ETV Bharat / state

উন্নয়নে রাজনীতি বাধা হবে না, শপথ নিয়ে দাবি কৃষ্ণার - Bidhannagar Corporation gets new mayor

বিধাননগরের নতুন মেয়র হিসেবে আজ দুপুরে শপথ নিলেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী । বললেন, "উন্নয়নে রাজনীতি বাধা হবে না । জনগণের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত আমি ।"

শপথ নেওয়ার পর কৃষ্ণা চক্রবর্তী
author img

By

Published : Aug 10, 2019, 9:37 PM IST

বিধাননগর, 10 অগাস্ট : সুজিত, তাপসদের পেছনে ফেলে বিধাননগর পৌরনিগমের মেয়র হলেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী । মেয়র হিসেবে আজ দুপুরে শপথ নিলেন তিনি । তাঁর বিপরীতে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় একতরফাই মেয়র নির্বাচিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের এই ছায়াসঙ্গী । শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আজ উপস্থিত ছিলেন পুর্ণেন্দু বসু, শশী পাঁজা, ব্রাত্য বসু, সুজিত বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দোলা সেন-সহ তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা । উপস্থিত ছিলেন সল্টলেকের বিশিষ্টরা । শপথ শেষে কৃষ্ণা বললেন, ''জনগণের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত । উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজনীতি আসবে না ।''

বিধাননগরের মেয়র পদে সব্যসাচী দত্তর ইস্তফার পর থেকেই একাধিক নাম উঠে এসেছে নতুন মেয়র হিসেবে । এক সময় সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন সুজিত বসু । তৃণমূলের প্রথমসারির অনেকেই তাঁকে মেয়র পদে বসানোয় সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন । তবে, হাবেভাবে কিছুটা হলেও কৃষ্ণা চক্রবর্তী বুঝিয়ে দিয়েছিলেন সব্যসাচী পরবর্তী বিধাননগর পৌরনিগমের হাল ধরতে চলেছেন তিনিই । জানিয়েছিলেন, দল তাঁকে চাইলে তিনি মেয়র হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত । তবে, দলের অন্দরেই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল একাধিক । শুধু সুজিত নন । মেয়র পদে নাম উঠে এসেছিল তাপস চট্টোপাধ্যায়েরও । তবে তিনি মেয়র পদে আসীন হলে অনেকে আস্থা ভোটে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল ।

সব্যসাচী দত্তর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার পর থেকেই বিধাননগর পৌরনিগমে কার্যত অচলাবস্থা তৈরি হয় । সব্যসাচী পদত্যাগ করার পর দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় । জানা গেছে, সুজিত বসুকে মেয়র করতে চেয়ে দলের একাংশ উদ্যোগী হলেও সেই সময় তিনি মেয়র হতে না চাওয়ায় অনেকেই তাপস চট্টোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করেছিলেন । তবে, তাপস চট্টোপাধ্যায়ের বদলে দলের বেশিরভাগ অংশেরই পছন্দ ছিল কৃষ্ণাকে । তার একটা কারণ, তিনি আগেও বিধাননগর পৌরনিগমের মেয়রের দায়িত্ব সামলেছেন । সূত্রের খবর, কাউন্সিলরদের বড় একটা অংশ জানিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের ছায়াসঙ্গী কৃষ্ণা চক্রবর্তী মেয়র হলে তাদের কোনও আপত্তি নেই । সেই মতোই কয়েক দফা বৈঠকের পর 31 জুলাই নবান্ন সূত্রে জানা যায় কৃষ্ণা চক্রবর্তীই হচ্ছেন বিধাননগরের পরবর্তী মেয়র ।

মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর আজ সাংবাদিক বৈঠক করেন কৃষ্ণা । বলেন, "জনগণের হয়ে কাজ করব । কাজের ক্ষেত্রে রাজনীতি কোনও বাধা হবে না । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে রাজ্যে উন্নয়নের কাজ করছেন সল্টলেকে সেই ধারা বজায় রাখার চেষ্টা করব । জনগণের জন্য সব সময় আমার দরজা খোলা রয়েছে । বিধাননগরের মানুষ এবং আমরা সবাই মিলে এক সঙ্গে কাজ করব । পরিষেবার পাশাপাশি কোথাও কোনও বেআইনি কাজ যদি হয় সেক্ষেত্রে আমরা একসঙ্গে সেটা দেখব । ব্যবস্থা নেব । আমাদের নেত্রী কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেন না । আমরাও লক্ষ্য রাখব কোথাও বেআইনি কাজ যাতে না হয় । বিধাননগর পরিকল্পিত শহর । এখানে সবকিছু ঠিকঠাক আছে । রাজারহাটে কিছু রাস্তা কাঁচা রয়েছে । অনেক কাজ বাকি আছে । সেগুলি করতে হবে ।" ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, "তিন মাসের মধ্যে বিধাননগর এবং রাজারহাটকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে । প্রত্যেক দলেই কিছু ভালো-খারাপ মানুষ থাকে । আমাদের সজাগ থাকতে হবে ।"

বিধাননগর, 10 অগাস্ট : সুজিত, তাপসদের পেছনে ফেলে বিধাননগর পৌরনিগমের মেয়র হলেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী । মেয়র হিসেবে আজ দুপুরে শপথ নিলেন তিনি । তাঁর বিপরীতে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় একতরফাই মেয়র নির্বাচিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের এই ছায়াসঙ্গী । শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আজ উপস্থিত ছিলেন পুর্ণেন্দু বসু, শশী পাঁজা, ব্রাত্য বসু, সুজিত বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দোলা সেন-সহ তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা । উপস্থিত ছিলেন সল্টলেকের বিশিষ্টরা । শপথ শেষে কৃষ্ণা বললেন, ''জনগণের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত । উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজনীতি আসবে না ।''

বিধাননগরের মেয়র পদে সব্যসাচী দত্তর ইস্তফার পর থেকেই একাধিক নাম উঠে এসেছে নতুন মেয়র হিসেবে । এক সময় সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন সুজিত বসু । তৃণমূলের প্রথমসারির অনেকেই তাঁকে মেয়র পদে বসানোয় সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন । তবে, হাবেভাবে কিছুটা হলেও কৃষ্ণা চক্রবর্তী বুঝিয়ে দিয়েছিলেন সব্যসাচী পরবর্তী বিধাননগর পৌরনিগমের হাল ধরতে চলেছেন তিনিই । জানিয়েছিলেন, দল তাঁকে চাইলে তিনি মেয়র হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত । তবে, দলের অন্দরেই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল একাধিক । শুধু সুজিত নন । মেয়র পদে নাম উঠে এসেছিল তাপস চট্টোপাধ্যায়েরও । তবে তিনি মেয়র পদে আসীন হলে অনেকে আস্থা ভোটে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল ।

সব্যসাচী দত্তর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার পর থেকেই বিধাননগর পৌরনিগমে কার্যত অচলাবস্থা তৈরি হয় । সব্যসাচী পদত্যাগ করার পর দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় । জানা গেছে, সুজিত বসুকে মেয়র করতে চেয়ে দলের একাংশ উদ্যোগী হলেও সেই সময় তিনি মেয়র হতে না চাওয়ায় অনেকেই তাপস চট্টোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করেছিলেন । তবে, তাপস চট্টোপাধ্যায়ের বদলে দলের বেশিরভাগ অংশেরই পছন্দ ছিল কৃষ্ণাকে । তার একটা কারণ, তিনি আগেও বিধাননগর পৌরনিগমের মেয়রের দায়িত্ব সামলেছেন । সূত্রের খবর, কাউন্সিলরদের বড় একটা অংশ জানিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের ছায়াসঙ্গী কৃষ্ণা চক্রবর্তী মেয়র হলে তাদের কোনও আপত্তি নেই । সেই মতোই কয়েক দফা বৈঠকের পর 31 জুলাই নবান্ন সূত্রে জানা যায় কৃষ্ণা চক্রবর্তীই হচ্ছেন বিধাননগরের পরবর্তী মেয়র ।

মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর আজ সাংবাদিক বৈঠক করেন কৃষ্ণা । বলেন, "জনগণের হয়ে কাজ করব । কাজের ক্ষেত্রে রাজনীতি কোনও বাধা হবে না । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে রাজ্যে উন্নয়নের কাজ করছেন সল্টলেকে সেই ধারা বজায় রাখার চেষ্টা করব । জনগণের জন্য সব সময় আমার দরজা খোলা রয়েছে । বিধাননগরের মানুষ এবং আমরা সবাই মিলে এক সঙ্গে কাজ করব । পরিষেবার পাশাপাশি কোথাও কোনও বেআইনি কাজ যদি হয় সেক্ষেত্রে আমরা একসঙ্গে সেটা দেখব । ব্যবস্থা নেব । আমাদের নেত্রী কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেন না । আমরাও লক্ষ্য রাখব কোথাও বেআইনি কাজ যাতে না হয় । বিধাননগর পরিকল্পিত শহর । এখানে সবকিছু ঠিকঠাক আছে । রাজারহাটে কিছু রাস্তা কাঁচা রয়েছে । অনেক কাজ বাকি আছে । সেগুলি করতে হবে ।" ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, "তিন মাসের মধ্যে বিধাননগর এবং রাজারহাটকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে । প্রত্যেক দলেই কিছু ভালো-খারাপ মানুষ থাকে । আমাদের সজাগ থাকতে হবে ।"

Intro:

বিধাননগর, ১০ আগস্ট: বিধাননগরের মেয়র নির্বাচিত হলেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। তার বিরুদ্ধে কোন প্রার্থী না থাকায় একতরফা মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। আজ তার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী পুর্ণেন্দু বসু, শশী পাঁজা, ব্রাত্য বসু, সুজিত বোস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সাংসদ দোলা সেন ও সল্টলেকের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। নিষ্কণ্টক হল কৃষ্ণা চক্রবর্তীর শপথ গ্রহণ। শপথ শেষে জানালেন ''জনগণের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত। উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজনীতি আসবে না''।

Body:সব্যসাচী দত্ত পদত্যাগ করার পর তার উত্তরসূরি হিসেবে বেশ কয়েকটি নাম উঠে আসে। তার মধ্যে এগিয়ে ছিলেন তিনিই। তিনি আগেভাগেই তার ইচ্ছে দলের কাছে জানিয়ে ছিলেন। বলেছিলেন "দল তাকে চাইলে তিনি মেয়র হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত"। জুলাই মাসে কয়েক দফা বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরহাদ হাকিমকে জানান কৃষ্ণা চক্রবর্তী হবেন পরবর্তী মেয়র। গত মাসের শেষ সপ্তাহে ফিরহাদ হাকিম ঘোষণা করেন কৃষ্ণ চক্রবর্তী হচ্ছেন পরবর্তী মেয়র এবং 10 আগস্ট শনিবার হবে তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। আজ কৃষ্ণা চক্রবর্তীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান কে কেন্দ্র করে ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছিল। পুরনিগম চত্বরে মরে মঞ্চ বেঁধে বেশ জাকজমক করেই কৃষ্ণ চক্রবর্তীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। তাতে তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন সল্টলেকের বিশিষ্ট বাসিন্দারা। ঠিক করে দেওয়া নাম কৃষ্ণ চক্রবর্তী ছাড়া অন্য কেউ মেয়রের দাবিদার না থাকায় এদিন বোর্ড মিটিং এ কোন ভোটাভুটি হয়নি এবং জানা গিয়েছে কৃষ্ণ চক্রবর্তীর বিপক্ষেও কেউ তাদের মতামত দেননি। বোর্ড মিটিং হবার পর একতরফাভাবে কৃষ্ণা চক্রবর্তী মেয়র নির্বাচিত হন।

Conclusion:মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর সাংবাদিক সম্মেলন করে কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, "জনগণের হয়ে কাজ করব। কাজের ক্ষেত্রে রাজনীতি কোন বাধা হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে রাজ্যে উন্নয়নের কাজ করছেন সল্টলেকে সেই ধারা বজায় রাখার চেষ্টা করব। জনগণের জন্য সব সময় আমার দরজা খোলা রয়েছে। বিধাননগরের মানুষ এবং আমরা সবাই মিলে একসাথে কাজ করব। পরিষেবার পাশাপাশি কোথাও কোনো বেআইনি কাজ যদি হয় সেক্ষেত্রে আমরা একসঙ্গে সেটা দেখব। নেত্রী কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেন না। আমরাও লক্ষ্য রাখব কোথাও বেআইনি কাজ না হয়। বিধাননগর পরিকল্পিত শহর এখানে সবকিছু ঠিকঠাক আছে। রাজারহাটে কিছু রাস্তা কাঁচা রয়েছে। অনেক কাজ বাকি আছে রাজারহাটে। সেগুলি করতে হবে। ফিরহাদ হাকিম বলেছেন তিন মাসের মধ্যে বিধাননগর এবং রাজারহাট কে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। প্রত্যেক দলেই কিছু ভালো খারাপ মানুষ থাকে। আমাদের সজাগ থাকতে হবে"।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.