বারাসত, 29 জুন : বাসভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে রাস্তায় বাস আটকে বিক্ষোভ দেখালেন বেসরকারি বাস মালিকরা । সেই আন্দোলন তুলতে এসে পুলিশ ও INTTUC-র নেতৃত্বের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন তাঁরা । এর ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে । ঘটনাটি বারাসত কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসের। আন্দোলনের জেরে সকাল থেকেই বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায় । ফলে রাস্তায় বেরিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা । প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বেলার দিকে বেসরকারি কিছু বাস রাস্তায় নামলেও তা যথেষ্ট ছিল না বলে অভিযোগ। পরিবহন বিভাগ ও বাসমালিকদের আলোচনাতেও জট কাটেনি বলে জানা গিয়েছে । বেসরকারি বাসমালিকরা তাদের দাবিতে এখনও অনড় । ফলে,আগামীতে যাত্রী দুর্ভোগ বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
বাসভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে কয়েকদিন ধরেই বেসরকারি বাস সংগঠন ও সরকারের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে । লকডাউন শিথিল হওয়ার পর বেসরকারি বাস রাস্তায় নামলেও ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে অনড় ছিল বেসরকারি বাস সংগঠনগুলি । তাদের দাবি খতিয়ে দেখতে রেগুলেটরি কমিটিও গঠন করা হয় রাজ্য সরকারের তরফে । কিন্তু তাতেও জট কাটেনি । এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, লকডাউন পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই বাসেভাড়া বৃদ্ধি করা হবেনা । পরিবর্তে 6 হাজার বেসরকারি বাসে প্রতি মাসে 15 হাজার টাকা ভর্তুকি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। কিন্তু,মুখ্যমন্ত্রী সেই ঘোষণায় সন্তুষ্ট না হয়ে বেসরকারি বাস সংগঠন জানিয়ে দেয় ,ভাড়া বৃদ্ধি না করা হলে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে। আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় অধিকাংশ বেসরকারি বাস রাস্তায় না নামায় নাকাল হতে হয় সাধারণ যাত্রী থেকে নিত্য যাত্রীদের । উত্তর 24 পরগনার জেলসদর বারাসতের চিত্রটাও ছিল প্রায় একইরকম । বারাসত চাঁপাডালি মোড়ের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসে সকাল থেকেই বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বাস মালিকরা । ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভও দেখায় তারা । খবর পেয়ে INTTUC-র জেলা সভাপতি তাপস দাশগুপ্তের নেতৃত্বে দলীয় কর্মীরা চলে আসে সেখানে । বারাসত থানার পুলিশবাহিনীও ঘটনাস্থানে আসে । তারা বাস মালিকদের আন্দোলন প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানায় । কিন্তু,তাদের দাবিতে অনড় থাকে আন্দোলনকারীরা । এনিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা । স্লোগান ও পাল্টা স্লোগানে পরিস্থিতি উতপ্ত হয়ে উঠে । এরপরই আসরে নামেন জেলা আঞ্চলিক পরিবহন আধিকারিক অনন্ত সরকার । তাঁর হস্তক্ষেপে বাস মালিকরা আন্দোলন তুলে নিলেও অনড় থাকেন বাসভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে। এরপর,বেলার দিকে হাতেগোনা কিছু বেসরকারি বাস রাস্তায় নামলেও তা যাত্রী হয়রানি কমাতে পর্যাপ্ত ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে। সূত্র মারফত জানা গেছে,পরিবহন বিভাগ ও বাস মালিকদের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনা হয়েছে । তবে জট কাটেনি।
এদিকে,পর্যাপ্ত বাস না পেয়ে সকাল থেকেই যাত্রীদের দুর্ভোগের অন্ত ছিল না । চিন্ময় দাস নামে এক যাত্রী বলেন,"আমি মেডিকেল বিভাগের কাজের সঙ্গে জড়িত । ধর্মতলায় যাব বলে সকালে বারাসতের এই বাস টার্মিনাসে এসেছিলাম । কিন্তু বাস না পেয়ে এখন আমাকে আবার বাড়িতে ফিরে যেতে হবে। সরকার ও মালিক পক্ষের এই দড়ি টানাটানিতে অসুবিধে হচ্ছে আমাদের মতো যাত্রীদের। অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত"।
এই বিষয়ে INTTUC-র জেলা সভাপতি তাপস দাশগুপ্ত বলেন,"বাস মালিকরা কখনওই শ্রমিকদের স্বার্থের কথা ভাবে না। তারা খেতে পাক আর না পাক তাতে কিছু আসে যায়না তাদের । ওদের দাবিদাওয়া নিয়ে রাজ্য সরকার যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বেসরকারি বাস মালিকদের প্রতি মাসে 15 হাজার টাকা করে ভর্তুকি দেওয়ার কথা বলেছে। তারপরও এভাবে রাস্তায় বসে বাস আটকে বিক্ষোভ দেখাল তারা । আমরা যাত্রী দুর্ভোগ ও শ্রমিকদের পেটে লাথি মারা কিছুতেই মেনে নেবনা । প্রশাসনকে বলা হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে"।
এই বিষয়ে জেলা বাস মালিক সমিতির সম্পাদক অলোক বিশ্বাস বলেন,"আমরা তিনমাস লোকসান করে বাস চালিয়েছি।এভাবে আর বাস চালাতে পারছি না। সরকার যখন বাসভাড়া বাড়াবে না তখন আমাদের বাস চলাচল বন্ধ করা ছাড়া উপায় নেই । বাধ্য হয়েই আমরা পথে বাস নামায়নি"।যাত্রী দুর্ভাগ্যের বিষয়ে তিনি বলেন,"ওটা আমাদের ব্যাপার নয়! বিষয়টি সরকার বুঝবে"। অপরদিকে,বিষয়টি নিয়ে জেলা আঞ্চলিক পরিবহন আধিকারিক অনন্ত সরকার বলেন,"বাস মালিকরা কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে । আলোচনার মাধ্যমে সেই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। ওদের দাবিদাওয়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে । যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে সরকারি বাস রাস্তায় নামানো হয়েছে।''
ভাড়া বাড়ানোর দাবি, রাস্তায় বসে বিক্ষোভ বাসমালিকদের
বাসভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে আজ বাস আটকে বিক্ষোভ দেখাল বাস মালিকরা ৷ এই বিক্ষোভের ফলে নিত্যযাত্রীরা অসুবিধায় পড়ে ৷ বিক্ষোভ তুলতে গেলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও INTTUC-র নেতৃত্বের বচসা শুরু হয় ৷ ঘটনাটি বারাসত কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসের।
বারাসত, 29 জুন : বাসভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে রাস্তায় বাস আটকে বিক্ষোভ দেখালেন বেসরকারি বাস মালিকরা । সেই আন্দোলন তুলতে এসে পুলিশ ও INTTUC-র নেতৃত্বের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন তাঁরা । এর ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে । ঘটনাটি বারাসত কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসের। আন্দোলনের জেরে সকাল থেকেই বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায় । ফলে রাস্তায় বেরিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা । প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বেলার দিকে বেসরকারি কিছু বাস রাস্তায় নামলেও তা যথেষ্ট ছিল না বলে অভিযোগ। পরিবহন বিভাগ ও বাসমালিকদের আলোচনাতেও জট কাটেনি বলে জানা গিয়েছে । বেসরকারি বাসমালিকরা তাদের দাবিতে এখনও অনড় । ফলে,আগামীতে যাত্রী দুর্ভোগ বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
বাসভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে কয়েকদিন ধরেই বেসরকারি বাস সংগঠন ও সরকারের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে । লকডাউন শিথিল হওয়ার পর বেসরকারি বাস রাস্তায় নামলেও ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে অনড় ছিল বেসরকারি বাস সংগঠনগুলি । তাদের দাবি খতিয়ে দেখতে রেগুলেটরি কমিটিও গঠন করা হয় রাজ্য সরকারের তরফে । কিন্তু তাতেও জট কাটেনি । এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, লকডাউন পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই বাসেভাড়া বৃদ্ধি করা হবেনা । পরিবর্তে 6 হাজার বেসরকারি বাসে প্রতি মাসে 15 হাজার টাকা ভর্তুকি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। কিন্তু,মুখ্যমন্ত্রী সেই ঘোষণায় সন্তুষ্ট না হয়ে বেসরকারি বাস সংগঠন জানিয়ে দেয় ,ভাড়া বৃদ্ধি না করা হলে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে। আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় অধিকাংশ বেসরকারি বাস রাস্তায় না নামায় নাকাল হতে হয় সাধারণ যাত্রী থেকে নিত্য যাত্রীদের । উত্তর 24 পরগনার জেলসদর বারাসতের চিত্রটাও ছিল প্রায় একইরকম । বারাসত চাঁপাডালি মোড়ের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসে সকাল থেকেই বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বাস মালিকরা । ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভও দেখায় তারা । খবর পেয়ে INTTUC-র জেলা সভাপতি তাপস দাশগুপ্তের নেতৃত্বে দলীয় কর্মীরা চলে আসে সেখানে । বারাসত থানার পুলিশবাহিনীও ঘটনাস্থানে আসে । তারা বাস মালিকদের আন্দোলন প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানায় । কিন্তু,তাদের দাবিতে অনড় থাকে আন্দোলনকারীরা । এনিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা । স্লোগান ও পাল্টা স্লোগানে পরিস্থিতি উতপ্ত হয়ে উঠে । এরপরই আসরে নামেন জেলা আঞ্চলিক পরিবহন আধিকারিক অনন্ত সরকার । তাঁর হস্তক্ষেপে বাস মালিকরা আন্দোলন তুলে নিলেও অনড় থাকেন বাসভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে। এরপর,বেলার দিকে হাতেগোনা কিছু বেসরকারি বাস রাস্তায় নামলেও তা যাত্রী হয়রানি কমাতে পর্যাপ্ত ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে। সূত্র মারফত জানা গেছে,পরিবহন বিভাগ ও বাস মালিকদের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনা হয়েছে । তবে জট কাটেনি।
এদিকে,পর্যাপ্ত বাস না পেয়ে সকাল থেকেই যাত্রীদের দুর্ভোগের অন্ত ছিল না । চিন্ময় দাস নামে এক যাত্রী বলেন,"আমি মেডিকেল বিভাগের কাজের সঙ্গে জড়িত । ধর্মতলায় যাব বলে সকালে বারাসতের এই বাস টার্মিনাসে এসেছিলাম । কিন্তু বাস না পেয়ে এখন আমাকে আবার বাড়িতে ফিরে যেতে হবে। সরকার ও মালিক পক্ষের এই দড়ি টানাটানিতে অসুবিধে হচ্ছে আমাদের মতো যাত্রীদের। অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত"।
এই বিষয়ে INTTUC-র জেলা সভাপতি তাপস দাশগুপ্ত বলেন,"বাস মালিকরা কখনওই শ্রমিকদের স্বার্থের কথা ভাবে না। তারা খেতে পাক আর না পাক তাতে কিছু আসে যায়না তাদের । ওদের দাবিদাওয়া নিয়ে রাজ্য সরকার যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বেসরকারি বাস মালিকদের প্রতি মাসে 15 হাজার টাকা করে ভর্তুকি দেওয়ার কথা বলেছে। তারপরও এভাবে রাস্তায় বসে বাস আটকে বিক্ষোভ দেখাল তারা । আমরা যাত্রী দুর্ভোগ ও শ্রমিকদের পেটে লাথি মারা কিছুতেই মেনে নেবনা । প্রশাসনকে বলা হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে"।
এই বিষয়ে জেলা বাস মালিক সমিতির সম্পাদক অলোক বিশ্বাস বলেন,"আমরা তিনমাস লোকসান করে বাস চালিয়েছি।এভাবে আর বাস চালাতে পারছি না। সরকার যখন বাসভাড়া বাড়াবে না তখন আমাদের বাস চলাচল বন্ধ করা ছাড়া উপায় নেই । বাধ্য হয়েই আমরা পথে বাস নামায়নি"।যাত্রী দুর্ভাগ্যের বিষয়ে তিনি বলেন,"ওটা আমাদের ব্যাপার নয়! বিষয়টি সরকার বুঝবে"। অপরদিকে,বিষয়টি নিয়ে জেলা আঞ্চলিক পরিবহন আধিকারিক অনন্ত সরকার বলেন,"বাস মালিকরা কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে । আলোচনার মাধ্যমে সেই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। ওদের দাবিদাওয়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে । যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে সরকারি বাস রাস্তায় নামানো হয়েছে।''