ETV Bharat / state

হাবরায় বাড়ি থেকে উদ্ধার বৃদ্ধার দেহ, সন্দেহ ডাকাতি করে খুন - habra

বৃদ্ধার গলায় একটি 3 ভরির সোনার হার ছিল ৷ মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর সেই হারটি পাওয়া যায়নি ৷ পুলিশ সূত্রে খবর , ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল তাঁর মাথায় ৷ এতেই তাঁর মৃত্যু হয় ৷

death
author img

By

Published : Oct 26, 2019, 8:17 PM IST

Updated : Oct 26, 2019, 9:05 PM IST

হাবরা , 26 অক্টোবর : হাবরায় নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক বৃদ্ধার রক্তাক্ত মৃতদেহ ৷ মৃতের নাম পুষ্পারানি ঘোষ (66) ৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান , গতরাতে ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় তাঁকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা ৷

বৃদ্ধার গলায় একটি 3 ভরির সোনার হার ছিল ৷ মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর সেই হারটি পাওয়া যায়নি ৷ পুলিশের অনুমান, ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল তাঁর মাথায় ৷ এতেই তাঁর মৃত্যু হয় ৷

স্থানীয় সূত্রে খবর, হাবরার বিড়া আম্বেদকরনগরে থাকতেন পুষ্পরানি । তাঁর দুই মেয়ে বিবাহিত । তাঁর একমাত্র ছেলে রণজিৎ বিড়া রেলস্টেশনের কাছে থাকেন । প্রতিদিন মায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন রণজিৎ । প্রতিদিনের মতো গতরাতেও মায়ের কাছে আসেন তিনি । দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল । পুষ্পারানিকে ডাকাডাকি শুরু করেন তাঁর ছেলে ৷ তাঁকে ফোনও করেন । ঘরের ভেতর থেকে রিং হওয়ার শব্দও পান তিনি ৷ কিন্তু বৃদ্ধা কোনও সাড়া দেননি । তখন দরজা ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢোকেন রণজিৎ ৷ তিনি দেখেন মায়ের রক্তাক্ত নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে । মাথায় ও মুখে ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের ক্ষত ছিল । রণজিতের চিৎকারে প্রতিবেশীরা আসেন ।

রণজিৎ বলেন, "সম্প্রতি আমাদের এক আত্মীয় দুবাই থেকে 3 ভরির একটা সোনার হার মাকে দিয়েছিলেন । সেই হারটি নেই । " খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় হাবরা থানার পুলিশ ৷ বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ ।

পুলিশের অনুমান, সম্ভবত ওই বৃদ্ধা রান্নার জন্য ঘরে বসে সবজি কাটছিলেন । সেই সময় দুষ্কৃতীরা ভারী কিছু দিয়ে তাঁর মাথার পিছনে সজোরে আঘাত করে । সেই আঘাতেই ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয় । শনিবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ ।

হাবরা , 26 অক্টোবর : হাবরায় নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক বৃদ্ধার রক্তাক্ত মৃতদেহ ৷ মৃতের নাম পুষ্পারানি ঘোষ (66) ৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান , গতরাতে ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় তাঁকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা ৷

বৃদ্ধার গলায় একটি 3 ভরির সোনার হার ছিল ৷ মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর সেই হারটি পাওয়া যায়নি ৷ পুলিশের অনুমান, ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল তাঁর মাথায় ৷ এতেই তাঁর মৃত্যু হয় ৷

স্থানীয় সূত্রে খবর, হাবরার বিড়া আম্বেদকরনগরে থাকতেন পুষ্পরানি । তাঁর দুই মেয়ে বিবাহিত । তাঁর একমাত্র ছেলে রণজিৎ বিড়া রেলস্টেশনের কাছে থাকেন । প্রতিদিন মায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন রণজিৎ । প্রতিদিনের মতো গতরাতেও মায়ের কাছে আসেন তিনি । দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল । পুষ্পারানিকে ডাকাডাকি শুরু করেন তাঁর ছেলে ৷ তাঁকে ফোনও করেন । ঘরের ভেতর থেকে রিং হওয়ার শব্দও পান তিনি ৷ কিন্তু বৃদ্ধা কোনও সাড়া দেননি । তখন দরজা ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢোকেন রণজিৎ ৷ তিনি দেখেন মায়ের রক্তাক্ত নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে । মাথায় ও মুখে ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের ক্ষত ছিল । রণজিতের চিৎকারে প্রতিবেশীরা আসেন ।

রণজিৎ বলেন, "সম্প্রতি আমাদের এক আত্মীয় দুবাই থেকে 3 ভরির একটা সোনার হার মাকে দিয়েছিলেন । সেই হারটি নেই । " খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় হাবরা থানার পুলিশ ৷ বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ ।

পুলিশের অনুমান, সম্ভবত ওই বৃদ্ধা রান্নার জন্য ঘরে বসে সবজি কাটছিলেন । সেই সময় দুষ্কৃতীরা ভারী কিছু দিয়ে তাঁর মাথার পিছনে সজোরে আঘাত করে । সেই আঘাতেই ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয় । শনিবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ ।

Intro:ডাকাতিচে বাধা, হাবড়ায় বৃদ্ধাকে কুপিয়ে খুন

হাবড়াঃ ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় বৃদ্ধাকে খুন করল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায়। তাঁর গলা থেকে ৩৬ গ্রাম ওজনের সোনার হারটি লোপাট হয়ে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম পুষ্পরানি ঘোষ (৬৬)। পুলিশ বৃদ্ধার ঘর থেকেই রক্তাক্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত পাঠিয়েছে। শনিবার রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবড়ার বিড়া আম্বেদকরনগরে থাকতেন পুষ্পরানি। তাঁর দুই মেয়ে বিবাহিত।
ছেলে রণজিৎ বিড়া স্টেশনের কাছে রেল ঝুপড়িতে থাকেন। মা থাকেন আম্বেদকরনগরে। দিনের বেলা ছেলে তাঁকে দেখে যেতেন। মায়ের কাছেই রণজিয় খাওয়া-দাওয়া করতেন। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতে মায়ের বাড়িতে রণজিৎ খেতে আসেন। ঘরের দরজা তখন বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। বাইরে থেকে মাকে অনেক ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পাননি। পরে তিনি মায়ের ফোনে কল করেন। ঘরের ভিতরেই ফোন বাজলেও মায়ের কোনও সাড়া ছিল না। তিনি দরজা ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় মায়ের নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। তাঁর মাথায় ও মুখে ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের ক্ষত রয়েছে। রণজিতের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে।

রণজিৎ বলেন, সম্প্রতি তাঁদের এক আত্মীয় দুবাই থেকে ৩৬ গ্রাম ওজনের একটা সোনার হার মাকে দিয়েছিলেন। ঘর থেকে সোনার সেই হারটিও গায়েব হয়ে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সম্ভবত ওই বৃদ্ধা রান্নার জন্য ঘরে বসেই কিছু কাটছিলেন। সেই সময় দুষ্কৃতীরা ভারী কিছু দিয়ে তাঁর মাথার পিছনের দিকে সজোরে আঘাত করে। সেই আঘাতেই ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সোনার হার লুঠ করার জন্যই আততায়ীরা তাঁকে খুন করেছে। যদিও শনিবার রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। Body:ডাকাতিচে বাধা, হাবড়ায় বৃদ্ধাকে কুপিয়ে খুন

হাবড়াঃ ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় বৃদ্ধাকে খুন করল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায়। তাঁর গলা থেকে ৩৬ গ্রাম ওজনের সোনার হারটি লোপাট হয়ে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম পুষ্পরানি ঘোষ (৬৬)। পুলিশ বৃদ্ধার ঘর থেকেই রক্তাক্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত পাঠিয়েছে। শনিবার রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবড়ার বিড়া আম্বেদকরনগরে থাকতেন পুষ্পরানি। তাঁর দুই মেয়ে বিবাহিত।
ছেলে রণজিৎ বিড়া স্টেশনের কাছে রেল ঝুপড়িতে থাকেন। মা থাকেন আম্বেদকরনগরে। দিনের বেলা ছেলে তাঁকে দেখে যেতেন। মায়ের কাছেই রণজিয় খাওয়া-দাওয়া করতেন। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতে মায়ের বাড়িতে রণজিৎ খেতে আসেন। ঘরের দরজা তখন বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। বাইরে থেকে মাকে অনেক ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পাননি। পরে তিনি মায়ের ফোনে কল করেন। ঘরের ভিতরেই ফোন বাজলেও মায়ের কোনও সাড়া ছিল না। তিনি দরজা ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় মায়ের নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। তাঁর মাথায় ও মুখে ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের ক্ষত রয়েছে। রণজিতের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে।

রণজিৎ বলেন, সম্প্রতি তাঁদের এক আত্মীয় দুবাই থেকে ৩৬ গ্রাম ওজনের একটা সোনার হার মাকে দিয়েছিলেন। ঘর থেকে সোনার সেই হারটিও গায়েব হয়ে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সম্ভবত ওই বৃদ্ধা রান্নার জন্য ঘরে বসেই কিছু কাটছিলেন। সেই সময় দুষ্কৃতীরা ভারী কিছু দিয়ে তাঁর মাথার পিছনের দিকে সজোরে আঘাত করে। সেই আঘাতেই ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সোনার হার লুঠ করার জন্যই আততায়ীরা তাঁকে খুন করেছে। যদিও শনিবার রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। Conclusion:ডাকাতিচে বাধা, হাবড়ায় বৃদ্ধাকে কুপিয়ে খুন

হাবড়াঃ ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় বৃদ্ধাকে খুন করল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায়। তাঁর গলা থেকে ৩৬ গ্রাম ওজনের সোনার হারটি লোপাট হয়ে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম পুষ্পরানি ঘোষ (৬৬)। পুলিশ বৃদ্ধার ঘর থেকেই রক্তাক্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত পাঠিয়েছে। শনিবার রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবড়ার বিড়া আম্বেদকরনগরে থাকতেন পুষ্পরানি। তাঁর দুই মেয়ে বিবাহিত।
ছেলে রণজিৎ বিড়া স্টেশনের কাছে রেল ঝুপড়িতে থাকেন। মা থাকেন আম্বেদকরনগরে। দিনের বেলা ছেলে তাঁকে দেখে যেতেন। মায়ের কাছেই রণজিয় খাওয়া-দাওয়া করতেন। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতে মায়ের বাড়িতে রণজিৎ খেতে আসেন। ঘরের দরজা তখন বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। বাইরে থেকে মাকে অনেক ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পাননি। পরে তিনি মায়ের ফোনে কল করেন। ঘরের ভিতরেই ফোন বাজলেও মায়ের কোনও সাড়া ছিল না। তিনি দরজা ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় মায়ের নিথর দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। তাঁর মাথায় ও মুখে ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের ক্ষত রয়েছে। রণজিতের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে।

রণজিৎ বলেন, সম্প্রতি তাঁদের এক আত্মীয় দুবাই থেকে ৩৬ গ্রাম ওজনের একটা সোনার হার মাকে দিয়েছিলেন। ঘর থেকে সোনার সেই হারটিও গায়েব হয়ে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সম্ভবত ওই বৃদ্ধা রান্নার জন্য ঘরে বসেই কিছু কাটছিলেন। সেই সময় দুষ্কৃতীরা ভারী কিছু দিয়ে তাঁর মাথার পিছনের দিকে সজোরে আঘাত করে। সেই আঘাতেই ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সোনার হার লুঠ করার জন্যই আততায়ীরা তাঁকে খুন করেছে। যদিও শনিবার রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
Last Updated : Oct 26, 2019, 9:05 PM IST

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.