বসিরহাট, 19 মে: ইঞ্জিনিয়ার হয়ে দেশের প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিয়ে চান এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় তৃতীয় স্থানাধিকারী সৌম্যদীপ মল্লিক। চলতি বছর মাধ্যমিকে যে ছ'জন তৃতীয় হয়েছেন গোটা রাজ্যে, তার মধ্যে রয়েছে সৌম্যদীপের নামও। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর 690। 98.57 শতাংশ নম্বর পেয়েছে সে। উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা দেউলিয়া হাইস্কুলের ছাত্র সৌম্যদীপ। তাঁর এই সাফল্যে পরিবার যেমন খুশি তেমনই গর্বিত দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা দেউলিয়া হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। এবছর এই স্কুল থেকেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল সে।
উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গার হাদিপুরে বাড়ি সৌম্যদীপের। বাবা সন্দীপ মল্লিক গৃহশিক্ষক। মা রীমা গৃহবধূ। পরিবারের একমাত্র সন্তান তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় তুখোড় ছিল সৌম্যদীপ। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলা এবং যে কোনও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করত স্কুলের এই কৃতি ছাত্র। প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান বিদ্যাসাগর সায়েন্স অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করে চতুর্থ স্থান অর্জন করে রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন সৌম্যদীপ মল্লিক। তাই সায়েন্সের প্রতি বরাবরই ঝোঁক রয়েছে তাঁর।
মাধ্যমিকে সাফল্যের বিষয়ে সৌম্যদীপ বলে, "পরীক্ষা ভালো দেওয়ায় আত্মবিশ্বাস ছিলই। তবে, তৃতীয় স্থান অধিকার করব তা ভাবতে পারিনি। খুব ভালো লাগছে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে। সেই সঙ্গে স্কুলের মর্যাদাও ধরে রাখতে পেরেছি"। ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে সৌম্যদীপ বলে, "আমাদের দেশ পাশ্চাত্য অন্যান্য দেশের থেকে প্রযুক্তিতে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। সেই কারণে প্রযুক্তি বিদ্যায় ভর করে এগিয়ে যেতে আমাদের। তাই আমি ইঞ্জিনিয়ার হয়ে দেশের প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই আগামিদিনে।"
আরও পড়ুন: দিনে 6-7 ঘণ্টা পড়ে মাধ্যমিকে তৃতীয় মালদার ইমতিয়াজ
পাশাপাশি, তাঁর এই সাফল্যের পিছনে পরিবারের পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবদান রয়েছে বলে মত পোষণ করেছে সৌম্যদীপ। অন্যদিকে, সৌম্যদীপের পাশাপাশি উত্তর 24 পরগনার টাকি রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র অর্ক মণ্ডলও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায়। তাঁর প্রাপ্ত নম্বরও 690 ৷