বনগাঁ, 8 ফেব্রুয়ারি : বিবাহিত সম্পর্কে চির ধরেছিল আগেই । বনিবনা হত না স্বামী-স্ত্রী'র । পরে স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন । সেই আক্রোশেই স্ত্রী'র প্রেমিকের উপর ধারালো দা নিয়ে চড়াও হল যুবক । দায়ের কোপে গুরুতর জখম হয়েছেন প্রেমিক । প্রেমিককে বাঁচাতে গিয়ে জখম হয়েছেন স্ত্রীও । জখম প্রেমিক চিকিৎসাধীন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে । বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনার বনগাঁ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় । স্ত্রী'র লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে । ধৃতের নাম তপন দাস ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, 2013 সালে বাগদার কোনিহারা গ্রামের বাসিন্দা তপন দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মালদার রিংকুর । ওই দম্পতির এক সন্তানও আছে । সম্প্রতি তপনের সঙ্গে রিংকুর বনিবনা হচ্ছিল না । রিংকু বনগাঁর বাসিন্দা চন্দন দত্ত নামে এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন । তা নিয়েই তপন-রিংকুর দাম্পত্য সম্পর্ক আরও খারাপ হয় । রিংকুর অভিযোগ, স্বামী তপন দাসের অত্যাচার দিনের পর দিন বেড়েই চলেছিল । শেষে অত্যাচার সহ্য করতে না-পেরে কিছুদিন আগেই তিনি স্বামীর ঘর ছেড়েছিলেন । বাগদা থেকে চলে আসেন বনগাঁয় । তিনি বনগাঁ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় প্রেমিক চন্দন দত্তর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন । ফলে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক চন্দনের উপর তপনের আক্রোশ আরও বেড়ে যায় ।
বৃহস্পতিবার রাতে রিংকু ও প্রেমিক চন্দন একসঙ্গে বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন । তক্কে তক্কে ছিল তপন । বাড়ির অদূরে তপন একটা ডাব কাটার ধারালো দা নিয়ে আচমকা চড়াও হয় চন্দনের উপর । এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে । ধারালো দায়ের কোপ লাগে চন্দনের গলার ডান দিকে । দু'হাতের কবজিতেও কোপ লাগে । স্বামীর হাত থেকে প্রেমিককে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন রিংকু । ধারালো দায়ের আঘাতে জখম হন তিনিও । রিংকুর গালের বাঁ দিকের অংশে আঘাত লাগে । রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা দু'জনকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করেন । গতকাল স্বামী তপন দাসের বিরুদ্ধে রিংকু বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । তারপরই পুলিশ অভিযুক্ত তপনকে গ্রেপ্তার করেছে ।
রিংকু বলেন, "আমার স্বামী প্রায়ই আমার উপর অত্যাচার করত । মারধরও করত । কয়েক দিন আগে বাচ্চাকে রেখে আমায় মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে । আমি অসহায় হয়ে সেই রাতেই চন্দন দত্তর কাছে আশ্রয় নিয়েছি ।"