ETV Bharat / state

হাসপাতালে মৃত্যু প্রসূতি ও সদ্যোজাতের, উঠছে গাফিলতির প্রশ্ন - হাসপাতালে প্রসূতি ও সদ্যোজাতের মৃত্যু

অভিযোগ, মৃত অবস্থাতেই প্রসূতি ও সদ্যোজাতকে বারাসত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে বেসরকারি ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।

Aamdanga news
ছবি
author img

By

Published : Jun 27, 2020, 10:25 PM IST

আমডাঙা, 27 জুন : হাসপাতালে প্রসূতি ও সদ্যোজাতের মৃত্যু । আজ সকালে ঘটনাটি উত্তর 24 পরগনা জেলার আমডাঙার । মৃতার নাম শাবানা বিবি (19) । মৃত্যুর পরই বেসরকারি ওই হাসপাতালের সামনে মৃতার পরিবারের লোকেরা দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় । পথ অবরোধও করা হয় বেশ কিছুক্ষণ । পরে আমডাঙা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।

মৃত ওই মহিলার বাড়ি নদীয়ার দিগল গ্রামের ঝিকরা এলাকায় । গতকাল রাতে প্রসব যন্ত্রণা ওঠায় তাঁকে আমডাঙার আওয়াল সিদ্ধির চৌমাথার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় । পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, প্রয়োজনে সিজ়ার করেই প্রসব করানো হোক । কিন্তু, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিবারকে আশ্বাস দিয়েছিল স্বাভাবিক পদ্ধতিতে প্রসব হয়ে যাবে মহিলার । পরিবারের অভিযোগ, স্বাভাবিক পদ্ধতিতে প্রসব করাতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি । অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয় প্রসূতি ও সদ্যোজাতর ।

অভিযোগ, এরপরও মৃত অবস্থাতেই প্রসূতি ও সদ্যোজাতকে বারাসত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে বেসরকারি ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । সেখান থেকে বিষয়টি জানার পরেই আজ দুপুরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতার পরিবারের লোকেরা । বেসরকারি ওই হাসপাতালের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান তাঁরা । ফলে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় । হাসপাতাল সংলগ্ন নৈহাটি-জিরাট রোড অবরুদ্ধও করে রাখা হয় বেশ কিছুক্ষণ । এর জেরে সাময়িক যানচলাচল ব্যাহত হয় । পরে, খবর পেয়ে আমডাঙা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।

কী বলছে মৃতার পরিবার ?

এই বিষয়ে মৃতার আম্মি বসিরা বিবি বলেন, "প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ওই নার্সিংহোমে মেয়েকে ভরতি করানো হয় । তখন আমরা বারবার বলেছিলাম দরকার হলে সিজার করুন আপনারা ! কিন্তু, কোনও কথাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শোনেনি । বারবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে স্বাভাবিক পদ্ধতিতেই প্রসব হয়ে যাবে । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দোষেই মৃত্যু হয়েছে দু'জনের । "

মৃতার আব্বা নুর মহম্মদ মোল্লা বলেন, "মেয়ে ও সদ্যোজাত মারা যাওয়ার পরও আমাদের কাছে তা লুকিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় মৃত অবস্থাতেই দু'জনকে পাঠানো হয়েছে বারাসত হাসপাতালে । সেখান থেকে বলার পর বিষয়টি জানতে পারি আমরা । আমার মেয়েকে আর ফিরে পাবনা । কিন্তু যাঁরা দোষী তাঁদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক । তবেই আমার মেয়ের আত্মার শান্তি পাবে ।"

এদিকে, এই বিষয়ে আমডাঙা থানার পুলিশ জানিয়েছে,"মৃতার পরিবারের তরফ থেকে এখনও অবধি কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি । অভিযোগ পেলে বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে ।" তবে এই বিষয়ে বেসরকারি ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে চায়নি । ফলে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি তাদের ।

আমডাঙা, 27 জুন : হাসপাতালে প্রসূতি ও সদ্যোজাতের মৃত্যু । আজ সকালে ঘটনাটি উত্তর 24 পরগনা জেলার আমডাঙার । মৃতার নাম শাবানা বিবি (19) । মৃত্যুর পরই বেসরকারি ওই হাসপাতালের সামনে মৃতার পরিবারের লোকেরা দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় । পথ অবরোধও করা হয় বেশ কিছুক্ষণ । পরে আমডাঙা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।

মৃত ওই মহিলার বাড়ি নদীয়ার দিগল গ্রামের ঝিকরা এলাকায় । গতকাল রাতে প্রসব যন্ত্রণা ওঠায় তাঁকে আমডাঙার আওয়াল সিদ্ধির চৌমাথার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় । পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, প্রয়োজনে সিজ়ার করেই প্রসব করানো হোক । কিন্তু, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিবারকে আশ্বাস দিয়েছিল স্বাভাবিক পদ্ধতিতে প্রসব হয়ে যাবে মহিলার । পরিবারের অভিযোগ, স্বাভাবিক পদ্ধতিতে প্রসব করাতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি । অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয় প্রসূতি ও সদ্যোজাতর ।

অভিযোগ, এরপরও মৃত অবস্থাতেই প্রসূতি ও সদ্যোজাতকে বারাসত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে বেসরকারি ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । সেখান থেকে বিষয়টি জানার পরেই আজ দুপুরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতার পরিবারের লোকেরা । বেসরকারি ওই হাসপাতালের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান তাঁরা । ফলে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় । হাসপাতাল সংলগ্ন নৈহাটি-জিরাট রোড অবরুদ্ধও করে রাখা হয় বেশ কিছুক্ষণ । এর জেরে সাময়িক যানচলাচল ব্যাহত হয় । পরে, খবর পেয়ে আমডাঙা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।

কী বলছে মৃতার পরিবার ?

এই বিষয়ে মৃতার আম্মি বসিরা বিবি বলেন, "প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ওই নার্সিংহোমে মেয়েকে ভরতি করানো হয় । তখন আমরা বারবার বলেছিলাম দরকার হলে সিজার করুন আপনারা ! কিন্তু, কোনও কথাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শোনেনি । বারবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে স্বাভাবিক পদ্ধতিতেই প্রসব হয়ে যাবে । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দোষেই মৃত্যু হয়েছে দু'জনের । "

মৃতার আব্বা নুর মহম্মদ মোল্লা বলেন, "মেয়ে ও সদ্যোজাত মারা যাওয়ার পরও আমাদের কাছে তা লুকিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় মৃত অবস্থাতেই দু'জনকে পাঠানো হয়েছে বারাসত হাসপাতালে । সেখান থেকে বলার পর বিষয়টি জানতে পারি আমরা । আমার মেয়েকে আর ফিরে পাবনা । কিন্তু যাঁরা দোষী তাঁদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক । তবেই আমার মেয়ের আত্মার শান্তি পাবে ।"

এদিকে, এই বিষয়ে আমডাঙা থানার পুলিশ জানিয়েছে,"মৃতার পরিবারের তরফ থেকে এখনও অবধি কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি । অভিযোগ পেলে বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে ।" তবে এই বিষয়ে বেসরকারি ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে চায়নি । ফলে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি তাদের ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.