। গত 24 ঘণ্টায় এই জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় 500-র কাছাকাছি। জেলাসদর বারাসতের সংখ্যাটা সেখানে প্রায় 50-র কাছাকাছি। এই পরিস্থিতিতে কোভিড নির্দেশিকা মেনে চলার ওপর বারবার জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন : করোনা আক্রান্তদের জন্য স্বাস্থ্যভবনের নয়া নির্দেশিকা

সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক, স‍্যানিটাইজার ব্যবহার করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই বলেও মনে করছে চিকিৎসক মহল। এসবের মধ্যেই বারাসতের নামী বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে গত কয়েকদিনে একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। সূত্রের খবর, প্রাথমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক, এই দুটি বিভাগ মিলিয়ে অন্তত পক্ষে 12 জন শিক্ষক-শিক্ষিকা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৷ যা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্কুল চত্বরে। অভিযোগ, শিক্ষক-শিক্ষিকারা যখন করোনায় আক্রান্ত তখন পঠন-পাঠন বন্ধ না রেখে দিব্যি স্কুল খোলা রাখা হয়েছে। আর তাতেই বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা।

যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, সংক্রমিত শিক্ষক-শিক্ষিকারা ইতিমধ্যে বাড়িতে কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন। স্কুল প্রাঙ্গণ এবং ক্লাস রুম স‍্যানিটাইজড করা হয়েছে। ফলে পড়ুয়াদের সুরক্ষার দিকে নজর রয়েছে সর্বদা। এক্ষেত্রে কোনওরকম আপস করা হবে না। অন্যদিকে, সংক্রমণের আশঙ্কা থাকলেও স্কুল বন্ধের পক্ষপাতী নন অভিভাবকদের একাংশ।

যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, সংক্রমিত শিক্ষক-শিক্ষিকারা ইতিমধ্যে বাড়িতে কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন

আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত কলিমুলের হাত ধরে এই স্কুল এক মনোরম ভ্রমণ স্থান

মোবাশির মাসিদ নামে এক অভিভাবক বলেন, "স্কুলের তরফে পড়ুয়াদের সুরক্ষার দিকে কোনও আপস করা হয় না। তারপরও কেউ সংক্রামিত হলে সেখানে কাউকে দোষারোপ করা ঠিক নয়। এমনিতেই করোনায় প্রায় দু-বছর স্কুল বন্ধ ছিল। এর জেরে পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনেও ব‍্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই, সংক্রমণের আশঙ্কায় ফের স্কুলের দরজা বন্ধ হোক, সেটা কেউই চায় না।"

অন্যদিকে, এই বিষয়ে বারাসত পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের পৌরপারিষদ অভিজিৎ নাগ চৌধুরী বলেন, "বিষয়টি জানার পরই পৌরসভার তরফে স্কুলে গিয়ে স‍্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেহেতু অধিকাংশ পড়ুয়ার ইতিমধ্যে করোনার ভ‍্যাক্সিনেশন সম্পন্ন হয়েছে সেহেতু আশঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তা সত্ত্বেও পৌরসভা সবসময় নজর রেখেছে ওই বেসরকারি স্কুলের পরিস্থিতির দিকে। তেমন হলে জেলা প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে ৷"

বারাসত, 5 জুলাই: বারাসতের নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের একের পর এক শিক্ষক-শিক্ষিকা করোনায় আক্রান্ত (School Teachers are Corona Affected)। তারপরও স্কুল বন্ধ না-রেখে দিব্যি চলছে পঠন-পাঠন। বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা।

তবে, এই নিয়ে বেসরকারি ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া না মিললেও অভিভাবকদের একাংশ কিন্তু শঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। তাঁরা চাইছেন, সংক্রমণ ঠেকাতে করোনার যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে। তাতে পড়ুয়ারা আরও বেশি সুরক্ষিত থাকবে।

ইতিমধ্যে করোনা ফের মাথা দিচ্ছে ৷ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত 24 ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন 1 হাজার 132 জন। বরাবরের মতো এবারও সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা লাগোয়া উত্তর 24 পরগনা জেলা। গত 24 ঘণ্টায় এই জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় 500-র কাছাকাছি। জেলাসদর বারাসতের সংখ্যাটা সেখানে প্রায় 50-র কাছাকাছি। এই পরিস্থিতিতে কোভিড নির্দেশিকা মেনে চলার ওপর বারবার জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন : করোনা আক্রান্তদের জন্য স্বাস্থ্যভবনের নয়া নির্দেশিকা

সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক, স‍্যানিটাইজার ব্যবহার করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই বলেও মনে করছে চিকিৎসক মহল। এসবের মধ্যেই বারাসতের নামী বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে গত কয়েকদিনে একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। সূত্রের খবর, প্রাথমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক, এই দুটি বিভাগ মিলিয়ে অন্তত পক্ষে 12 জন শিক্ষক-শিক্ষিকা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৷ যা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্কুল চত্বরে। অভিযোগ, শিক্ষক-শিক্ষিকারা যখন করোনায় আক্রান্ত তখন পঠন-পাঠন বন্ধ না রেখে দিব্যি স্কুল খোলা রাখা হয়েছে। আর তাতেই বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা।

যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, সংক্রমিত শিক্ষক-শিক্ষিকারা ইতিমধ্যে বাড়িতে কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন। স্কুল প্রাঙ্গণ এবং ক্লাস রুম স‍্যানিটাইজড করা হয়েছে। ফলে পড়ুয়াদের সুরক্ষার দিকে নজর রয়েছে সর্বদা। এক্ষেত্রে কোনওরকম আপস করা হবে না। অন্যদিকে, সংক্রমণের আশঙ্কা থাকলেও স্কুল বন্ধের পক্ষপাতী নন অভিভাবকদের একাংশ।

যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, সংক্রমিত শিক্ষক-শিক্ষিকারা ইতিমধ্যে বাড়িতে কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন

আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত কলিমুলের হাত ধরে এই স্কুল এক মনোরম ভ্রমণ স্থান

মোবাশির মাসিদ নামে এক অভিভাবক বলেন, "স্কুলের তরফে পড়ুয়াদের সুরক্ষার দিকে কোনও আপস করা হয় না। তারপরও কেউ সংক্রামিত হলে সেখানে কাউকে দোষারোপ করা ঠিক নয়। এমনিতেই করোনায় প্রায় দু-বছর স্কুল বন্ধ ছিল। এর জেরে পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনেও ব‍্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই, সংক্রমণের আশঙ্কায় ফের স্কুলের দরজা বন্ধ হোক, সেটা কেউই চায় না।"

অন্যদিকে, এই বিষয়ে বারাসত পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের পৌরপারিষদ অভিজিৎ নাগ চৌধুরী বলেন, "বিষয়টি জানার পরই পৌরসভার তরফে স্কুলে গিয়ে স‍্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেহেতু অধিকাংশ পড়ুয়ার ইতিমধ্যে করোনার ভ‍্যাক্সিনেশন সম্পন্ন হয়েছে সেহেতু আশঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তা সত্ত্বেও পৌরসভা সবসময় নজর রেখেছে ওই বেসরকারি স্কুলের পরিস্থিতির দিকে। তেমন হলে জেলা প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে ৷"

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.