বারাসত, 17 মে : করোনা রুখতে সরকারি বিধিনিষেধ কার্যত উপেক্ষা করেই বারাসতে অবরোধ-বিক্ষোভে সামিল হলেন পৌরসভার সাফাই কর্মীরা । রীতিমতো টাকি রোডের উপর জঞ্জাল বিভাগের গাড়ি দিয়ে আটকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা । তা টপকে বাইক আরোহীদের কেউ কেউ যাওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজিত সাফাই কর্মীদের একাংশ মারমুখী হয়ে ওঠেন বলে অভিযোগ । আঙুল উঁচিয়ে ধাক্কা দিয়ে এক বাইক আরোহীকে ফেলে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে । বাদ যায়নি পুলিশের গাড়িও । তাদের গাড়ি আটকে পুলিশকর্মীদের শাসানি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ । শেষে তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর ও পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য তাপস দাশগুপ্তের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ।
ঘটনার সূত্রপাত, পৌরসভার সাফাই কর্মীদের আক্রান্ত হওয়াকে ঘিরে । সোমবার সকালে কদম্বগাছি পঞ্চায়েত এলাকায় পৌরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আবর্জনা ফেলতে গিয়েছিলেন জঞ্জাল বিভাগের সাফাই কর্মীরা । তখনই বাধা দেন স্থানীয়রা । এমনকি সাফাই কর্মীদের কয়েকজনকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ । এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পৌরসভার সাফাই কর্মীরা । ঘটনার প্রতিবাদে কাজ বন্ধ করে একত্রিত হয়ে আন্দোলনে নামেন সকলে । বারাসত বামুনমুড়োর কাছে টাকি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয় । রীতিমতো রাস্তার উপর পৌরসভার জঞ্জাল বিভাগের গাড়ি দাঁড় করিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই রোড অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা । অভিযোগ, তখনই বাইক আরোহীদের উপর মারমুখী হয়ে ওঠেন সাফাই কর্মীদের একাংশ । এক বাইক আরোহীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে । করোনার সংক্রমণ রুখতে যেখানে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে ।গোটা রাজ্যে কার্যত লকডাউন চলছে । সেখানে কিভাবে সরকারি নিয়মবিধি উপেক্ষা করে অবরোধ,বিক্ষোভ এবং দাদাগিরি চলল তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন ।
বিদায়ী কাউন্সিলর আরও বলেন, "কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের অনুমতি নিয়ে 68 কাঠা জমি কিনে সেখানে আধুনিক মানের ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করা হয়েছিল । তারপরও আন্দোলনে নেমে প্রতি মুহূর্তে কাজে বাধা দিচ্ছেন বিজেপির মদতপুষ্ট কয়েকজন । করোনা আবহে যেখানে বারাসত শহরকে জঞ্জাল মুক্ত রাখা দরকার সেখানেই শহরের আবর্জনা পরিষ্কার করা যাচ্ছে না । আমরা পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছে "।
তবে,এদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পৌরসভার জঞ্জাল বিভাগের প্রাক্তন দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর,বতর্মানে প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য তাপস দাশগুপ্ত ।