সন্দেশখালি, 9 জুন : বিয়ে হয়েছিল পাঁচমাস আগে । স্বপ্ন দেখছিলেন গুছিয়ে সংসার করার । একটু ভালো থাকতে হবে, তাই কখনও মোজ়াইক, কখনও বা পাথর বোল্ডারিং-র কাজে চলে যেতেন বছর 24 র কায়ুম । সংসারে সময় দিতে বাড়িতেই পোলট্রিফার্ম খোলার পরিকল্পনা করেছিলেন । কিন্তু, একটা বুলেটেই সব শেষ ।
রাজনৈতিক অশান্তি কেড়ে নিয়েছে কায়ুমকে । ছেলের হঠাৎ মৃত্যু কেড়ে নেয়ে মুখের ভাষা । গতকাল রাতের কথা বলতে গিয়ে চোখ ছলছলে হয়ে উঠল কায়ুমের বাবা লিয়াকত মোল্লার । তিনি বললেন...
তৃণমূল করতেন কায়ুম । গতকাল ভাঙিপড়ায় দলের মিটিং ছিল । দুপুর সাড়ে তিনটের সময় মিটিংয়ে যাওরার জন্য বাড়ি থেকে বেরোন কায়ুম । মিটিং শেষে এলাকায় যখন দলের পতাকা লাগাচ্ছিলেন । ঠিক তখনই প্রদীপ মণ্ডল নামে BJP আশ্রিত এক দুষ্কৃতী তাঁকে গুলি করে । এখানেই শেষ নয়, ওই সময় ঘটনাস্থানে উপস্থিত ছিলেন এক অফিসার সহ চার পুলিশকর্মী । লিয়াকতের দাবি, পুলিশের সামনেই ছেলের দেহ টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয় । এরপর দুষ্কৃতীরা কুপিয়ে খুন করে । মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে খবর । জানাজানি হতেই পালিয়ে যায় তারা। ঘটনাস্থানে আসেন রাজবাড়ি আউটপোস্টের OC অভিজিৎ পাল ।
এই সংক্রান্ত খবর : একরাতেই সন্দেশখালিতে শ্মশানের নিস্তব্ধতা !
ছেলের মৃত্যুর জন্য BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও সায়ন্তন বসুর দিকে আঙুল তুলেছেন লিয়াকত মোল্লা । বলেন, "দিলীপ ঘোষ ও সায়ন্তন বসুর প্রছন্ন মদতে এলাকাটা পুরো দুষ্কৃতীতে ভরে গেছে । ভোটের আগে সায়ন্তনবাবু বলেছিলেন বুক লক্ষ্য করে গুলি করতে । এতেই উৎসাহিত হয়েই গতকাল আমার ছেলেকে ওরা গুলি করল । দিলীপ ও সায়ন্তনের ও উপযুক্ত শাস্তি চাই ।"
এই সংক্রান্ত খবর : BJP-তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সন্দেশখালির ন্যাজাট, মৃত 4
কয়েকঘণ্টার সংঘর্ষে কোল খালি হয়ে গেছে বাবার । তবুও তিনি চান না এই সংঘর্ষের ছায়া পড়ুক অন্য পরিবারেও । বলেন, "আমার বুক খালি হয়েছে, কিন্তু, আর কারোর বুক যেন খালি না হয় । রাজনৈতিক নেতাদের কাছে আমার আবেদন, আজ আমার যা ক্ষতি হয়েছে, তা যেন আর কারোর না হয় । হিংসার রাজনীতি এবার শেষ হোক ।"
এই সংক্রান্ত খবর : সন্দেশখালি ইশু : কলকাতায় পুড়ল মমতার কুশপুতুল, গ্রেপ্তার 15 BJP কর্মী
এই সংক্রান্ত খবর : সন্দেশখালি ইশু : রাজ্যপালের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের সম্ভাবনা