ETV Bharat / state

হাবরায় জোড়া খুনের পুনর্নির্মাণ - অজয় দাস

হাবরা থানার পুলিশ জোড়া খুনে দুই অভিযুক্ত বান্টি ও অজয়কে নিয়ে হাজির হয় টুনিঘাটায় নিহত রামকৃষ্ণ মণ্ডলের বাড়িতে । পুনর্নির্মাণের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আশ্চর্য জনক ভাবে নীরব ছিল বান্টি । কিন্তু অজয় সাবলীলভাবে বলে গেল কীভাবে খুন হয়েছিল ।

Reconstruction of double murders in Habra
Reconstruction of double murders in Habra
author img

By

Published : Sep 27, 2020, 4:09 PM IST

হাবরা, 27 সেপ্টেম্বর : জোড়া খুনের ঘটনায় শনিবার খুনের পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ। গতকাল বিকেলে দুই অভিযুক্ত বান্টি সাধু ও অজয় দাসকে নিয়ে পুলিশ টুনিঘাটায় নিহত রামকৃষ্ণ মণ্ডলের বাড়িতে যায় । পুলিশের সামনেই দুই অভিযুক্ত কীভাবে রামকৃষ্ণ ও তাঁর স্ত্রী লীলা মণ্ডলকে গুলি করে খুন করেছিল, তার পুনর্নির্মাণ করে দেখিয়েছে ।

পুলিশ নিহত দম্পতির জামাই ধৃত বান্টিকে জেরা করে জানতে পেরেছে, শ্বশুর-শাশুড়িকে খুনের জন্যই সে নদিয়ার বেথুয়াডহরির এক ব্যক্তির কাছ থেকে 70 হাজার টাকা দিয়ে 9mm পিস্তল কিনেছিল । আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রেতার হদিস পেতে নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার পুলিশের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছে হাবরা থানার পুলিশ । খুনের ঘটনায় বান্টির স্ত্রীর কোনও ভূমিকা ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা ।

পুলিশি জেরায় বয়ান বদল করে বান্টি ভুলপথে চালানোর চেষ্টা করেছিল । জেরায় সে পুলিশকে জানিয়েছিল, আগ্নেয়াস্ত্রটা সে কিনেছিল শ্যালক জিদানের কথায় । এমনকী শ্বশুর-শাশুড়ি খুনের দায় প্রথমে বান্টি শ্যালক জিদানের ঘাড়েই চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল । কিন্তু পুলিশের জেরায় শেষে ভেঙে পড়ে বান্টি । স্বীকার করে শ্বশুর-শাশুড়িকে খুন করার জন্যই সে 9mm পিস্তল কিনেছিল ।

কিন্তু ঘটনার সময় কে গুলি চালিয়েছিল? বান্টি না অজয়--এই বিষয়টি নিয়ে এখনও ধন্দে রয়েছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা । গতকাল বিকেল তিনটে নাগাদ হাবরা থানার পুলিশ জোড়া খুনে দুই অভিযুক্ত বান্টি ও অজয়কে নিয়ে হাজির হয় টুনিঘাটায় নিহত রামকৃষ্ণ মণ্ডলের বাড়িতে । খুনের পুনর্নির্মাণের সময় হাজির ছিলেন বারাসতের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর ।

পুলিশের সামনেই দুই অভিযুক্ত খুনের পুনর্নির্মাণ করে দেখিয়েছে । প্রথমেই বান্টি, অজয়রা বাড়ির সামনে কোথায় বাইক রেখেছিল সেই জায়গাটা নির্দেশ করেছে । তারপর একে একে কীভাবে তারা বাড়ির দোতলায় উঠেছিল, কীভাবে শ্যালক জিদানের ঘর বাইরে থেকে আটকে দিয়েছিল, দুই অভিযুক্ত সবটাই দেখিয়েছে । চোর চোর চিৎকার হওয়ার পর বান্টি ও অজয় কোথায় লুকিয়ে ছিল, সেটাও দেখিয়েছে পুলিশকে । তারপর কোথায় দাঁড়িয়ে গুলি করেছিল, তাও দেখিয়েছে । পুনর্নির্মাণের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আশ্চর্য জনক ভাবে নীরব ছিল বান্টি । দু-একটা কথা বললেও সেটা ছিল খুব ধীরে ধীরে । কিন্তু অজয় অনেকটাই ছিল স্বাভাবিক । সে-ই বেশি কথা বলেছে । অজয়ের কথা শুনে একবারও মনে হয়নি সে জোড়া খুনে অভিযুক্ত ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, "কীভাবে, কোথায় দাঁড়িয়ে রামকৃষ্ণ মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী লীলা মণ্ডলকে খুন করা হয়েছিল, সেটা পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে । অভিযুক্তরা পুলিশি হেপাজতেই রয়েছে । তাদের আরও জেরা করা হবে।"

হাবরা, 27 সেপ্টেম্বর : জোড়া খুনের ঘটনায় শনিবার খুনের পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ। গতকাল বিকেলে দুই অভিযুক্ত বান্টি সাধু ও অজয় দাসকে নিয়ে পুলিশ টুনিঘাটায় নিহত রামকৃষ্ণ মণ্ডলের বাড়িতে যায় । পুলিশের সামনেই দুই অভিযুক্ত কীভাবে রামকৃষ্ণ ও তাঁর স্ত্রী লীলা মণ্ডলকে গুলি করে খুন করেছিল, তার পুনর্নির্মাণ করে দেখিয়েছে ।

পুলিশ নিহত দম্পতির জামাই ধৃত বান্টিকে জেরা করে জানতে পেরেছে, শ্বশুর-শাশুড়িকে খুনের জন্যই সে নদিয়ার বেথুয়াডহরির এক ব্যক্তির কাছ থেকে 70 হাজার টাকা দিয়ে 9mm পিস্তল কিনেছিল । আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রেতার হদিস পেতে নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার পুলিশের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছে হাবরা থানার পুলিশ । খুনের ঘটনায় বান্টির স্ত্রীর কোনও ভূমিকা ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা ।

পুলিশি জেরায় বয়ান বদল করে বান্টি ভুলপথে চালানোর চেষ্টা করেছিল । জেরায় সে পুলিশকে জানিয়েছিল, আগ্নেয়াস্ত্রটা সে কিনেছিল শ্যালক জিদানের কথায় । এমনকী শ্বশুর-শাশুড়ি খুনের দায় প্রথমে বান্টি শ্যালক জিদানের ঘাড়েই চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল । কিন্তু পুলিশের জেরায় শেষে ভেঙে পড়ে বান্টি । স্বীকার করে শ্বশুর-শাশুড়িকে খুন করার জন্যই সে 9mm পিস্তল কিনেছিল ।

কিন্তু ঘটনার সময় কে গুলি চালিয়েছিল? বান্টি না অজয়--এই বিষয়টি নিয়ে এখনও ধন্দে রয়েছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা । গতকাল বিকেল তিনটে নাগাদ হাবরা থানার পুলিশ জোড়া খুনে দুই অভিযুক্ত বান্টি ও অজয়কে নিয়ে হাজির হয় টুনিঘাটায় নিহত রামকৃষ্ণ মণ্ডলের বাড়িতে । খুনের পুনর্নির্মাণের সময় হাজির ছিলেন বারাসতের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর ।

পুলিশের সামনেই দুই অভিযুক্ত খুনের পুনর্নির্মাণ করে দেখিয়েছে । প্রথমেই বান্টি, অজয়রা বাড়ির সামনে কোথায় বাইক রেখেছিল সেই জায়গাটা নির্দেশ করেছে । তারপর একে একে কীভাবে তারা বাড়ির দোতলায় উঠেছিল, কীভাবে শ্যালক জিদানের ঘর বাইরে থেকে আটকে দিয়েছিল, দুই অভিযুক্ত সবটাই দেখিয়েছে । চোর চোর চিৎকার হওয়ার পর বান্টি ও অজয় কোথায় লুকিয়ে ছিল, সেটাও দেখিয়েছে পুলিশকে । তারপর কোথায় দাঁড়িয়ে গুলি করেছিল, তাও দেখিয়েছে । পুনর্নির্মাণের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আশ্চর্য জনক ভাবে নীরব ছিল বান্টি । দু-একটা কথা বললেও সেটা ছিল খুব ধীরে ধীরে । কিন্তু অজয় অনেকটাই ছিল স্বাভাবিক । সে-ই বেশি কথা বলেছে । অজয়ের কথা শুনে একবারও মনে হয়নি সে জোড়া খুনে অভিযুক্ত ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, "কীভাবে, কোথায় দাঁড়িয়ে রামকৃষ্ণ মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী লীলা মণ্ডলকে খুন করা হয়েছিল, সেটা পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে । অভিযুক্তরা পুলিশি হেপাজতেই রয়েছে । তাদের আরও জেরা করা হবে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.