ETV Bharat / state

স্ত্রী'র প্রেমিককে দায়ের কোপ, গ্রেপ্তার যুবক - প্রেমিক-প্রেমিকার সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার রাতে রিংকু ও প্রেমিক চন্দন একসঙ্গে বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন । তক্কে তক্কে ছিল তপন । বাড়ির অদূরে তপন একটা ডাব কাটার ধারালো দা নিয়ে আচমকা চড়াও হয় চন্দনের উপর । এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে ।

N 24 attacked
হাসপাতালে যুবক ও তার প্রেমিক
author img

By

Published : Feb 8, 2020, 4:37 AM IST

বনগাঁ, 8 ফেব্রুয়ারি : বিবাহিত সম্পর্কে চির ধরেছিল আগেই । বনিবনা হত না স্বামী-স্ত্রী'র । পরে স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন । সেই আক্রোশেই স্ত্রী'র প্রেমিকের উপর ধারালো দা নিয়ে চড়াও হল যুবক । দায়ের কোপে গুরুতর জখম হয়েছেন প্রেমিক । প্রেমিককে বাঁচাতে গিয়ে জখম হয়েছেন স্ত্রীও । জখম প্রেমিক চিকিৎসাধীন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে । বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনার বনগাঁ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় । স্ত্রী'র লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে । ধৃতের নাম তপন দাস ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, 2013 সালে বাগদার কোনিহারা গ্রামের বাসিন্দা তপন দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মালদার রিংকুর । ওই দম্পতির এক সন্তানও আছে । সম্প্রতি তপনের সঙ্গে রিংকুর বনিবনা হচ্ছিল না । রিংকু বনগাঁর বাসিন্দা চন্দন দত্ত নামে এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন । তা নিয়েই তপন-রিংকুর দাম্পত্য সম্পর্ক আরও খারাপ হয় । রিংকুর অভিযোগ, স্বামী তপন দাসের অত্যাচার দিনের পর দিন বেড়েই চলেছিল । শেষে অত্যাচার সহ্য করতে না-পেরে কিছুদিন আগেই তিনি স্বামীর ঘর ছেড়েছিলেন । বাগদা থেকে চলে আসেন বনগাঁয় । তিনি বনগাঁ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় প্রেমিক চন্দন দত্তর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন । ফলে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক চন্দনের উপর তপনের আক্রোশ আরও বেড়ে যায় ।

বৃহস্পতিবার রাতে রিংকু ও প্রেমিক চন্দন একসঙ্গে বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন । তক্কে তক্কে ছিল তপন । বাড়ির অদূরে তপন একটা ডাব কাটার ধারালো দা নিয়ে আচমকা চড়াও হয় চন্দনের উপর । এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে । ধারালো দায়ের কোপ লাগে চন্দনের গলার ডান দিকে । দু'হাতের কবজিতেও কোপ লাগে । স্বামীর হাত থেকে প্রেমিককে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন রিংকু । ধারালো দায়ের আঘাতে জখম হন তিনিও । রিংকুর গালের বাঁ দিকের অংশে আঘাত লাগে । রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা দু'জনকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করেন । গতকাল স্বামী তপন দাসের বিরুদ্ধে রিংকু বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । তারপরই পুলিশ অভিযুক্ত তপনকে গ্রেপ্তার করেছে ।

রিংকু বলেন, "আমার স্বামী প্রায়ই আমার উপর অত্যাচার করত । মারধরও করত । কয়েক দিন আগে বাচ্চাকে রেখে আমায় মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে । আমি অসহায় হয়ে সেই রাতেই চন্দন দত্তর কাছে আশ্রয় নিয়েছি ।"

বনগাঁ, 8 ফেব্রুয়ারি : বিবাহিত সম্পর্কে চির ধরেছিল আগেই । বনিবনা হত না স্বামী-স্ত্রী'র । পরে স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন । সেই আক্রোশেই স্ত্রী'র প্রেমিকের উপর ধারালো দা নিয়ে চড়াও হল যুবক । দায়ের কোপে গুরুতর জখম হয়েছেন প্রেমিক । প্রেমিককে বাঁচাতে গিয়ে জখম হয়েছেন স্ত্রীও । জখম প্রেমিক চিকিৎসাধীন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে । বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনার বনগাঁ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় । স্ত্রী'র লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে । ধৃতের নাম তপন দাস ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, 2013 সালে বাগদার কোনিহারা গ্রামের বাসিন্দা তপন দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মালদার রিংকুর । ওই দম্পতির এক সন্তানও আছে । সম্প্রতি তপনের সঙ্গে রিংকুর বনিবনা হচ্ছিল না । রিংকু বনগাঁর বাসিন্দা চন্দন দত্ত নামে এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন । তা নিয়েই তপন-রিংকুর দাম্পত্য সম্পর্ক আরও খারাপ হয় । রিংকুর অভিযোগ, স্বামী তপন দাসের অত্যাচার দিনের পর দিন বেড়েই চলেছিল । শেষে অত্যাচার সহ্য করতে না-পেরে কিছুদিন আগেই তিনি স্বামীর ঘর ছেড়েছিলেন । বাগদা থেকে চলে আসেন বনগাঁয় । তিনি বনগাঁ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় প্রেমিক চন্দন দত্তর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন । ফলে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক চন্দনের উপর তপনের আক্রোশ আরও বেড়ে যায় ।

বৃহস্পতিবার রাতে রিংকু ও প্রেমিক চন্দন একসঙ্গে বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন । তক্কে তক্কে ছিল তপন । বাড়ির অদূরে তপন একটা ডাব কাটার ধারালো দা নিয়ে আচমকা চড়াও হয় চন্দনের উপর । এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে । ধারালো দায়ের কোপ লাগে চন্দনের গলার ডান দিকে । দু'হাতের কবজিতেও কোপ লাগে । স্বামীর হাত থেকে প্রেমিককে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন রিংকু । ধারালো দায়ের আঘাতে জখম হন তিনিও । রিংকুর গালের বাঁ দিকের অংশে আঘাত লাগে । রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা দু'জনকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করেন । গতকাল স্বামী তপন দাসের বিরুদ্ধে রিংকু বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । তারপরই পুলিশ অভিযুক্ত তপনকে গ্রেপ্তার করেছে ।

রিংকু বলেন, "আমার স্বামী প্রায়ই আমার উপর অত্যাচার করত । মারধরও করত । কয়েক দিন আগে বাচ্চাকে রেখে আমায় মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে । আমি অসহায় হয়ে সেই রাতেই চন্দন দত্তর কাছে আশ্রয় নিয়েছি ।"

Intro:প্রেম দিবসের প্রাক্কালে প্রেম সংঘাত।

স্ত্রীর প্রেমিককে দায়ের কোপ

বনগাঁঃ বিবাহিত সম্পর্কে চির ধরেছিল আগেই। বনিবনা হত না স্বামী-স্ত্রীর। পরে স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেই আক্রোশেই স্ত্রীর প্রেমিকের উপর ধারালো দা নিয়ে চড়াও হল স্বামী। দায়ের কোপে গুরুতর জখম হয়েছেন প্রেমিক।প্রেমিককে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন স্ত্রীও। আহত প্রেমিক চিকিৎসাধীন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায়। স্ত্রীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃত স্বামীর নাম তপন দাস।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে বাগদার কোনিহারা গ্রামের বাসিন্দা তপন দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মালদার বাসিন্দা রিংকুর। ওই দম্পতির একটি সন্তানও আছে। সম্প্রতি তপনের সঙ্গে রিংকুর বনিবনা হচ্ছিল না। রিংকু বনগাঁর বাসিন্দা চন্দন দত্ত নামে এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তা নিয়েই তপন-রিংকুর দাম্পত্য সম্পর্ক আরও খারাপ হয়। রিংকুর অভিযোগ, স্বামী তপন দাসের অত্যাচার দিনের পর দিন বেড়েই চলেছিল। শেষে স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না-পেরে কিছুদিন আগেই রিংকু স্বামীর ঘর ছেড়েছিলেন। বাগদা থেকে চলে আসেন বনগাঁয়। তিনি বনগাঁ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় প্রেমিক চন্দন দত্তর সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন। ফলে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক চন্দনের উপর তপনের আক্রোশ অারও বেড়ে যায়।

বৃহস্পতিবার রাতে রিংকু ও প্রেমিক চন্দন একসঙ্গে বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন।তক্কে তক্কে ছিল স্বামী তপন। বাড়ির অদূরে তপন একটা ডাব কাটার ধারালো দা নিয়ে আচমকা চড়াও হয় স্ত্রীর প্রেমিক চন্দনের উপর। এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। ধারালো দায়ের কোপ লাগে চন্দনের গলার ডান দিকে। দু'হাতের কব্জিতেও কোপ লেগেছে। স্বামীর হাত থেকে প্রেমিককে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন রিংকু। ধারালো দায়ের আঘাতে জখম হয়েছেন তিনিও। রিংকুর গালের বাঁ দিকের অংশে আঘাত লেগেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা দু'জনকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। শুক্রবার স্বামী তপন দাসের বিরুদ্ধে রিংকু বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারপরই পুলিশ অভিযুক্ত তপনকে গ্রেপ্তার করেছে।

রিংকু বলেন, 'আমার স্বামী প্রায়ই আমার উপর অত্যাচার করত। মারধরও করত।কয়েক দিন আগে বাচ্চাকে রেখে আমায় মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আমি অসহায় হয়ে সেই রাতেই চন্দন দত্তর কাছে আশ্রয় নিয়েছি।'Body:প্রেম দিবসের প্রাক্কালে প্রেম সংঘাত।

স্ত্রীর প্রেমিককে দায়ের কোপ

বনগাঁঃ বিবাহিত সম্পর্কে চির ধরেছিল আগেই। বনিবনা হত না স্বামী-স্ত্রীর। পরে স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেই আক্রোশেই স্ত্রীর প্রেমিকের উপর ধারালো দা নিয়ে চড়াও হল স্বামী। দায়ের কোপে গুরুতর জখম হয়েছেন প্রেমিক।প্রেমিককে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন স্ত্রীও। আহত প্রেমিক চিকিৎসাধীন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায়। স্ত্রীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃত স্বামীর নাম তপন দাস।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে বাগদার কোনিহারা গ্রামের বাসিন্দা তপন দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মালদার বাসিন্দা রিংকুর। ওই দম্পতির একটি সন্তানও আছে। সম্প্রতি তপনের সঙ্গে রিংকুর বনিবনা হচ্ছিল না। রিংকু বনগাঁর বাসিন্দা চন্দন দত্ত নামে এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তা নিয়েই তপন-রিংকুর দাম্পত্য সম্পর্ক আরও খারাপ হয়। রিংকুর অভিযোগ, স্বামী তপন দাসের অত্যাচার দিনের পর দিন বেড়েই চলেছিল। শেষে স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না-পেরে কিছুদিন আগেই রিংকু স্বামীর ঘর ছেড়েছিলেন। বাগদা থেকে চলে আসেন বনগাঁয়। তিনি বনগাঁ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় প্রেমিক চন্দন দত্তর সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন। ফলে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক চন্দনের উপর তপনের আক্রোশ অারও বেড়ে যায়।

বৃহস্পতিবার রাতে রিংকু ও প্রেমিক চন্দন একসঙ্গে বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন।তক্কে তক্কে ছিল স্বামী তপন। বাড়ির অদূরে তপন একটা ডাব কাটার ধারালো দা নিয়ে আচমকা চড়াও হয় স্ত্রীর প্রেমিক চন্দনের উপর। এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। ধারালো দায়ের কোপ লাগে চন্দনের গলার ডান দিকে। দু'হাতের কব্জিতেও কোপ লেগেছে। স্বামীর হাত থেকে প্রেমিককে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন রিংকু। ধারালো দায়ের আঘাতে জখম হয়েছেন তিনিও। রিংকুর গালের বাঁ দিকের অংশে আঘাত লেগেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা দু'জনকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। শুক্রবার স্বামী তপন দাসের বিরুদ্ধে রিংকু বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারপরই পুলিশ অভিযুক্ত তপনকে গ্রেপ্তার করেছে।

রিংকু বলেন, 'আমার স্বামী প্রায়ই আমার উপর অত্যাচার করত। মারধরও করত।কয়েক দিন আগে বাচ্চাকে রেখে আমায় মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আমি অসহায় হয়ে সেই রাতেই চন্দন দত্তর কাছে আশ্রয় নিয়েছি।'Conclusion:প্রেম দিবসের প্রাক্কালে প্রেম সংঘাত।

স্ত্রীর প্রেমিককে দায়ের কোপ

বনগাঁঃ বিবাহিত সম্পর্কে চির ধরেছিল আগেই। বনিবনা হত না স্বামী-স্ত্রীর। পরে স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেই আক্রোশেই স্ত্রীর প্রেমিকের উপর ধারালো দা নিয়ে চড়াও হল স্বামী। দায়ের কোপে গুরুতর জখম হয়েছেন প্রেমিক।প্রেমিককে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন স্ত্রীও। আহত প্রেমিক চিকিৎসাধীন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায়। স্ত্রীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃত স্বামীর নাম তপন দাস।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে বাগদার কোনিহারা গ্রামের বাসিন্দা তপন দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মালদার বাসিন্দা রিংকুর। ওই দম্পতির একটি সন্তানও আছে। সম্প্রতি তপনের সঙ্গে রিংকুর বনিবনা হচ্ছিল না। রিংকু বনগাঁর বাসিন্দা চন্দন দত্ত নামে এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তা নিয়েই তপন-রিংকুর দাম্পত্য সম্পর্ক আরও খারাপ হয়। রিংকুর অভিযোগ, স্বামী তপন দাসের অত্যাচার দিনের পর দিন বেড়েই চলেছিল। শেষে স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না-পেরে কিছুদিন আগেই রিংকু স্বামীর ঘর ছেড়েছিলেন। বাগদা থেকে চলে আসেন বনগাঁয়। তিনি বনগাঁ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় প্রেমিক চন্দন দত্তর সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন। ফলে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক চন্দনের উপর তপনের আক্রোশ অারও বেড়ে যায়।

বৃহস্পতিবার রাতে রিংকু ও প্রেমিক চন্দন একসঙ্গে বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন।তক্কে তক্কে ছিল স্বামী তপন। বাড়ির অদূরে তপন একটা ডাব কাটার ধারালো দা নিয়ে আচমকা চড়াও হয় স্ত্রীর প্রেমিক চন্দনের উপর। এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। ধারালো দায়ের কোপ লাগে চন্দনের গলার ডান দিকে। দু'হাতের কব্জিতেও কোপ লেগেছে। স্বামীর হাত থেকে প্রেমিককে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন রিংকু। ধারালো দায়ের আঘাতে জখম হয়েছেন তিনিও। রিংকুর গালের বাঁ দিকের অংশে আঘাত লেগেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা দু'জনকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। শুক্রবার স্বামী তপন দাসের বিরুদ্ধে রিংকু বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারপরই পুলিশ অভিযুক্ত তপনকে গ্রেপ্তার করেছে।

রিংকু বলেন, 'আমার স্বামী প্রায়ই আমার উপর অত্যাচার করত। মারধরও করত।কয়েক দিন আগে বাচ্চাকে রেখে আমায় মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আমি অসহায় হয়ে সেই রাতেই চন্দন দত্তর কাছে আশ্রয় নিয়েছি।'
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.