বারাসত, 17 জানুয়ারি : একজন ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত ৷ অন্যজন বাইক দুর্ঘটনার পর পায়ের যন্ত্রণায় ভুগছেন । দুজনেরই কাছে রয়েছে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড । যদিও সেই কার্ড দেখিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে মিলল না চিকিৎসা ৷ অভিযোগ, বেড না থাকার অজুহাতে ওই দুই রোগীকে ভরতি নেয়নি বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতাল । ফলে কাঠগড়ায় বারাসতের ওই বেসরকারি হাসপাতাল ।
তিনদিন আগে ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হন হাবরার শ্রীনগরের বাসিন্দা দীপালি পাল । স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই মহিলার পরিবার ৷ যদিও বেড না থাকার অজুহাতে রোগীকে ভরতি নেওয়া হয়নি । একই অভিজ্ঞতা হয় বাইক দুর্ঘটনায় আহত যুবক চন্দন দাসের পরিবারেরও । মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরও স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থাকা দুই রোগীকে ফেরানোর ঘটনায় হতাশ পরিবারের লোকেরা । যদিও এ বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেনি ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।
আরও পড়ুন : স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও হয়রানির অভিযোগ
রাজ্যের প্রায় 10 কোটি মানুষকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । "দুয়ারে সরকার" কর্মসূচির মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড তুলেও দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের হাতে । কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই কার্ড নিয়ে হয়রানি ও পর্যাপ্ত টাকা না থাকার অভিযোগ সামনে এসেছে । স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে চিকিৎসা না দিলে লাইসেন্স কেড়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কিন্তু সেই হুঁশিয়ারিতেও যে কাজ হয়নি তা বারাসতের ওই বেসরকারি হাসপাতালের রোগী ফেরানোর ঘটনায় স্পষ্ট ৷