দত্তপুকুর, 28 অগস্ট: দত্তপুকুর বিস্ফোরণে সরাসরি মমতাকে কটাক্ষ সেলিমের । সোমবার ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেলিমের স্পষ্ট অভিযোগ, " এই ধরণের বেআইনি বাজি কারখানা থেকে তোলাবাজির টাকা সরাসরি পৌঁছে যেত কালীঘাটে ৷ " এখানেই শেষ নয়, সেলিমের দাবি, "আদতে কালীঘাট হল হাব, আর এগুলো সব তার শাখা ৷ " দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানোতর প্রথম থেকেই তুঙ্গে ৷ সোমবার সকালেই ঘটানাস্থলে পৌঁছে সেই রাজনৈতিক পারদ আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সারসারি বিস্ফোরণস্থল থেকেই থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন ৷
আরও পড়ুন: দত্তপুকুরে বাজির গবেষণাগার! নেপথ্যে কি নাশকতার ছক? গ্রাউন্ড জিরোতে ইটিভি ভারত
এদিন সেলিম জানান, এই সকল নিষিদ্ধ বাজি কারখানাগুলি পুলিশ এবং রাজ্য প্রশাসনের মদতে চলছে। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, এই সকল বাজি কারখানা থেকে প্রচুর পরিমাণে কাঁচা টাকা যায় কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। আর সেই টাকা দিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার একাধিক জায়গায় সফর করে বেড়াচ্ছেন। পরিদর্শনের পর মহম্মদ সেলিম দাবি করে বলেন, "ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে বেশকিছু সন্দেহজনক বালতি দেখেছি।" এই বালতিগুলি পুরসভার তৈরি বলে দাবি করেছেন সেলিম। তাঁর অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং স্থানীয় পুরসভার জয়েন্ট ভেঞ্চারে তৈরি হচ্ছে এই সকল বাজি কারখানাগুলি।
সেলিম বলেন, "পূর্ব মেদিনীপুরে এগরায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন আমার চোখ খুলে গিয়েছে। তারপর ফের উত্তর 24 পরগনার দত্তপুকুরে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় কী প্রমাণ হচ্ছে, আদৌ রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকের চোখ খুলেছে ?"
রবিবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ৷ বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িও ভেঙে পড়ে ৷ ছিন্নভিন্ন দেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে এলাকায় ৷ রাজ্যপালও ঘটনাস্থলে এসে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ৷ এরপর এদিন ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে যে ল্যাব ছিল সেখানে যান সেলিম ৷ রীতিমতো গবেষণাগার তৈরি করে বাজি তৈরির কী প্রয়োজন ছিল তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলেছেন সেলিম ৷ এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি ৷ তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে এই ধরণের একাধিক নিষিদ্ধ বাজি কারখানা অলিতে গলিতে গজিয়ে উঠেছে।