ETV Bharat / state

স্টিয়ারিং ছেড়ে মাছ বিক্রি, কাজ বদলে কবিপক্ষে বলরাম যেন মাধো

author img

By

Published : May 8, 2020, 10:25 PM IST

লকডাউনে গাড়ির চাকা না ঘোরায় পেটে ভাত নেই । উপায় না দেখে কাজ বদলের সিদ্ধান্ত নেন বলরাম দাস ।

কবিপক্ষে বলরাম যেন মাধো
কবিপক্ষে বলরাম যেন মাধো

বেলঘরিয়া, 8 মে: এ যেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছড়ার ছবিতে একদা কারখানার শ্রমিক মাধোর বউ-বাচ্চা নিয়ে পথে নামার গল্প । মাধোদের বিপর্যয়ের কারণ ছিল পাটের বাজারের দাম পড়ে যাওয়া । কারখানায় দুরবস্থা, মাইনেতে টান । কবির কলমে সেই সময়কার শ্রমিকদের দুরবস্থা ফের যেন আবার ফিরে এসেছে । এখানে অনুঘটক কোরোনা ভাইরাস । এই যা তফাৎ । রবিঠাকুরের জন্মদিনের সকালে মাধোর সঙ্গে বেলঘরিয়ার রথতলার বলরাম দাসের কোথায় যেন বড্ড মিল ।

ওলা-উবের এখন ভাড়ার ট্যাক্সির নতুন অবয়ব । যুক্তিগ্রাহ্য ভাড়া এবং আরামের যাত্রা মানেই ওলা কিংবা উবের । বলরাম তাঁর বছর সাতাশের জীবনে নানান পেশার মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে ওলা ট্যাক্সির চালকের কাজে থিতু হয়েছিলেন । মালিকের গাড়ি চালিয়ে, তার হাতে হিসাব বুঝিয়ে বলরামে আয় মন্দ হত না । কিন্তু কোরোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউন এবং গাড়ির নানা সমস্যায় সব হিসাব বদলে গিয়েছে ।
ঘরে সদস্য সংখ্যা দশজনের মতো । লকডাউনে গাড়ির চাকা না ঘোরায় রান্নাঘরে তালা পড়ার মতো অবস্থা গিয়ে দাঁড়ায় । উপায় না দেখে কাজ বদলের সিদ্ধান্ত নেন বলরাম । এই কোরোনা ভীতির মধ্যে বাজার-হাট করায় সমস্যা সাধারণ মানুষের । তাই গাড়ির স্টিয়ারিং ছেড়ে মাছ ব্যবসায় নেমে পড়েছেন বলরাম দাস । লকডাউনের মধ্যে বেলঘরিয়ায় নিজের এলাকার আশেপাশে মাছ নিয়ে এপাড়া-ওপাড়া বিক্রি করে বেড়াচ্ছেন একসময়ের ওলা ড্রাইভার বলরাম দাস ।

সকাল সকাল মাছের আড়তে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়েন । তারপর তা ভ্যানে সাজিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বিক্রি করতে বেরিয়ে পড়েন । প্রথম প্রথম এই কাজে জড়তা থাকলেও এখন অনেকটাই বুঝতে সক্ষম হয়েছেন । ফলে মাছ চিনে দরকষাকষি করে আড়ত থেকে কিনে আনতে সমস্যা হচ্ছে না । মাছ কাটার কৌশলও শিখে ফেলেছেন বলরাম । পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তিনি জানেন না । ফের কোনওদিন গাড়ির স্টিয়ারিং ধরতে পারবেন কি না তাও অজানা । তবে পেটের তাগিদে নতুন পেশায় নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন বলরাম ।

মাধোর গল্প বলরাম জানেন না । কিন্তু বেঁচে থাকার তাগিদে কোথায় যেন মাধো ফিরে আসে বলরামের লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে ।

বেলঘরিয়া, 8 মে: এ যেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছড়ার ছবিতে একদা কারখানার শ্রমিক মাধোর বউ-বাচ্চা নিয়ে পথে নামার গল্প । মাধোদের বিপর্যয়ের কারণ ছিল পাটের বাজারের দাম পড়ে যাওয়া । কারখানায় দুরবস্থা, মাইনেতে টান । কবির কলমে সেই সময়কার শ্রমিকদের দুরবস্থা ফের যেন আবার ফিরে এসেছে । এখানে অনুঘটক কোরোনা ভাইরাস । এই যা তফাৎ । রবিঠাকুরের জন্মদিনের সকালে মাধোর সঙ্গে বেলঘরিয়ার রথতলার বলরাম দাসের কোথায় যেন বড্ড মিল ।

ওলা-উবের এখন ভাড়ার ট্যাক্সির নতুন অবয়ব । যুক্তিগ্রাহ্য ভাড়া এবং আরামের যাত্রা মানেই ওলা কিংবা উবের । বলরাম তাঁর বছর সাতাশের জীবনে নানান পেশার মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে ওলা ট্যাক্সির চালকের কাজে থিতু হয়েছিলেন । মালিকের গাড়ি চালিয়ে, তার হাতে হিসাব বুঝিয়ে বলরামে আয় মন্দ হত না । কিন্তু কোরোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউন এবং গাড়ির নানা সমস্যায় সব হিসাব বদলে গিয়েছে ।
ঘরে সদস্য সংখ্যা দশজনের মতো । লকডাউনে গাড়ির চাকা না ঘোরায় রান্নাঘরে তালা পড়ার মতো অবস্থা গিয়ে দাঁড়ায় । উপায় না দেখে কাজ বদলের সিদ্ধান্ত নেন বলরাম । এই কোরোনা ভীতির মধ্যে বাজার-হাট করায় সমস্যা সাধারণ মানুষের । তাই গাড়ির স্টিয়ারিং ছেড়ে মাছ ব্যবসায় নেমে পড়েছেন বলরাম দাস । লকডাউনের মধ্যে বেলঘরিয়ায় নিজের এলাকার আশেপাশে মাছ নিয়ে এপাড়া-ওপাড়া বিক্রি করে বেড়াচ্ছেন একসময়ের ওলা ড্রাইভার বলরাম দাস ।

সকাল সকাল মাছের আড়তে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়েন । তারপর তা ভ্যানে সাজিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বিক্রি করতে বেরিয়ে পড়েন । প্রথম প্রথম এই কাজে জড়তা থাকলেও এখন অনেকটাই বুঝতে সক্ষম হয়েছেন । ফলে মাছ চিনে দরকষাকষি করে আড়ত থেকে কিনে আনতে সমস্যা হচ্ছে না । মাছ কাটার কৌশলও শিখে ফেলেছেন বলরাম । পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তিনি জানেন না । ফের কোনওদিন গাড়ির স্টিয়ারিং ধরতে পারবেন কি না তাও অজানা । তবে পেটের তাগিদে নতুন পেশায় নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন বলরাম ।

মাধোর গল্প বলরাম জানেন না । কিন্তু বেঁচে থাকার তাগিদে কোথায় যেন মাধো ফিরে আসে বলরামের লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.