বারাসত, 16 অগাস্ট : ফের অজানা জ্বরে মৃত্যু দেগঙ্গায় ৷ অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দুই বছরের শিশুর ৷ মৃতের নাম মেহেদি হাসান ৷ আজ ভোরে কলকাতার BC রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার । বিগত 10 দিনে দেগঙ্গার আমুলিয়া পঞ্চায়েতে অজানা জ্বরে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের ৷ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শনে যান BDO সুব্রত মল্লিক ৷
ওই শিশুর পরিবারের দাবি, ডেঙ্গিতেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে ৷ কিন্তু হাসপাতালের পক্ষ থেকে দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ ছিল না ৷ কয়েকদিন ধরেই ওই শিশুটি জ্বরে ভুগছিল ৷ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই শিশুটিকে গতকালই বারাসত হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ পরে সেখান থেকে কলকাতার BC রায় হাসপাতালে শিশুটিকে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ ডেথ সার্টিফিকেটে জ্বরের ধরন উল্লেখ না থাকায় স্থানীয় প্রশাসনও উদ্বেগে ৷ এদিকে দেগঙ্গার আমুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় অজানা জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে ৷ এলাকাবাসীর দাবি, কয়েকশো বাসিন্দা জ্বরে আক্রান্ত ৷ রক্ত পরীক্ষা হলেও সময়মতো তার রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে না ৷ দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে রক্তের রিপোর্ট পেতে দেরি হওয়ায় চিকিৎসা শুরু করতেও দেরি হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন : দেগঙ্গায় অজানা জ্বরে মৃত্যু মহিলার
আজ সকালেও আমুলিয়া পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যান দেগঙ্গার BDO সুব্রত মল্লিক, জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ AKM ফারহাদসহ প্রশাসনের আধিকারিকরা ৷ তাঁরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে এ বিষয়ে সচেতন করেন গ্রামবাসীদের ৷ কিছু বাড়িতে জমা জল দেখে উদ্বেগও প্রকাশ করেন । মশার লার্ভাও সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে পরীক্ষাগারে ৷ BDO সুব্রত মল্লিক বলেন, "জ্বর হলেই তা ফেলে না রেখে সঠিক সময়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ সাধারণ মানুষকে দেওয়া হয়েছে ৷ গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি ৷ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ৷"
বিগত 10 দিনে দেগঙ্গার আমুলিয়া পঞ্চায়েতে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একের পর এক মৃত্যু ঘটনায় নড়ে বসে প্রশাসন । পরিস্থিতির মোকাবিলায় কিছুদিন আগে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর চিকিৎসকদের একটি বিশেষ টিম আমুলিয়া ও চাকলা পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করে ৷ টিমের তরফে স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে ওই এলাকার জমা জল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় ৷